অধ্যায়-মানচিত্র পঠন ও ব্যবহার
-ক্যাডাস্ট্রাল শব্দটি এসেছে- ফ্রেঞ্চ শব্দ ক্যাডাস্ট্রে থেকে।
-টপোগ্রাফিক মানচিত্র হচ্ছে- প্রাকৃতিক বিষয়ক মানচিত্র।
-জলবায়ুগত মানচিত্রে তথ্য থাকে- বায়ু তাপ, চাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদি সম্পর্কে।
-বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রের সীমা দেখিয়ে তৈরি করা হয়- রাজনৈতিক মানচিত্র।
-ভূগোল শাস্ত্রের একটি প্রয়োজনীয় বিষয়- স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানত্রি।
-স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে থাকে- ভূপ্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়।
-প্রত্যেক মানচিত্রের থাকে- একটি শিরোনাম।
-বাংলাদেশের মানচিত্র- রাজনৈতিক।
-মানচিত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- দিক জানা।
-বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রের সীমানা, ঐতিহাসিক স্থান, সমাজব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে- সাংস্কৃতিক মানচিত্র তৈরি হয়।
-কোনো দেশ বা কোনো অঞ্চল নিশ্চিত করা হয়- শিরোনাম এর সাহায্যে।
-স্কেল এর সাহায্যে- মানচিত্রে ১ ইঞ্চি সমান কম মাইল বা সেন্টিমিটার তা দেখান যায়।
-কোন প্রতীক দিয়ে কী বুঝানো হয় তা নির্দেশ করে- সূচক।
-সব মানচিত্র তৈরি হয়- তথ্য বা উপাথ্যের ভিত্তিতে।
-পৃথিবীকে ভাগ করা হয়েছে- ৩৬০ক্ক দ্রাঘিমারেখা দিয়ে।
-সূর্যোদয় আগে হয়- পূর্ব দিকের দেশগুলোতে।
-পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে- পৃথিবী।
-আকাশে সূর্যের অবস্থান থেকে স্থিরকৃত ু স্থানীয় সময়।
-পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে গণনা করা হয়েছে- যুক্তরাজ্যের
-লন্ডন শহরের অদূরে অবস্থিত (০ক্ক দ্রাঘিমায়) স্থানীয় সময়কে।
-যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রমাণ সময় যথাক্রমে -৪টি ও ৫টি।
-দেশের আয়তনের উপর ভিত্তি করে প্রমাণ সময়- একাধিক হতে পারে।
-বাংলাদেশের মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করেছে- ৯০ক্ক দ্রাঘিমারেখা।
-৯০ক্ক পুর্ব দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কে প্রমাণ সময় ধরে কাজ করা যায় বাংলাদেশে।
-জমির সীমানা নির্ধারণ করা যায়-জিআইএসের মাধ্যমে -বাংলাদেশে যখন দুপুর ১২টা তখন সকাল ৬টা বাজে- যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে।
-প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হচ্ছে- ৪ মিনিট।
-প্রতিটি ডিগ্রিকে ভাগ করা হয়- ৬০ মিনিটে।
-ঢাকার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা হলে রিয়াদের স্থানীয় সময়- সকাল ১১টা।
-টোকিও ঢাকার পুর্ব দিকে বলে এর দ্রাঘিমা হবে -১৩৯ক্ক৪৫র্ পূর্ব।
-জিপিএস -এর ইংরেজি হলো- এষড়নধষ ঢ়ড়ংরঃরড়হরহম ংুংঃবস.
