অধ্যায় ১৩
প্রশ্ন :পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে কোন অঞ্চলে উত্তপ্ততা ও শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে?
উত্তর :পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে উত্তর অঞ্চলে উত্তপ্ততা ও শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন :পরিবেশ দূষণের ফলে কী ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে?
উত্তর :পরিবেশ দূষণের ফলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ; যেমন- শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, পেটের পীড়া ইত্যাদি ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে।
প্রশ্ন :পরিবেশ দূষণের ফলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে?
উত্তর :পরিবেশ দূষণের ফলে ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন :পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করার মাধ্যমে কী সংরক্ষণ করা যাবে?
উত্তর :পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রশ্ন :জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কী সংকুচিত হচ্ছে?
উত্তর :জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাণির আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে।
প্রশ্ন :বাংলাদেশে কোন প্রাণিগুলোর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন?
উত্তর :বাংলাদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, হাতি, অজগর, কুমির ও ঘড়িয়াল ইত্যাদি প্রাণিগুলোর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
প্রশ্ন :পুকুরে মাছ কমে গেলে এর ফলাফল কী হবে?
উত্তর :পুকুরে মাছ কমে গেলে এর ফলাফলে মানুষের খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে।
প্রশ্ন :ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে?
উত্তর :ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রশ্ন :২০২৫ সালের মধ্যে কত শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে?
উত্তর :২০২৫ সালের মধ্যে ২০-২৫ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন :ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার কর্তৃক প্রকাশিত রেড ডাটা বুক-এ বাংলাদেশের কতটি প্রাণির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন বলে উলেস্নখ করা হয়েছে?
উত্তর :ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার কর্তৃক প্রকাশিত রেড ডাটা বুক-এ বাংলাদেশের ২৩টি প্রাণির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন বলে উলেস্নখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন :উনিশ শতকে কতটি প্রজাতি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে?
উত্তর :উনিশ শতকে বাংলাদেশ থেকে ১৯টি প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
প্রশ্ন :বাংলাদেশে কত জাতের পাখি বিদ্যমান?
উত্তর :বাংলাদেশে ৫৭৮ জাতের পাখি বিদ্যমান।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন :আমরা কেমনভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করব?
উত্তর :প্রতিটি মানুষ ও দেশ চায় উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে। এজন্য মানুষ নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পার্ক, কলকারখানা নির্মাণ করে চলেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের সমন্বয় করে উন্নয়ন করা উচিত। আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এমনভাবে পরিচালনা করব যেন তা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে।
প্রশ্ন :কৃষির উন্নয়নে আমরা কী করছি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা সার প্রয়োগ করছি। একই জমি অধিকবার ব্যবহারের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করছি। এছাড়াও ভূ-নিম্নস্থ পানিসেচের ব্যবহার অব্যাহত হারে বাড়িয়ে চলেছি।
প্রশ্ন :ভূমির ব্যবহার কীভাবে পরিবেশকে দূষিত করছে?
উত্তর :ভূমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে আমরা অধিক সার ব্যবহার করছি। এছাড়া ভূমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। মাটির জৈব উপাদান কমে যাচ্ছে। বন, পাহাড় কেটে আবাদি জমি সৃষ্টি করায় জমি উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে। মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটিতে যেসব অণুজীব, ক্ষুদ্রজীব বাস করে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বন্য ক্ষুদ্র প্রাণিগুলোর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। দূষিত মাটিতে উদ্ভিদ জন্মাতে না পারায় মরুকরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়