বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
প্রশ্ন :কুটিরশিল্প কাকে বলে? চারটি কুটিরশিল্পের নাম লেখো।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে।
চারটি কুটিরশিল্পের নাম হলো- ১. তাঁতশিল্প, ২. কাঠশিল্প, ৩. বাঁশ-বেতশিল্প, ৪. কাঁসাশিল্প।
প্রশ্ন : কুটিরশিল্প কাকে বলে? বৃহৎশিল্প ও ক্ষুদ্রশিল্পের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটিরশিল্প বলে।
১. বৃহৎ শিল্প বড় বড় কারখানায় অবস্থিত। অন্যদিকে ক্ষুদ্রশিল্প ছোট ছোট কারখানায় অবস্থিত।
২. বৃহৎশিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে ক্ষুদ্রশিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ কুটিরশিল্প অপেক্ষা বেশি।
৩. বাংলাদেশের বৃহৎশিল্পের মধ্যে পাটশিল্প, সারশিল্প, সিমেন্টশিল্প, কাগজশিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রশিল্পের মধ্যে সাবানশিল্প, হোসিয়ারিশিল্প, রেশমশিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।
প্রশ্ন : কুটিরশিল্প কী? বাংলাদেশে কুটিরশিল্পের প্রয়োজন কেন? তিনটি কুটিরশিল্পের নাম লেখো।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ বেকারত্ব নিরসনের জন্য বাংলাদেশে কুটিরশিল্পের প্রয়োজন।
কাঠশিল্প, ২. মৃৎশিল্প, ৩. কাঁসাশিল্প।
প্রশ্ন : পাট কী? পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয় কেন? পাটের তিনটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর : পাট এক প্রকার সোনালি আঁশ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ জন্য বাংলাদেশে পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়। পাটের তিনটি ব্যবহার-
১. পাট দিয়ে তৈরীকৃত রশি পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য জিনিসপত্র বেঁধে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
২. পাটের তৈরি কার্পেট বাড়িতে, মসজিদ ও অফিস-আদালতে ব্যবহার করা হয়।
৩. পাট দিয়ে তৈরীকৃত বস্তা পণ্যসামগ্রী বহন করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় কোন শিল্পের অধিকাংশ কারখানা রয়েছে? শিল্পটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো। উত্তর : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় বস্ত্রশিল্পের অধিকাংশ কারখানা রয়েছে। বস্ত্রশিল্প সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. এ দেশের তাঁতশিল্পে উন্নতমানের সুতি, সিল্ক ও জামদানি শাড়ি তৈরি হচ্ছে।
২. একসময় এ দেশের তৈরি মসলিন কাপড় জগদ্বিখ্যাত ছিল।
৩. দেশের বস্ত্রশিল্পগুলো দেশের বস্ত্রের চাহিদা মেটাতে পারে না।
৪. প্রতি বছর আমাদের বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বাক্যে লেখো। উত্তর : বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের গুরুত্ব সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য-
১. বর্তমানে পোশাকশিল্প বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
২. বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে।
৩. এসব কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের বেশির ভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়।
৪. বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে কয়েক লাখ নারী ও পুরুষ কাজ করে।
৫. পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতি বছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : বাংলাদেশের অথর্নীতিতে শিল্পের অবদান সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য :
\হ১. ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান প্রায় ৩০%।
\হ২. শিল্প দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে।
\হ৩. শিল্প-কারখানায় অনেক শিল্পসামগ্রী তৈরি হয়।
\হ৪. এসব শিল্পসামগ্রী রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
\হ৫. শিল্প-কারখানায় অনেক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়।
প্রশ্ন : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে তা পাঁচটি বাক্যে দেওয়া হলো-
১. বাংলাদেশের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফলন বাড়িয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
২. পৃথিবীতে ভারতের পর বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পাট উৎপাদিত হয়। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
৩. চা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করা যায়।
৪. হিমায়িত চিংড়ি ও হিমায়িত মাছ রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করা সম্ভব।
৫. তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
প্রশ্ন : ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কোন শিল্প বলে? এ ধরনের একটি শিল্পের নাম লেখো। শিল্পটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে।
কাঁসা একটি অন্যতম কুটিরশিল্প। কাঁসাশিল্প সম্পর্কে তিনটি বাক্য-
১. গৃহস্থালির নানা কাজে কাঁসার তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হয়।
২. জামালপুর জেলার ইসলামপুর এবং টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি কাঁসাশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
৩. ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে প্রচুর কাঁসার জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।
প্রশ্ন : মৌলিক চাহিদা কী? এটি পূরণ করা প্রয়োজন কেন? মৌলিক চাহিদার ওপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব লেখো।
উত্তর : মানুষের জীবনধারণের জন্য যে চাহিদাগুলো অপরিহার্য সেগুলো পূরণ করাকে মৌলিক চাহিদা বলে। সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করা প্রয়োজন। মৌলিক চাহিদার ওপর অধিক জনসংখ্যার চারটি প্রভাব হলো-
\হ১. খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
\হ২. সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
\হ৩. সবার জন্য প্রয়োজন মতো বস্ত্র কেনা যায় না।
\হ৪. সবার জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায় না।