বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় হাইমচর, চাঁদপুর
  ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

ত্রয়োদশ অধ্যায়

প্রশ্ন :পানি কীভাবে দূষিত হচ্ছে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :কৃষিক্ষেত্রে অধিক কীটনাশক ব্যবহার, যোগাযোগের যানবাহন থেকে তেলবর্জ্য, শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত রং, গ্রিজ, রাসায়নিক দ্রব্য, উষ্ণ পানি, আবাসস্থলের বর্জ্য ইত্যাদি নানাভাবে পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে তুলছে। এছাড়া নদীর পাড় দখল, নদীর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় পানি দূষিত হচ্ছে।

প্রশ্ন :বায়ু দূষণের কারণ ও ফলাফল উলেস্নখ কর।

উত্তর :শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য, পরিবহণের ধোঁয়া, গৃহস্থালির ধোঁয়া, নির্মাণসামগ্রী তথা ইটভাটার ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে তুলছে। বায়ু দূষণের ফলে বায়ু ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রাকে বৃদ্ধি করছে। পরোক্ষ ফল হিসেবে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে।

প্রশ্ন :কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় কীভাবে?

উত্তর :কৃষি উৎপাদন নানাভাবে বৃদ্ধি করা যায়। একই জমি অধিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। জমিতে সার প্রয়োগ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। ফসল ফলানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ভূ-নিম্নস্থ পানি সেচের কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

প্রশ্ন :ভূমি দূষণের ফলে কী প্রভাব পড়ে?

উত্তর :ভূমি দূষণের ফলে মাটিতে যেসব অণুজীব, ক্ষুদ্রজীব বাস করে, তা বাধাগ্রস্ত হয়। বন্য, ক্ষুদ্র প্রাণিগুলোর আবাসস্থল নষ্ট হয়। দূষিত মাটিতে উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না। ফলে ভূমি মরুকরণ হতে পারে।

প্রশ্ন :পানি দূষণের ফলাফল কী?

উত্তর :পানি দূষণের ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দূষিত পানির কারণে জলজ ক্ষুদ্র উদ্ভিদ, পস্নাংকটন, কচুরিপানা, শেওলা জন্মাতে পারছে না। এদের ভক্ষণ করে যেসব ক্ষুদ্র মাছ, তাদের খাদ্যের অভাব হচ্ছে। ফলে বড় মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পানি দূষিত হয়ে জলজ প্রাণির আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।

প্রশ্ন :কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়?

উত্তর :প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিটি উপাদান একটি অপরটির ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ, ক্ষুদ্রজীব, প্রাণী, মানুষ প্রত্যেকে পরিবেশের একটি সহনশীল অবস্থায় বসবাস করতে চায়। আর পরিবেশের সহনশীল অবস্থার পরিবর্তন হলে এ নির্ভরশীলতা ব্যাহত হয়। ফলে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।

প্রশ্ন :পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় কী?

উত্তর :পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হলে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর তলদেশ ভরাট হলে তা খনন করতে হবে। নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে হবে। সর্বোপরি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বায়ু, পানি, মাটি দূষণ না করে সতর্কতার সঙ্গে এগুলোর ব্যবহার করতে হবে।

চতুর্দশ অধ্যায়

প্রশ্ন :বাংলাদেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?

উত্তর : বাংলাদেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২,৩০০ মিলিমিটার।

প্রশ্ন :বাংলাদেশের মোট কতটি নদীর উৎসস্থল ভারতে?

উত্তর : বাংলাদেশের মোট ৫৪টি নদীর উৎসস্থল ভারতে।

প্রশ্ন :বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকা এলাকার পরিমাণ কত?

উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকা এলাকার পরিমাণ ১৫,৫৪,০০০ কিলোমিটার।

প্রশ্ন :বাংলাদেশে বহমান প্রধান তিনটি নদীর কত শতাংশের বেশি পানি বাইরে থেকে আসে?

উত্তর : বাংলাদেশে বহমান প্রধান তিনটি নদীর ৮০ শতাংশেরও বেশি পানি বাইরে থেকে আসে।

প্রশ্ন :বাংলাদেশের কত লোক প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনের শিকার হয়?

উত্তর : বাংলাদেশের ১.৫ মিলিয়ন লোক প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনের শিকার হয়।

প্রশ্ন :প্রতিবছর বাংলাদেশ নদীভাঙনের ফলে কত টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়?

উত্তর : প্রতিবছর বাংলাদেশ নদীভাঙনের ফলে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

প্রশ্ন :দেশের কতটি উপজেলায় নদীভাঙন সংঘটিত হয়?

উত্তর : দেশের ১০০টি উপজেলায় নদীভাঙন সংঘটিত হয়।

প্রশ্ন :কোন সময় নদীভাঙন বেশি হয়?

উত্তর : বর্ষাকালে নদীভাঙন বেশি হয়।

প্রশ্ন :বন্যা মৌসুম ও সন্নিহিত সময়ে কতগুলো নদীতে নদীভাঙন দেখা যায়?

উত্তর : বন্যা মৌসুম ও সন্নিহিত সময়ে ৪০টি নদীতে নদীভাঙন দেখা যায়।

প্রশ্ন : কোনটি কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুরূপে পরিচিত?

উত্তর : ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুরূপে পরিচিত।

প্রশ্ন :বাংলাদেশে কোন সময়ে ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়?

উত্তর : বাংলাদেশে আশ্বিন-কার্তিক এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়।

প্রশ্ন :কোন অঞ্চলে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয়ে থাকে?

উত্তর : পার্বত্য অঞ্চলে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয়ে থাকে।

প্রশ্ন :সারাদেশে ভবন নির্মাণে কী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক?

উত্তর : সারাদেশে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন :অঞ্চল-৩ কী?

উত্তর : অঞ্চল-৩ হচ্ছে ভূমিকম্পে কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা হচ্ছে ৫।

প্রশ্ন :তিনটি ভূকম্পন সংঘটিত অঞ্চলের নাম কী?

উত্তর : তিনটি ভূকম্পন সংঘটিত অঞ্চলের নাম হচ্ছে, অঞ্চল-১ (মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭), অঞ্চল-২ (মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেলে মাত্রা-৬), অঞ্চল-৩ (কম ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫)।

প্রশ্ন :বাংলাদেশের পূর্বাংশে কোন যুগের পাহাড় রয়েছে?

উত্তর : বাংলাদেশের পূর্বাংশে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় রয়েছে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে