বাংলাদেশের নদীবন্দর

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
সদরঘাট, চট্টগ্রাম
সদরঘাট, চট্টগ্রাম সদরঘাট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সদরঘাট সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত নদীবন্দর। এটি সদরঘাট থানার অন্তর্গত। এটি চট্টগ্রাম শহরের দুটি নদীবন্দরের মধ্যে অন্যতম, অন্যটি হলো মাঝির ঘাট। এখানে লঞ্চ ও স্টিমার টার্মিনাল রয়েছে। মূলত সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, মহেশখালী প্রভৃতি নিকটবর্তী দ্বীপ হতে নিয়মিত লঞ্চ ও স্টিমার যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহণের জন্য এটি গুরত্ববহ স্থান। এছাড়াও এখানে চট্টগ্রাম বন্দরের লাইটারেজ জেটি অবস্থিত। চাঁদপুর বন্দর চাঁদপুর বন্দর বাংলাদেশের একটি প্রাচীন নদীবন্দর। এই বন্দরটি মেঘনা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এই বন্দরটি এখন যাত্রী পরিবহণকারী বন্দর হিসেবে কাজ করছে। তবে এই বন্দরে সামান্য কিছু পণ্য দ্রব্যও পরিবহণ করা হয়। এই বন্দর থেকে ঢাকা ও বরিশাল রুটে জাহাজ বা যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। চাঁদপুর বন্দর প্রতিষ্ঠার সঠিক সময় জানা যায়নি, তবে অনুমান করা হয় এই বন্দরটি হাজার বছরের পুরনো। এই বন্দরটি মেঘনা নদীর ভাঙনের ফলে ক্রমে পূর্বদিকে সরে এসেছে। এইভাবে বন্দরটি প্রায় ৯ কিলোমিটার পূর্বে সরে এসেছে। এই বন্দরটির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ ভারত-এর একটি নদীবন্দর হিসেবে। এই সময় এই বন্দর থেকে পাট জাহাজে করে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হতো। দেশ বিভাগের পর চাঁদপুর বন্দর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে চলে যায়। ১৯৭১ সাল থেকে এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর হিসেবে পরিচিত হতে থাকে। চাঁদপুর বন্দরটি প্রধানত ব্যবহৃত হয় যাত্রী পরিবহণের জন্য। কিন্তু এই বন্দরটিতে গত ২০০ বছরেও কোনো স্থায়ী নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়নি। যা বন্দরটির যাত্রী পরিবহণকে করে তুলেছে কঠিন। ২০০১ সালে নদীর ভাঙনের ফলে বন্দরটি আরও সমস্যায় পড়ে। এই বন্দর থেকে ঢাকা ও বরিশাল রুটে জাহাজ চলে। এই বন্দরকে ব্যবহার করে বহু মানুষ ঢাকা শহরে পাড়ি দেন। এই বন্দরটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহণের সময় ব্যবহৃত হয়।