ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন
প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
রোদ, জল, বৃষ্টি
প্রশ্ন : দুইটি গ্রিনহাউজ গ্যাসের নাম লেখো।
উত্তর : কার্বন-ডাইঅক্সাইড ও মিথেন।
প্রশ্ন : অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে গাছের পাতার কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : পাতার ওপর ছোপ ঠোপ দাগ দেখা যায়।
প্রশ্ন : ওজোন স্তর কোন গ্যাস দ্বারা গঠিত?
উত্তর : ওজোন গ্যাস
প্রশ্ন : তোমার আশপাশের মানুষের কী কী কর্মকান্ডের জন্য গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?
আমরা এমন কী কী করছি যাতে বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়? এই কাজের সাথে গ্রিনহাউজ গ্যাস বাড়ার সম্পর্ক কী?
১। বন ধ্বংস ও গাছ কাঁটা বন ধ্বংস ও গাছ কাঁটার ফলে বাতাসে কার্বন-ডাইঅক্সাই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২। অতিরিক্ত তেল, গ্যাস ও কয়লা পোড়ানো অতিরিক্ত তেল, গ্যাস ও কয়লা পোড়ানোর ফলে। কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং নাইট্রাস অক্সাইড প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়।
৩। কৃষিজমিতে নাইট্রোজেনযুক্ত সার ব্যবহার নাইট্রোজেনযুক্ত সার নাইট্রাস অক্সাইডে পরিণত হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
৪। রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ফোম ব্যবহার এই যন্ত্রপাতিগুলো থেকে ফ্লোরিনেটেড গ্যাস বের হয়। এই গ্যাসের গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া কার্বন- ডাইঅক্সাইডের তুলনায় প্রায় ২৩,০০০ গুণ বেশি।
৫। বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী তথা জৈব বস্তুর পচনের ফলে মিথেন বায়ুমন্ডলে নির্গত হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণী পচনের ফলে মিথেন গ্যাস বায়ুমন্ডলে নির্গত হয়। আমাদের যে পাঁচটি কাজের জন্য বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়-
১। বন ধ্বংস ও গাছকাটা
২। অতিরিক্ত তেল, গ্যাস ও কয়লার পেড়ানো
৩। কৃষিজমিতে নাইট্রোজেনযুক্ত সার ব্যবহার
৪। রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ফোম ব্যবহার
৫। বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী তথা জৈব বস্তুর পচনের ফলে মিথেন বায়ুমন্ডলে নির্গত হয়।
কীভাবে এর সমাধান করা সম্ভব
১.বন ও গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে বাতাসে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকে।
২.এইগুলোর বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং অপচয় রোধ করা।
৩. কৃষিজমিতে সার ব্যবহারে বিজ্ঞানসম্মত উন্নতপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
৪. এই যন্ত্রপাতিগুলোর ব্যবহার কমাতে হবে।
৫. আমাদের অধিক সচেতন থাকতে হবে।
প্রশ্ন : তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
উত্তর :
১। দলের পরিকল্পনা ছিল জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পিছনের কারণ বের করা এবং পারলে তা সমাধানের উপায় খোঁজা।
২। বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা ভয়ঙ্করভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন : কোনো চ্যালেঞ্জে কি পড়েছে? চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তোমার দল কী উদ্যোগ নিয়েছে?
উত্তর : এই রকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা সমাধানে কিছু বাধা তৈরি হতে পারে। এজন্য প্রথমে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন :
১। সবাইকে শেখানোর মাধ্যমে সচেতন করা।
২। ছোট ছোট পরীক্ষণের মাধ্যমে গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহতা বোঝানো।
৩। অল্প করে কাজ ভাগ করে নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে শেষ করা।
প্রশ্ন : জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন আর কোনো বিষয় কি তোমার চোখে পড়েছে? এর সমাধানে কী করা যায় বলে তুমি মনে করো?
উত্তর : মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বড় বড় কল-কারখানা নদীর তীরবর্তী স্থাপিত হওয়ায় নদী ও তার আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে যা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। এর সমাধানে সচেতন হতে হবে। আর যেসব কাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তার বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সব কাজ কতটা পরিবেশবানন্ধব কাজটি করার আগে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।
রান্নাঘরেই ল্যাবরেটরি
রান্নাঘরে ব্যবহৃত উপকরণগুলোর মধ্যে কোনটা কিসের তৈরি তা কী তোমরা জানো? না জেনে থাকলে বাসায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে জেনে নিতে পারো। একই সঙ্গে এসব তৈজস্যপত্রের আকার- আকৃতিসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যও একটু ভালোভাবে লক্ষ করো।
উত্তর :
বাসার রান্নাঘরে ব্যবহৃত তৈজসপত্রগুলোর বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য উপস্থাপন করি-
তৈজসপত্রের নাম : হাড়ি-পাতিল, ডেকচি
কি দিয়ে তৈরি : অ্যালুমিনিয়াম
তৈজসপত্রের নাম : প্রেসার কুকার
কি দিয়ে তৈরি : স্টেইনলেস স্টিল
তৈজসপত্রের নাম : নন-স্টিক ফ্রাইপ্যান/সস প্যান
কি দিয়ে তৈরি : অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের মিশ্রণ
তৈজসপত্রের নাম : বাউল/গামলা
কি দিয়ে তৈরি : স্টেইনলেস স্টিল
তৈজসপত্রের নাম : চামচ
কি দিয়ে তৈরি : স্টেইনলেস স্টিল
তৈজসপত্রের নাম : কড়াই
কি দিয়ে তৈরি : লোহা
তৈজসপত্রের নাম : গ্যাসের চুলা
কি দিয়ে তৈরি : স্টেইনলেস স্টিল
তৈজসপত্রের নাম : বটি,
কি দিয়ে তৈরি : দা লোহা
তৈজসপত্রের নাম : গ্রাস-পেস্নট সেট
কি দিয়ে তৈরি : কাচ
তৈজসপত্রের নাম : ডিনার সেট
কি দিয়ে তৈরি : কোকারিজ মেলামাইন
তৈজসপত্রের নাম : মসলা রাখার পাত্র
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়