ষষ্ঠ অধ্যায়
দলের নাম : প্রজাপতি
জীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করি এবং তালিকা তৈরি করি :
জীবের নাম : হাতি
শারীরিক গঠন :
১। ২.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে
২। কান বিশাল ও ত্রিভুজাকার
৩। চামড়া পুরু, বুলবুল ও হালকা লোমশ
৪। পা থামের মতো
৫। চোখ ছোট কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ন
৬। লেজ খাটো, আগায় একগুচ্ছ শক্ত চুল আছে
খাদ্যাভ্যাস :
১। ঘাস
২। কলাগাছ
৩। বাঁশ
৪। গাছের পাতা ও ছাল
৫। ফুল
৬। ফল
বাসার ধরন : ১। তৃণভূমিতে অথবা জঙ্গলে বসবাস করে
বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য : ১। হাতিরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস ও চলাচল করে।
জীবের নাম : দোয়েল
শারীরিক গঠন : ১। দোয়েল পাখি আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
২। এই পাখির পা দুটি সরু এবং একটি লেজ ও ২টি ডানা রয়েছে।
৩। ঠোঁটটি সরু ও সূঁচালো।
৪। দোয়েলের গলার নিচ থেকে দুধের মতো সাদা পালক রয়েছে যা বুক পর্যন্ত নেমে এসেছে।
খাদ্যাভ্যাস : ১। ছোট্ট কীটপতঙ্গ
২। ওঁও পোকা
৩। কেঁচো
বাসার ধরন : ১। গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এর খড়কুটো জমা করে বাসা তৈরি করে। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন- জঙ্গল, চাষাবাদকৃত জমির আশপাশ এবং জনবলপূর্ণ এলাকায় মানুষের কাছাকাছি এদের বাসস্থান।
বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য :
১। নানারকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে।
২। দোয়েল তার লম্বা লেজটি অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে।
জীবের নাম : রুই মাছ
শারীরিক গঠন :
১। রুই মাছের মধ্যভাগ চওড়া ও দুই প্রাপ্ত ক্রম সরু। গ্রন্থ অপেক্ষা উচ্চতা বেশি এবং প্রস্থচ্ছেদ ডিম্বাকার।
২। মাথার দুই পাশে ১টি করে মোট ২টি বড় বড় চোখ আছে।
৩। একটি রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
খাদ্যাভ্যাস :
১। অতিক্ষুদ্র পস্ন্যাংকটন
২। শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ
৩। খৈলের গুঁড়া
৪। কুঁড়া
বাসার ধরন :
১। স্বাদু পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর, হ্রদ, নদী, খাল, বিল, হাওড় ইত্যাদিতে এদের পাওয়া যায়।
বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য :
১। দাঁত বিহীন চোয়াল
২। চোখের পাতা নেই
জীবের নাম : মৌমাছি
শারীরিক গঠন : মৌমাছির দেহ বিখন্ডিত এদের দুই জোড়া ডানা রয়েছে। এদের দেহের মাপ প্রায় ১-১.৫ সেন্টিমিটার।
খাদ্যাভ্যাস : ফল, মিষ্টি জাতীয় পদার্থ, ফুলের মধু এবং তরল ফলসমূহ।
বাসার ধরন : মৌচাক হলো মৌমাছির আবাসস্থল এরা গাছ, গাছের পাতা ফুলের গুচ্ছ বাঁশের ঝাড় ইত্যাদিতে বসবাস করে।
বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য :
কান না থাকা সত্ত্বেও, মৌমাছিরা যে পৃষ্ঠে অবতরণ করে তার কম্পন অনুভব করতে সক্ষম।
সপ্তম অধ্যায়
বিভিন্ন ধরনের নৌকা
নৌকার নাম : কলার ভেলা
নৌকাটি কোন কাজে ব্যবহৃত হয় : যাতায়াতের জন্য। বন্যার সময় মানুষ নিকটবর্তী দূরত্বে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় কিংবা হাটবাজারে চলাচলের জন্য। ব্যবহার করা হয়।
নৌকার নাম : কোষা নৌকা নৌকাটি কোন কাজে ব্যবহৃত হয় : কোষা নৌকা মূলত পারিবারিক নৌকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাটবাজার, স্বল্প দূরত্বের চলাচলে কাজে লাগে।
নৌকার নাম : বাইচের নৌকা
নৌকাটি কোন কাজে ব্যবহৃত হয় : প্রতিযোগিতামূলক নৌকা খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। গ্রাম বাংলায় এটি খুব জনপ্রিয়।
নৌকার নাম: বজরা নৌকা হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়