বাংলাদেশের স্থলবন্দর
বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার ঘোষিত ২৫টি স্থলবন্দর রয়েছে। যার মধ্যে চালু রয়েছে ১৪টি। সর্বশেষ স্থলবন্দরটি হলো মুজিবনগর স্থলবন্দর, এটি মেহেরপুরে অবস্থিত। বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, ভোমরা, নাকুগাঁও, তামাবিল, দর্শনা, বিলোনিয়া, রামগড়, সোনাহাট, তেগামুখ, চিলাহাটি, দৌলতগঞ্জ, ধানুয়া কামালপুর, শেওলা, বালস্না, সোনা মসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, টেকনাফ, বিবিরবাজার, বিরল।
প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
বেনাপোল :বেনাপোল ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের একটি পৌরশহর। বেনাপোলে বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর অবস্থিত। এই স্থলবন্দরের শুল্ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ। স্থলবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বন্দরনগরী বেনাপোল যশোর জেলার শার্শা উপজেলার অন্তর্গত। বেনাপোল বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি পৌরশহর। বেনাপোল রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার রেল চলাচল করে। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের দিকের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত। বেনাপোল থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার।
স্থানাঙ্ক: ২৩ক্ক০৫দ উত্তর ৮৮ক্ক৯দ পূর্ব বেনাপোল যশোর জেলার, শার্শা উপজেলার অন্তর্গত একটি পৌরশহর। এর নিজস্ব একটি থানা আছে। এই থানাটি বেনাপোল পোর্ট থানা নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহৃত হয়। মোট স্থলবাণিজ্যের ৯০% এই বেনাপোলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে স্থল পথে গমনের প্রধান পথ যশোর- বেনাপোল-বনগাঁ-কলকাতা গ্র্যান্ডট্রাংক রোড। এই পথে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণকারী চলাচল করে থাকে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সহজ যোগাযোগের জন্য বেনাপোল থেকে নিয়মিত চলাচল করে 'বেনাপোল এক্সপ্রেস' নামে ট্রেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর :বুড়িমারী স্থলবন্দর বাংলাদেশের একটি অন্যতম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত। পাটগ্রাম উপজেলা থেকে এর দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ৮নং বুড়িমারী ইউনিয়নে বুড়িমারী সীমান্তে এই স্থলবন্দরটি অবস্থিত।
ভারত ভুটান এবং নেপালের সাথে স্থলপথে মালামাল আমদানি ও রপ্তানির সুবিধার জন্য এই বুড়িমারী এলাকার জিরো পয়েন্টে এই বন্দরটি ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে চালু করা হয়। এই বন্দর দিয়ে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে কয়লা, কাঠ, টিম্বার, পাথর, সিমেন্ট, চায়না ক্লে, বল ক্লে, কোয়ার্টজ, রাসায়নিক সার, কসমেটিক সামগ্রী, পশু খাদ্য, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, গম, বিভিন্ন ধরনের বীজ, তামাক ডাটা প্রভৃতি মালামাল আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ, মেলামাইনের তৈরি বাসনপত্র এবং ওষুধসহ কতিপয় মালামাল।