গ্রহ-নক্ষত্র
রং দেখে বৈশিষ্ট জানা
প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
অন্ধকার রাতে টেলিস্কোপ চোখে লাগিয়ে আকাশের তারা নজরে আসে, তখন গ্রহ-নক্ষত্রের গায়ের রং বা বর্ণ মানতেই হয়। গ্রহ-নক্ষত্রদের গায়ের রং দেখে জানা যায় তাদের আচরণ ও বৈশিষ্ট্য। গ্রহ-নক্ষত্রদের গাত্রের উপাদানগুলো কি, তা জানা যায়।
আটটি গ্রহ, পস্নম্নটোর মতো বামনগ্রহ আর কোটি কোটি গ্রহাণু দিয়েই গঠিত সৌরজগত। এতগুলোর গায়ের রং আলাদা করে চিনতে গেলে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ শেষ হবে, তবু এদের বয়ান শেষে হবে না। মুলত, পৃথিবী আমাদের মাতৃগ্রহ। তাই এর গায়ের রং সবচেয়ে বেশি আমাদের মুগ্ধ করে। কিন্তু পৃথিবীর আকাশ নীল, তাই দূর মহাকাশ থেকে একে নীলই দেখাবে। খবর ইউনিভার্স টুডে-এর।
আকাশ নীল- এর মূল কারণ বায়ুমন্ডল। বায়ুমন্ডলে যেমন বাতাস আছে, তার সঙ্গে মিশে আছে অসংখ্য ধুলাবালু, কণা আকারে। এসব ধুলাবালুতে যখন সূর্যের সাদা আলো এসে পড়ে, তখন নীল আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। এখানে বলে রাখা দরকার বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল এই সাতটি রঙের মিশেলে সূর্যের সাদা আলো তৈরি হয়। কোনো কারণে সাদা আলো থেকে কোনো একটি রং যদি বিচ্ছুরিত হয়, তবে বিচ্ছুরণ এলাকায় সেই রং ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সময় সূর্যের সাদা আলো থেকে নীল রং বিচ্ছুরিত হয়, তাই বায়ুমন্ডলের বিশেষ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বিচ্ছুরিত নীল রং। সুতরাং সেই অঞ্চলটাকে নীল দেখায়। তাই পৃথিবী থেকে আকাশের রং নীল মনে হয়। অন্যদিকে পৃথিবীর বাইরে থেকে গোটা পৃথিবীটাকে নীল দেখায় বায়ুমন্ডলের নীল রঙের কারণে।
নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম, কম্পাঙ্ক বেশি। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আকার এমনই যে বায়ুমন্ডলের ধুলাবালুতে বাধা পায়। ফলে দিক পরিবর্তন করে এই আলোকে পৃথিবীতে আসতে হয়। কিন্তু নীল ছাড়া অন্য রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য এতটাই বড়, সেগুলোর কম্পাঙ্ক ও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না খুদে ধূলিকণা। অন্যদিকে বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আরও ছোট। তাই সেগুলোর ওপরও কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না বাতাসের ধূলিকণা। এদের জন্য বেগুনি আলোই পারফেক্ট। এ কারণেই পৃথিবীর আকাশ নীল। নইলে স্থলভাগে গাছপালা বেশি, তাই সবুজ দেখাত স্থলভাগকে আর সমুদ্রের পানির জন্য জলভাগকে নীল দেখাত। অর্থাৎ পৃথিবীর রং হতো নীল-সবুজ।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়