বাংলাদেশের হাওড়

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
হাইল হাওড়
নলুয়ার হাওড় নলুয়ার হাওড় বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় হাওড়। এই হাওড় জগন্নাথপুর উপজেলা ছাড়াও দিরাই ও ছাতক উপজেলায় বিস্তৃত। সুনামগঞ্জ জেলার ধান চাষের সবচেয়ে বড় উৎস এই হাওড়। বর্ষাকালে নলুয়ার হাওড়ের মাধ্যমে নদীপথে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যায়। জগন্নাথপুর উপজেলা মাছ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত একটি স্থান। দেশি হরেক রকমের মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নলুয়ার হাওড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। প্রতি বছর অসংখ্য পরিযায়ী পাখি আসে এই হাওড়ে। যার মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস পাতিসরালি, পানকৌড়ি, সাদাবক ও জল ময়ুরী। নলুয়ার হাওড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এ হাওড়ের বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই উলেস্নখ করা যায় মহাশোলের কথা। নলুয়ার হাওড়ে উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম হলো জলজ উদ্ভিদ। এছাড়া আছে হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলশী, নলখাগড়া, বলস্নুয়া, চালিয়া ইত্যাদি জাতের উদ্ভিদও। হাইল হাওড় হাইল হাওড় বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার কিয়দাংশে অবস্থিত একটি বৃহদায়তন জলাভূমি। হাইল হাওড় সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার সদর ও শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত। এতে রয়েছে ১৪টি বিল এবং পানি নিষ্কাশনের ১৩টি নালা। এই হাওড়টির মোট আয়তন ১০ হাজার হেক্টর; যার ৪ হাজার হেক্টর পস্নাবণ ভূমি, ৪ হাজার ৫১৭ হেক্টর হাওড়, ১ হাজার ৪০০ হেক্টর বিল, ৪০ হেক্টর খাল এবং ৫০ হেক্টর নদী। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও অন্যান্য প্রাণী দেখা যায় এখানে; এদের মধ্যে কুড়া পাখি প্রধান। হাইল হাওড়ে পূর্বে ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাস থাকলেও বর্তমানে এদের মধ্যে ২১ প্রজাতি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরও ১১ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মাছগুলো হলো : বাচা, ঘারুয়া, ছেপচালা, বাঘাইড়, ঢেলা, রিটা, বাঁশপাতা, রানী, নাফতানি, নাপিত কই, তারা বাইম, বামোশ, বড় বাইম, তিতপুঁটি, নামা চান্দা, একথুটি, চাকা, শ্বেত সিংগি, শ্বেত মাগুর মাছ; পক্ষান্তরে, বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলো হলো : পাবদা, আইড়, বেদা, মিনি, ফলি, গজার, গুলশা, দাড়কিনি, চিতল, টাটকিনি ও তারা বাইন। মইয়ার হাওড় মইয়ার হাওড় বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি হাওড়। এটি জগন্নাথপুরের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওড়। জগন্নাথপুর শহর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মইয়ার হাওড়ের অবস্থান। আগে এখানে বোরো আবাদ হতো এখানে। ১৯৯৯ সালে হাওড়ের ভেতর দিয়ে সড়ক নির্মাণ হলে এর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হাওড়টি ধীরে ধীরে মরতে বসেছে। বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে হাওড়ের জমি আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে।