আখাউড়া :আখাউড়া বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত একটি শহর। প্রশাসনিকভাবে শহরটি আখাউড়া উপজেলার সদর। শহরটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও আখাউড়া উপজেলার বৃহত্তম এবং প্রধান শহরাঞ্চল। বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম থেকে ২২৫.৮ কি.মি. এবং জেলা শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ১৯.২ কি.মি. দূরত্বে আখাউড়া শহর অবস্থিত।
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হলো ২৩.৮৬৮৬১৯ক্ক উত্তর, ৯১.২০৯৭২৯ক্ক পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১১.৮ মিটার।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর :বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত একটি স্থলবন্দর। এটি বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দও, যার মাধ্যমে চারটি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান) মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশের সর্ব-উত্তরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে জিরো (০) পয়েন্ট এ বন্দরটি অবস্থিত। এখান থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১নং আসন শুরু। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তসংলগ্ন প্রায় ১০ একর জায়গার উপর স্থলবন্দরটি অবস্থিত।
১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্থলবন্দরটি প্রথম খুলে দেওয়া হয়। নেপালের সাথে বাংলাদেশের এক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পণ্য আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে বন্দরটি প্রথম যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভারতের সাথেও বাংলাদেশের এ বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। এ বন্দর ব্যবহার করে নেপালে বাংলাদেশ থেকে ব্যাটারি, সিসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও পস্নাস্টিকের আসবাপপত্র রপ্তানি করা হয়। এছাড়াও ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ১,০০০ মেট্রিক টন পাথর ও নেপাল থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০০ মেট্রিক টন ডাল আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে যতগুলো স্থলবন্দর চালু রয়েছে তার মধ্যে বাংলাবান্ধা সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থানে রয়েছে। এখান থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ১৬ কিলোমিটার। তাছাড়াও ভারতের যে কোনো স্থানে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ভারতের শৈল্য শহর দার্জিলিং ৭৭ কিলোমিটার, নেপাল সীমান্ত ৫৪ কিলোমিটার, ভুটান সীমান্ত ১৩০ কিলোমিটার ও চীন সীমান্ত ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পার্শ্ববর্তী ভারতের শিলিগুড়ির মতো সমৃদ্ধ এত বড় শহর অন্যান্য স্থলবন্দরের কাছে নেই। ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোতে যাওয়ার সবচেয়ে সুবিধাজনক করিডর হচ্ছে দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা বিমানবন্দর, যা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ফুলবাড়ী স্থলবন্দরের অবস্থান।