শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

মানবাধিকার

প্রশ্ন :আমাদের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর :আমাদের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

২. মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে।

৩. সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে।

৪. মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : অটিজম কী? অটিস্টিক শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে কেন? বিদ্যালয়ে অটিস্টিক বন্ধুদের সাহায্য করার চারটি উপায় লেখ।

উত্তর : অটিজম মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা। অটিস্টিক শিশুর নিজের মতো ভালো থাকার অধিকার আছে। তাই অটিস্টিক শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যালয়ে অটিস্টিক বন্ধুদের সাহায্য করার চারটি উপায়-

১. তাকে উত্তেজিত না করা।

২. তাকে লেখাপড়ায় সাহায্য করা।

৩. সে জিনিসের প্রতি আগ্রহী সেটি তাকে দেওয়া।

৪. তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা।

প্রশ্ন : অটিস্টিক শিশুরা কী সমস্যায় আক্রান্ত? এ ধরনের শিশুর সঙ্গে তুমি কীরূপ ব্যবহার করবে? উক্ত শিশুদের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : অটিস্টিক শিশুরা অটিজম সমস্যায় আক্রান্ত। আমরা এ ধরনের শিশুকে কখনো বিরক্ত করব না। তারা উত্তেজিত হয়ে যায় কখনো এমন আচরণ করব না। অটিস্টিক শিশুদের চারটি বৈশিষ্ট্য হলো-

১. সব কাজ একই নিয়মে করতে হয়।

২. দৈনিক কাজের রুটিনের বদল হলে উত্তেজিত হয়।

৩. একাকি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে।

৪. কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সব সময় সঙ্গে রাখা।

প্রশ্ন : শিশুশ্রম কী? শিশুশ্রম রোধ করা প্রয়োজন কেন? শিশুশ্রমের চারটি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে লেখ।

উত্তর : শিশুকে দিয়ে শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করাকে শিশুশ্রম বলে। শিশুদের মানবাধিকার রক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শিশুশ্রম রোধ করা প্রয়োজন। শিশুশ্রমের চারটি ক্ষতিকর দিক হলো-

১. শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

২. শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. শিশু অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

৪. শিশুশ্রমের কারণে অনেক শিশু মারা যায়।

প্রশ্ন : শিশু পাচার কী? এটি কী ধরনের অপরাধ? শিশু অধিকার লঙ্ঘনের চারটি উদাহরণ দাও।

উত্তর : অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিশুদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দেওয়াকে শিশু পাচার বলে। শিশু পাচার মানবাধিকার ও আইন বিরোধী মারাত্মক অপরাধ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের চারটি উদাহরণ হলো-

১. পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২. অনেক শিশু গৃহহীন।

৩. সামান্য বা বিনা কারণে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

৪. অনেক শিশু ক্ষেত-খামার, ইটের ভাটায়, দোকানে বা কল-কারখানায় কাজ করে।

নারী-পুরুষ সমতা

প্রশ্ন: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন? নারীদের লেখাপড়া ও নারীদের উন্নয়নের জন্য বেগম রোকেয়া কর্তৃক সম্পাদিত চারটি কাজের নাম লেখ।

উত্তর : বেগম রোকেয়া ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত। তিনি নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজে অসামান্য অবদান রাখেন। নারীদের লেখাপড়া ও নারীদের উন্নয়নে তার সম্পাদিত চারটি কাজ হলো :

১. তিনি নারীদের শিক্ষার বিষয়ে সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন।

২. ১৯০৫ সালে তিনি ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

৩. তিনি মেয়েদের স্কুলে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন।

৪. তিনি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কলম ধরেন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একজন মহীয়সী নারী ১৮৮০ সালে রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মহীয়সী নারীটির নাম কী? নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তার চারটি অবদান লেখ।

উত্তর : মহীয়সী নারীটির নাম বেগম রোকেয়া। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার চারটি অবদান হলো :

১. ১৯০৫ সালে বেগম রোকেয়া তার স্বামীর নামানুসারে ভাগলপুরে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

২. নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখেন।

৩. তিনি নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজে অসামান্য অবদান রাখেন।

৪. বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো দেখতে পায়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষের সমতা বিষয়টি সম্পর্কে তোমার নিজের মতামত প্রদান কর।

উত্তর : আমাদের দেশে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। সকল কাজে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ না থাকলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। নারী-পুরুষ একই রকম সুযোগ-সুবিধা না পেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এই কারণে বর্তমানে দেশে সকল কাজে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন: নারী নির্যাতন বন্ধে আমাদের করণীয় কী কী?

উত্তর : নারী নির্যাতন বন্ধে আমাদের করণীয় হলো :

১. সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

২. ছেলে ও মেয়ে এভাবে না দেখে সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।

৩. কোনো কথা ছেলের বা মেয়ের বলে মনে করা যাবে না।

৪. কোনো মেয়ে যাতে নির্যাতিত না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

৫. পরিবার এবং পরিবারের বাইরে সকল মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

প্রশ্ন: নিউইয়র্কের পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের প্রথম আন্দোলনের ঠিক ৫১ বছর পর একই দিনে আরো একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশটি কত সালে সংঘটিত হয়? এতে কারা অংশ নেন? এই আন্দোলন সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।

উত্তর : প্রতিবাদ সমাবেশটি ১৯০৮ সালের ৮ মার্চ সংঘটিত হয়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে