পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
জনসংখ্যা প্রশ্ন : অতিরিক্ত জনসংখ্যা কী? জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন কেন? জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের চারটি উপায় লেখ। উত্তর : একটি দেশের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জনসংখ্যাই হলো অতিরিক্ত জনসংখ্যা। দেশের উন্নতির জন্য জনসংখ্যা সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন। জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের চারটি উপায় হলো- ১. জনসংখ্যা পরিকল্পনা করা। ২. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ৩. মানবসম্পদ রপ্তানি করা। ৪. অধিক জনসংখ্যার কুফল সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালানো। প্রশ্ন : জনশক্তি রপ্তানি কী? জনশক্তি রপ্তানি প্রয়োজন কেন? জনশক্তি রপ্তানির চারটি সুফল লেখ। উত্তর : কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশে প্রেরণ করাকে জনশক্তি রপ্তানি বলে। জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য জনশক্তি রপ্তানি করা প্রয়োজন। জনশক্তি রপ্তানির চারটি সুফল হলো- ১. কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। ২. প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায়। ৩. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। ৪. জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নতি হয়। প্রশ্ন : দক্ষ জনসম্পদ কী? দক্ষ জনসম্পদ প্রয়োজন কেন? দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার চারটি উপায় লেখ। উত্তর : উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে যে কর্মক্ষম ও উৎপাদনে সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি হয় তাই দক্ষ জনসম্পদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ জনসম্পদ প্রয়োজন। দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার চারটি উপায় হচ্ছে- ১. শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা। ২. প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি করা। ৩. উপযুক্ত খাদ্য ও পুষ্টি, পরিবেশসম্মত আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। ৪. কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা। জলবায়ু ও দুর্ভোগ প্রশ্ন : আবহাওয়া কী? প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে কেন? চারটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লেখ। উত্তর : কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়া বলে। জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। চারটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে- (র) বন্যা, (রর) খরা, (ররর) ভূমিকম্প ও (রা) নদীভাঙন। প্রশ্ন : জলবায়ু কী? জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে কেন? জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ লেখ। উত্তর : জলবায়ু হচ্ছে কোনো স্থানের ৩০-৪০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড়। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন দূষণ এবং বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ হলো- ১. শিল্প-কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া। ২. নদী থেকে বালু উত্তোলন। ৩. অধিক হারে উঁচু ভবন নির্মাণ। ৪. অবাধে পাহাড় ও গাছপালা কাটা। প্রশ্ন : জলবায়ু পরিবর্তনের ছয়টি প্রভাব লেখ। উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের ছয়টি প্রভাব হলো- ১. গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ২. অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি। ৩. গাছপালা ও বিভিন্ন প্রাণীর ধ্বংস। ৪. ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সৃষ্টি। ৫. প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট এবং ৬. মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষিজমি বিনষ্ট হওয়া। প্রশ্ন : দুর্যোগ কী? দুর্যোগের পূর্বাভাস জানা প্রয়োজন কেন? উত্তর : দুর্যোগ হচ্ছে প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট ক্ষতিকর দুর্ঘটনা। দুর্যোগের ভয়াবহতা থেকে জানমালের রক্ষার জন্য এর পূর্বাভাস জানা প্রয়োজন। দুর্যোগ পরবর্তী চারটি করণীয় হলো- ১. রেডিও-টেলিভিশনে চূড়ান্তভাবে দুর্যোগ থেমে যাওয়ার ঘোষণা শোনার পর বাড়ি ফিরতে হবে। ২. আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ৩. ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করতে হবে। ৪. আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গবাদিপশু ও পাখি নিয়ে আসতে হবে। প্রশ্ন : নদীভাঙন কী? নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেন? নদীভাঙনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ লেখ। উত্তর : নদীভাঙন হচ্ছে স্রোতের কারণে নদীর পাড় ভেঙে স্থলভাগ বিলীন হয়ে যাওয়া। মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক কারণে অনেক সময় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীভাঙনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ হলো- ১. নদী থেকে অধিক বালি উত্তোলন। ২. নদী তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা। ৩. অপরিকল্পিত নদীশাসন। ৪. নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা। প্রশ্ন : খরা কী? খরা হয় কেন? খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ। উত্তর : দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্ট হয়, তাকে খরা বলে। দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং অল্পসংখ্যক নদীর কারণে খরা হয়। খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে- ১. পুকুর, নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে যায়। ২. মাঠে ফসল ফলাতে কষ্ট হয়। ৩. গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ৪. খাবার পানির অভাব দেখা দেয়। মানবাধিকার প্রশ্ন : মানবাধিকার কী? মানবাধিকার রক্ষা করার প্রয়োজন কেন? মানবাধিকার রক্ষার চারটি উপায় লেখ। উত্তর : সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসব অধিকার প্রয়োজন, তাই মানবাধিকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিশ্বের সব দেশের সব মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য মানবাধিকার প্রয়োজন। মানবাধিকার রক্ষার চারটি উপায় হলো- ১. সবাইকে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়া। ২. মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখলে প্রতিরোধ করা। ৩. মানবাধিকার রক্ষায় আন্দোলন করা। ৪. প্রয়োজনে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়