-কোনো স্থানের গেস্নাবাল অবস্থান জানা যায়- এচঝ এর মাধ্যমে।
-জিআইএস ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়-১৯৮০ সালে।
-জিপিএসএর মূল্য বেশি তাই- সহজলভ্য নয়।
-জিপিএস সনাতন পদ্ধতির।
-জিপিএস এর মাধ্যমে- জমির সীমানা চিহ্নিত করা যায়।
-ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা যায়- এওঝ এর মাধ্যমে।
-জিআইএস ১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথম ব্যবহার শুরু হয়।
-কোনো মানচিত্রের উপযোগিতা বাড়ানো যায়- এর মাধ্যমে।
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন :মেহেদি মানচিত্র পঠনে অত্যন্ত দক্ষ। সে একটি এটলাসে পৃথিবীর মহাদেশগুলো পর্যবেক্ষণ করছিল।
ক. আন্তর্জাতিক সাংকেতিক চিহ্ন কাকে বলে?
খ. জিপিএস 'এর কার্যনীতি ব্যাখ্যা কর।
গ. মেহেদির পর্যবেক্ষণকৃত মানচিত্রের অনুরূপ মানচিত্র আঁক।
ঘ. মেহেদির দক্ষতা পর্যালোচনা কর।
উত্তর :
ক. সারা পৃথিবীর মানচিত্রাঙ্কনবিদগণ মানচিত্র আঁকার সময় যেসব বিশেষ প্রতিকৃতি চিত্র ব্যবহার করেন সেগুলোকে আন্তর্জাতিক সাংকেতিক চি?হ্ন বলে।
খ. জিপিএস তার রিসিভার দিয়ে ভূউপগ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্য সংগ্রহের জন্য মোটামুটি মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশের প্রয়োজন হয়। তখন জিপিএস যন্ত্রটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। কোনো কোনো সময় উঁচু খাড়া পাহাড়, উঁচু ইমারত থাকলে জিপিএস দ্বারা সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং এতে সময় বেশি লাগে।
গ. মেহেদি এটলাস তথা ভূচিত্রাবলির মানচিত্রে পৃথিবীর মহাদেশগুলো পর্যবেক্ষণ করছিল। একটি ভূচিত্রাবলি মানচিত্র অঙ্কন করে পৃথিবীর মহাদেশগুলোর অবস্থান দেখাতে হবে।
চিত্র : ভূচিত্রাবলি মানচিত্রে মহাদেশের অবস্থান (মানচিত্র অঙ্কন করবে)
ঘ. মেহেদি মানচিত্র পঠনে অত্যন্ত দক্ষ। মানচিত্র পঠন ভূগোল শাস্ত্রের একটি প্রধান ও প্রয়োজনীয় বিষয়। এই বিশাল পৃথিবীকে অথবা পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের এক একটি রূপ মানচিত্রের মধ্যে যেভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় অন্য কোনো উপায়ে তা সম্ভব নয়। মানচিত্রে বিভিন্ন প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে ভূপ্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়সমূহের একটি সুন্দর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। যেকোনো ভাষায় একটি মানচিত্র পাঠ করতে হলে নানা ধরনের প্রতীক চিহ্নের সাহায্য নিতে হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের মানচিত্রের মধ্যে এসব নির্ধারিত প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করে আসছে। এই কারণে এসব চিহ্নকে আন্তর্জাতিক প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন বলে। মানচিত্র পাঠ করার জন্য এই প্রতীক চিহ্নগুলো অত্যন্ত জরুরি বলে মানচিত্রের নিচের দিকে এই প্রতীক চিহ্নগুলোর সূচক দেওয়া থাকে। উদ্দীপকের মেহেদির মতো যে ব্যক্তির এই চিহ্নগুলো সম্বন্ধে যত ভালো ধারণা থাকবে তিনি তত ভালোভাবে মানচিত্র পাঠ করতে পারবেন।
প্রশ্ন : বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ভূগোল ক্লাসে বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক মানচিত্র দেখানো হলো। মানচিত্রের নিচে রেখাচিত্রের সাহায্যে স্কেল অঙ্কিত ছিল। শিক্ষক ছাত্রদের স্কেল সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য সেন্টিমিটারে এবং ইঞ্চিতে রেখাচিত্রের সাহায্যে স্কেল এঁকে দেখালেন এবং বর্ণনা করলেন।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়