বাংলাদেশের স্থলবন্দর

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
টেকনাফ টেকনাফ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি শহর। প্রশাসনিকভাবে শহরটি টেকনাফ উপজেলার সদর। শহরটি টেকনাফ উপজেলার বৃহত্তম শহরাঞ্চল। টেকনাফ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের শহর। শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হলো ২০.৮৫৭৮৩৯ক্ক উত্তর, ৯২.২৯৭৫১৮ক্ক পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ৭ মিটার। দর্শনা স্থলবন্দর দর্শনা স্থলবন্দর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্থলবন্দর। এই বন্দরটি দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের সাথে রপ্তানি-আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়। এই বন্দরটি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত। দর্শনা স্থলবন্দর হলো ভারতের কলকাতায় ট্রেনের প্রথম প্রবেশ পথ। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ১৯৬২ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় একটি ল্যান্ড কাস্টমস স্থাপিত হয়। রেলপথে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে আসছে। সোনাহাট স্থলবন্দর \হসোনাহাট স্থলবন্দর বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট সীমান্তে অবস্থিত একটি স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয়। সোনাহাট স্থলবন্দরটি ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর উদ্বোধন হয়। পণ্য আমদানি চালু হয় ২৮ এপ্রিল ২০১৪ খ্রি:। নদীর তীরবর্তী হওয়ার কারণে ব্রিটিশ আমলে সোনাহাট স্থলবন্দরটি বিখ্যাত বাণিজ্যিককেন্দ্র হিসেবে ছিল। সোনাহাট স্থলবন্দরটি ভারতের আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত, যা ভারতের সাত বোন বলে খ্যাত অঙ্গরাজ্যের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে। পূর্বে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগ উভয় দেশের লোকজনের অবাধ যাতায়াত ছিল। এই কারণেই উভয় দেশের লোকজনের ইচ্ছায় এবং ভৌগোলিক কারণে সোনাহাট স্থলবন্দরটি চালু হয়। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে অভিবাসন চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিদিন এই স্থলবন্দরে ভারতের গোলকগঞ্জ হতে গড়ে ৮০-১০০টি ট্রাক পাথর এবং কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভারতে এই বন্দরকে ঘিরে অবকাঠামোগত কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ১০টি পণ্য আমদানির জন্য অনুমতি রয়েছে এবং নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিরেকে বাংলাদেশি সব পণ্য রপ্তানির অনুমতি রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে : ১। পাথর, ২। কয়লা, ৩। তাজা ফল, ৪। ভুট্টা, ৫। গম, ৬। চাল, ৭। ডাল, ৮। আদা ৯। পেয়াঁজ ও ১০। রসুন। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে পস্নাস্টিক পণ্যসামগ্রী রপ্তানি হচ্ছে।