বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
  ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন

দশম অধ্যায়

প্রশ্ন :নলকূপের মাধ্যমে কোন ধরনের পানি উত্তোলন করা হয়?

উত্তর : ভূ-গর্ভস্থ।

প্রশ্ন : মানবসৃষ্ট একটি পানির উৎসের নাম লেখ।

উত্তর : দিঘি।

প্রশ্ন : নদীর পানি কোন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করা যায়?

উত্তর : ফুটিয়ে ও ছাকন পদ্ধতিতে।

প্রশ্ন : বালি ও কাদার মিশ্রণ পৃথক করার প্রক্রিয়ার নাম কী?

উত্তর : ছাকন

প্রশ্ন : যে বস্তু অন্য বস্তুর মধ্যে দ্রবীভূত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর : দ্রব।

প্রশ্ন : দ্রবণের ভিতর থেকে অদ্রবণীয় কঠিন পদার্থের কণাগুলোকে আলাদা করা যায় কোন প্রক্রিয়ায়?

উত্তর : ছাকন।

প্রশ্ন : স্যালাইন কোন ধরনের মিশ্রণ?

উত্তর : সমসত্ত্ব।

প্রশ্ন : অসমসত্ব মিশ্রণের ১টি উদাহরণ দাও।

উত্তর : খিচুড়ি।

প্রশ্ন : যে মিশ্রণের উপাদানগুলো পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে পড়ে তাকে কী বলে?

উত্তর : সাসপেনশন।

প্রশ্ন :সসের বোতল কোন ধরনের মিশ্রণ-

উত্তর : সাসপেনশন

প্রশ্ন : দুধ কোন ধরনের মিশ্রণ?-

উত্তর : কলয়েড।

প্রশ্ন : সমুদ্রের পানি কোন ধরনের মিশ্রণ?

উত্তর : সমসত্ব।

একাদশ অধ্যায়

পৃথিবীর কোনো মানুষই ডাইনোসর দেখেনি। তারপরেও আশ্চর্য প্রাগৈতিহাসিক প্রাণিটি সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি। তোমাদেরও নিশ্চয়ই অনেক কৌতূহল আছে? ডাইনোসর সম্পর্কে আমরা যতকিছু জানি তা জেনেছি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ডাইনোসরের জীবাশ্মে পরিণত হওয়া হাড়গোড় থেকে। আর এইসব হাড়গোড় পাওয়া গেছে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন শিলা স্তরে। তাই এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ডাইনোসর সম্পর্কে যেমন জানবে, তেমনি জানবে বিভিন্ন প্রকার শিলা ও শিলার গঠন নিয়ে।

প্রশ্ন : পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটেছে কত বছর আগে?

উত্তর : সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে।

প্রশ্ন : ডাইনোসর যুগের সব থেকে ভয়ংকর ও হিংস্র ভাইনোসর কোনটি ছিল?

উত্তর : টাইরোনোসরাস রেক্স/টি-রেক্স (ঞ জবী)।

শিলার গঠন এবং জীবাশ্মের মধ্যকার সম্পর্ক অনুধাবন করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন : শিলার গঠন ও বৈশিষ্ট্য জেনে তাদের ব্যবহার ও অন্যান্য তথ্য লিখি।

উত্তর :

১.শিলার ধরন : আগ্নেয়

কীভাবে গঠিত হয় : ভূ-অভ্যন্তরস্থ উত্তপ্ত ও গলিত শিলা ক্রমে ঠান্ডা হয়ে গঠিত হয়। এর গঠন প্রক্রিয়া পদার্থের ভৌত পরিবর্তন।

বৈশিষ্ট্য :

র. স্ফটিকাকার

রর. অস্তরীভূত

ররর. কঠিন ও কম ভঙ্গুর

রা . জীবাশ্ম নেই

া. অপেক্ষাকৃত ভারী

ব্যবহার :

র. ভাস্কর্য তৈরিতে

রর. নির্মাণ কাজের টাইলস তৈরিতে

ররর. টুথপেস্ট তৈরিতে

২. শিলার ধরন : পাললিক

কীভাবে গঠিত হয় : আগ্নেয় শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে। যৌগিক, রাসায়নিক ও জৈবিক উপায়ে গঠিত হয়।

বৈশিষ্ট্য : র. স্তরবিশিষ্ট

রর. অপেক্ষাকৃত নরম

ররর. জীবাশ্ম থাকে

ব্যবহার :

র. প্রাণীর বিচরণক্ষেত্র

রর. উদ্ভিদের আবাসস্থল

ররর. নির্মাণ কাজে

রা. তৈজসপত্র তৈরিতে

৩. শিলার ধরন : রূপান্তরিত

কীভাবে গঠিত হয় : আগ্নেয় বা পাললিক শিলা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত হয়।

বৈশিষ্ট্য : র. স্ফটিকযুক্ত

রর. খুব কঠিন

ররর. জীবাশ্যহীন

রা. পত্রায়িত

ব্যবহার :

র. নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে

রর. শিল্পকলায়

ররর. টুথপেস্ট, পস্নাস্টিক ও কাগজ তৈরিতে

প্রশ্ন : ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে শিলা শনাক্তকরণ এবং শিলার উপাদানসমূহ লিখি।

উত্তর :

১. শিলার ধরন : আগ্নেয়

ভৌত-রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে শনাক্তকরণ : অভ্যন্তরস্থ বা অনুপ্রবেশকারী আগেয় শিলা সাধারণত অত্যন্ত শক্ত এবং বিভিন্ন খনিজের কেলাস দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে। আবার বহিঃস্থ আগ্নেয় শিলাতে কেলাসের আকার অতিক্ষুদ্র, এমনকি কেলাস অনুপস্থিত থাকতে পারে।

শিলার উপাদান : ভূঅভ্যস্তরস্থ উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা ও লাভা।

২. শিলার ধরন : পাললিক

ভৌত-রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে শনাক্তকরণ : পাললিক শিলার ক্ষেত্রে সাধারণত স্তর লক্ষ করা যায়। এই ধরনের শিলায় ফসিল বা জীবাশ্ম উপস্থিত থাকতে পারে।

শিলার উপাদান : বিচূর্ণীত আগ্নেয় শিলা

৩. শিলার ধরন : রূপান্তরিত

ভৌত-রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে শনাক্তকরণ : রূপান্তরিত শিলার ক্ষেত্রে ফলিয়েশন বা ব্যান্ড দেখা যায়।

শিলার উপাদান : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত অগ্নেয় ও পাললিক শিলার খনিজ।

প্রশ্ন : কোন শিলা আগ্নেয় শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে তৈরি হয়?

উত্তর : পাললিক শিলা।

প্রশ্ন : ফলিয়েশন ব্যান্ড কোন শিলায় দেখা যায়?

উত্তর : রূপান্তরিত শিলা।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে