দ্বাদশ অধ্যায়
প্রশ্ন : ঘরবাড়িকে সোজাভাবে ধরে রাখতে শক্ত খুঁটি বা পিলার দিয়ে তৈরি কাঠামোর দরকার হয়, আমাদের দেহে কি এমন কোনো কাঠামো রয়েছে?
উত্তর : আমাদের দেহকেও সোজাভাবে ধরে রেখে একটি নির্দিষ্ট আকৃতি দিতে রয়েছে একটি মজবুত কাঠামো, সেটি হলো কঙ্কাল।
প্রশ্ন : কোন তৈলাক্ত পদার্থের উপস্থিতির জন্য আমরা আমাদের হাঁটু, কনুই খুব সহজে নড়াচড়া করতে পারি?
উত্তর : সাইনোভিয়াল রস নামক এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থের উপস্থিতির জন্য আমরা আমাদের হাঁটু, কনুই খুব সহজে নড়াচড়া করতে পারি।
প্রশ্ন : তোমাদের এলাকায় কোন কারখানা দেখার অভিজ্ঞতা কি আছে? পরিপাকতন্ত্রের অকাগুলোর সাথে এই কারখানার বিভিন্ন কাজের কোন মিল কি খুঁজে পাও? তোমার ভাবনা নিচে লিখে রাখো।
উত্তর : হ্যাঁ, আমাদের এলাকায় জুস তৈরির কারখানা দেখার অভিজ্ঞতা আছে। পরিপাকতন্ত্রের অঙ্গগুলোর সাথে এই কারখানার বিভিন্ন কাজের মিল রয়েছে।
পরিপাকতন্ত্রের অঙ্গ কারখানার বিভিন্ন কাজ
মুখগহ্বর ট্রাকে আম পরিবহণ
অন্ননালি আমভর্তি ট্রাক কারখানায় নিয়ে আসা
পাকস্থলী জুস বানানোর প্রক্রিয়া শুরু
ক্ষুদ্রান্ত্র প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করা
বৃহদন্ত্র অপ্রয়োজনীয় বা অযাচিত অংশ আলাদা করা এবং জুস প্রক্রিয়াজাতকরণ
পায়ু জুস বানানোর সময়
অপ্রয়োজনীয় বা অযাচিত অংশের নিঃসরণ
পুষ্টি বা শক্তি কোষে পরিবহণ উৎপাদিত জুস ট্রাকের মাধ্যমে সর্বত্র পৌঁছে দেয়া
প্রশ্ন : কোন কোন অভ্যাসের কারণে, বা কোন অসচেতনতার জন্য পরিপাকতন্ত্রের কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর : সুস্থ পরিপাকতন্ত্র সুস্থ জীবনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু অভ্যাস বা অসচেতনতা যেমন- খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ না করা, আঙ্গুলের নখ বড় রাখা, নির্দিষ্ট সময়ে না খাওয়া, বাসি বা পচা খাবার খাওয়া, পরিমিত নিরাপদ পান পানি না করা, অতিরিক্ত মসলা বা তেলযুক্ত এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গ্রহণ ইত্যাদির জন্য পরিপাকতন্ত্রের কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আমি মনে করি।
ত্রয়োদশ অধ্যায়
রুদ্র প্রকৃতি
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিভাবে সংঘটিত হয় তা নিয়ে আলোচনা করি ও লিখি।
উত্তর :
১. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : ঘূর্ণিঝড়
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় :বর্ষাকালের শুরুতে এপ্রিল-মে মাসে এবং বর্ষার শেষে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।
দেশের অন্য যেসব এলাকায় এই দুর্যোগ দেখা যায় :
উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, ভোলা ইত্যাদি।
২. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : বন্যা
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় : বর্ষাকালে সংঘটিত হয়। এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে।
দেশের অন্য যেসব এলাকায় এই দুর্যোগ দেখা যায় :
উত্তরাঞ্চলে বন্যার প্রকোপ বেশি দেখা যায়। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা ইত্যাদি। এছাড়াও দেশের পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সিলেটে বন্যার প্রকোপ দেখা যায়।
ভূমিকম্প
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় :
বছরের যেকোনো সময় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে।
দেশের অন্য যেসব এলাকায় এই দুর্যোগ দেখা যায় :
ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন; সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উলেস্নখযোগ্য। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ।
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : জলোচ্ছ্বাস
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় : বর্ষাকালের শুরুতে মে-জুন এবং বর্ষার শেষে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।
দেশের অন্য যেসব এলাকায় এই দুর্যোগ দেখা যায় :
উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ভোলা, কক্সবাজার, নোয়াখালী ইত্যাদি।
৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : খরা
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় : গ্রীষ্মকালে খরা সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে খরা মার্চ থেকে জুন মাসে হয়।
দেশের অন্য যেসব এলাকায় এই দুর্যোগ দেখা যায় :
খরা বেশি দেখা যায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেমন : দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ইত্যাদি অঞ্চলে।
৫. প্রাকৃতিক দুর্যোগ : নদীভাঙন
দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় : বর্ষাকালে নদীভাঙন ঘটে।
দেশের অন্য যেসব এলাকায় এই দুর্যোগ দেখা যায় :
নদীপাড়ের জেলাগুলোতে নদীভাঙন হয়। যার মধ্যে রয়েছে মাওয়া, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ইত্যাদি।
প্রশ্ন : সবগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কি একই সময়ে ঘটে?
উত্তর : না। প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সময় আলাদা।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়