চতুর্দশ অধ্যায়
প্রশ্ন :বাংলাদেশের পাহাড়গুলো কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর : বাংলাদেশের পাহাড়গুলো বেলেপাথর, শেলপাথর এবং কর্দম দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন :কত সাল থেকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড সংগৃহীত শুরু হয়?
উত্তর : ১৫৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড সংগৃহীত শুরু হয়।
প্রশ্ন :অগভীর কেন্দ্র কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তর : অগভীর কেন্দ্র ০-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্ন :কত সালে কক্সবাজার এবং সন্নিহিত অঞ্চলে সুনামির প্রভাব ঘটে?
উত্তর : ১৭৬২ সালের ২রা এপ্রিল কক্সবাজার এবং সন্নিহিত অঞ্চলে সুনামির প্রভাব ঘটে।
প্রশ্ন :মিয়ানমারে আরাকান উপকূলে কত মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটনের ফলে সুনামির আগমন হয়?
উত্তর : মিয়ানমারে আরাকান উপকূলে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটনের ফলে সুনামির আগমন হয়।
প্রশ্ন :কত সালে আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি হয়?
উত্তর : ১৯৪১ সালে আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি হয়।
প্রশ্ন :১৯৪১ সালে বঙ্গোপসাগরের সুনামিতে কত জন প্রাণ হারায়?
উত্তর : ১৯৪১ সালে বঙ্গোপসাগরের সুনামিতে ৫,০০০ জন প্রাণ হারায়।
প্রশ্ন :ভূমিকম্পের সাথে কোনটি সংঘটনের সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর : ভূমিকম্পের সাথে সুনামি সংঘটনের সম্পর্ক রয়েছে।
প্রশ্ন :'স্পারসো' কী?
উত্তর : 'স্পারসো' হলো মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি সরকারি সংস্থা।
প্রশ্ন :ভূমিকম্পের কেন্দ্র উপকেন্দ্রের সাথে কয় ধরনের পরিমাপ সম্পর্কযুক্ত?
উত্তর : ভূমিকম্পের কেন্দ্র উপকেন্দ্রের সাথে তিন ধরনের পরিমাপ সম্পর্কযুক্ত।
প্রশ্ন :দুর্যোগ প্রস্তুতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দুর্যোগ প্রস্তুতি বলতে দুর্যোগপূর্ব সময়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাসমূহকে বোঝায়।
প্রশ্ন :মহাকাশ গবেষণার জন্য সরকারি একটি সংস্থার নাম কী?
উত্তর : মহাকাশ গবেষণার জন্য সরকারি একটি সংস্থার নাম হচ্ছে স্পারসো।
প্রশ্ন :কোনগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান?
উত্তর : দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রশমন এবং দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান।
প্রশ্ন :দুর্যোগ প্রশমন কী?
উত্তর : দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস এবং দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতিকেই দুর্যোগ প্রশমন বলা হয়।
প্রশ্ন :কোন ধরনের দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল?
উত্তর : কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল।
প্রশ্ন :দুর্যোগের পরপরই কিসের প্রয়োজন হয়?
উত্তর : দুর্যোগের পরপরই উপযুক্ত সাড়াদানের প্রয়োজন হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন :বাংলাদেশে কী কী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর : বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের নিত্যসঙ্গী। নিচে বাংলাদেশে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তার
একটি তালিকা তৈরি করা হলো :
১. ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস
২. বন্যা
৩. নদীভাঙন
৪. খরা
৫. শৈত্যপ্রবাহ
৬. টর্নেডো
৭. কালবৈশাখী
৮. ভূমিকম্প
প্রশ্ন :বন্যা সৃষ্টির কৃত্রিম কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কিছু মনুষ্য সৃষ্ট কারণে বন্যা সংঘটিত হয়। যেমন : নদী অববাহিকায় ব্যাপক বৃক্ষ কর্তন। গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ, অন্যান্য নদীতে বাঁধের প্রভাব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ। এগুলোকে বন্যা সৃষ্টির কৃত্রিম কারণ বলা হয়।
প্রশ্ন :বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদী বন্যার জন্য দায়ী কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর উৎস চীন, নেপাল, ভারত ও ভূটান। এ ৩টি নদীর মোট অববাহিকা এলাকার পরিমাণ ১৫,৫৪,০০০ বর্গকিলোমিটার। এসব নদী প্রবাহের ৮০ শতাংশের বেশি পানি বাইরে থেকে আসে এবং বন্যার জন্য দায়ী ৯০ শতাংশ পানিই এ ৩টি নদী নিয়ে আসে। তাই প্রধান তিনটি নদীই বন্যার জন্য দায়ী।
প্রশ্ন :কীভাবে খরা মোকাবিলা করা সম্ভব?
উত্তর : খরা বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা খুব সহজ নয়। তবে সচেতন হলে ও সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকখানি কমানো যেতে পারে। এজন্য ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পরীক্ষা করে মাটির নিচ থেকে পানি উত্তোলন বন্ধ করে খরা মোকাবিলা করা যেতে পারে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহারে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। উলিস্নখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে খরার ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়