রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
আহসান মঞ্জিল

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন

প্রশ্ন : বাংলাদেশের একটি বিশেষ খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্থান যেটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এ ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত? স্থানটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানটির নাম মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। মহাস্থানগড় সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-

১. মহাস্থানগড় খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৯০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।

২. মৌর্য আমলে এ স্থানটি পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।

৩. মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।

প্রশ্ন : স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাল রাজা ধর্মপালের আমলে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক স্থান দেখতে গিয়েছিল। উক্ত স্থান কোনটি? স্থানটি কোথায় অবস্থিত? এ স্থান সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর : স্থানটি হলো পাহাড়পুর। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। পাহাড়পুর সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো-

১. ঐতিহাসিক নিদর্শন পাহাড়পুর ৭৮১-৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়।

২. এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে, যেটি 'সোমপুর মহাবিহার' নামেও পরিচিত।

৩. সোমপুর মহাবিহার ছাড়াও পাহাড়পুরে মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর এবং পাকা নর্দমা রয়েছে।

প্রশ্ন : কোন ঐতিহাসিক স্থানটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিলস্না শহরের কাছে অবস্থিত। স্থানটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিক স্থানটির নাম কী? স্থানটিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানটির নাম ময়নামতি। ময়নামতিতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে ৪টি বাক্য হলো-

১. ময়নামতিতে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।

২. এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।

৩. জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির বিভিন্ন স্মৃতির নিদর্শন দেখা যায়।

৪. ময়নামতিতে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলক পাওয়া গেছে।

প্রশ্ন : ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে একটি ঐতিহাসিক স্থান অবস্থিত। এটি বাংলার নবাবদের প্রাসাদ ছিল। উক্ত স্থানের নাম কী? উক্ত স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

উত্তর : ওই স্থানের নাম আহসান মঞ্জিল। আহসান মঞ্জিলের ইতিহাস সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উলেস্নখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন।

২. মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউলস্না এ প্রাসাদটি তৈরি করেন।

৩. আঠারো শতকে তার পুত্র শেখ মতিউলস্নাহ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।

৪. ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুলস্নাহ ফরাসিদের কাছ থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে এটিকে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন।

প্রশ্ন : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো কোথায় রাখা হয়? ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে রাখা হয়। ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ-

১. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের অতীত সভ্যতার পরিচয় বহন করে।

২. অতীতের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পরিচয় বহন করে বলে।

৩. অতীত ইতিহাস জানতে সহায়তা করে।

৪. আমরা এসব ঐতিহ্যে গৌরববোধ করি বলে।

প্রশ্ন : মহাস্থানগড় কোন নামে পরিচিত ছিল? নগরটি কোন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? মহাস্থান গড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শনের নাম লেখো।

উত্তর : মহাস্থানগড় 'পুন্ড্রনগর' নামে পরিচিত ছিল। পুন্ড্রনগর মৌর্য আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত তিনটি নিদর্শন হলো-

১. প্রাচীন বাহ্মী শিলালিপি।

২. পোড়ামাটির ফলক, ভাস্কর্য ধাতব মুদ্রা, পুঁতি।

৩. ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।

উত্তর : মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো-

১. মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান।

২. এটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।

৩. এখানে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ নগর পুন্ড্রনগরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

৪. মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিলালিপি পাওয়া গেছে।

৫. এখানে গোবিন্দ ভিটা, লখিন্দরের মেধ ও 'গোকুল মেধ' নামে ধর্মীয় পুরাকীর্তি রয়েছে।

প্রশ্ন : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো পরিদর্শনের পাঁচটি কারণ লেখো।

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের পাঁচটি কারণ হলো-

১. অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে জানা যায়।

২. পর্যটকরা এসব স্থান ভ্রমণ করে আনন্দের পাশাপাশি অনেক কিছু শেখার জন্য।

৩. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।

৪. নিদর্শনগুলোর সঠিক ইতিহাস জানা যায়।

৫. ঐতিহাসিক স্থানগুলোর ছবি সংগ্রহে রাখা যায়।

প্রশ্ন : পাহাড়পুর গড়ের উচ্চতা কত মিটার? পাহাড়পুর গড়টি কী নামে পরিচিত? পাহাড়পুরের প্রাপ্ত তিনটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম লেখো।

উত্তর : পাহাড়পুর গড়ের উচ্চতা ২৪ মিটার। পাহাড়পুরের গড়টি সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত।

পাহাড়পুরের প্রাপ্ত তিনটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হলো-

১. মন্দির ২. জীবজন্তুর মূর্তি ৩. টেরাকোটা

পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে