অধ্যায়-৯
তোমার নিজের নোট হিসেবে গল্পটার সারসংক্ষেপ লিখে রাখো-
উত্তর :নমুনা সারসংক্ষেপ :
মহাকাশ বিজ্ঞানী সেলিম তার গবেষণাগারে কাজের ফাঁকে খানিকটা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। মহাকাশ থেকে আগত বিভিন্ন মহাজাগতিক রশ্মি নিয়েই তার গবেষণা। হঠাৎ তিনি তার সুপার কম্পিউটারে কিছু অস্বাভাবিক সংকেতের আনাগোনা দেখতে পান। তিনি অবাক হয়ে লক্ষ করলেন, সংকেতগুলো অনিয়মিত কোনো নয়েজ নয়। বরং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে সংকেতগুলো আসছে। ঘটনাটি তিনি তার গবেষণা দলের সঙ্গে আলোচনা করলেন এবং তখনই তারা প্যাটার্নগুলো বিশ্লেষেণে নেমে গেল। গবেষণা শেষে তারা দেখতে পেলেন, এটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত চ-৩৩৫৬ঢ নক্ষত্রের ঢঢ-২২৪খচ গ্রহ থেকে আগত বার্তা। প্রখটর প্রাণীরা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে। আগত বার্তাটি ভয়ানক। ১০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে তৈরি হবে সূর্যের চেয়ে ৩০০ গুণ বড় বস্ন্যাকহোল। এ বস্ন্যাকহোলের তীব্র মহাকর্ষ টান পৃথিবী ও ঢঢ-২২৪খচগ্রহ দুটিকে গ্রাস করে ফেলবে। এর হাত থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন পৃথিবীর মানুষ ও ঢঢ-২২৪খচ গ্রহের প্রাণীদের যৌথ প্রচেষ্টা।
পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এ প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেন। দুই গ্রহের বিজ্ঞানীদের দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বস্ন?্যাকহোল নিষ্ক্রিয় করার উপায় বের হয় এবং তারা সেটি করতে সক্ষম হন। এ অভিযানের সাফল্যে পৃথিবীর মানুষ ও ঢঢ-২২৪খচ গ্রহের প্রাণীদের মধ্যে সৌহার্দ্যের সৃষ্টি হয়। তারা একসঙ্গে মহাকাশ অভিযান চালানোয় সম্মত হয় এবং আরো অনেক মহাকাশ অভিযান চালনা করে।
প্রশ্ন :বই বাঁধাইয়ের ধাপগুলো কী কী?
উত্তর :প্রথমে যে বই বাঁধানো হবে তার পৃষ্ঠাগুলোকে নম্বর অনুযায়ী পর পর সাজাতে হবে। তারপর পৃষ্ঠাগুলোকে সমান করে এক জায়গায় রেখে একধারে ভোমর বসিয়ে হাতুড়ির সাহায্যে তিনটা ছিদ্র করে নিতে হবে। এবার ভোমর ও সুতার সাহায্যে সেলাই করতে হবে। অনেক সময় সেলাইয়ের পাশাপাশি আঠাও ব্যবহার করা হয়। তাতে বইয়ের পৃষ্ঠা সহজে খোলে না। বইটির যে মলাট দেয়া হবে, তা ঠিক করতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন রঙের আর্টপেপার দিয়ে বইয়ে মলাট দেয়া হয়। বইয়ের মাপে আর্টপেপার কেটে বইয়ের ওপর ও নিচে আঠা দিয়ে দুপাশে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। মাপমতো র?্যাক্সিন কেটে নিতে হবে। বইয়ের যে পাশে সেলাই দেয়া হয়েছে, সেই পাশের্ যাক্সিন আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। তাহলে বইটা দেখতে সুন্দর হবে। আঠা লাগানো হলে বইটা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন :কল্পবিজ্ঞানের গল্পে কী কী বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহৃত হয়েছে অথবা কোন কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রসঙ্গ এসেছে?
উত্তর : কল্পবিজ্ঞানের গল্পে মহাকাশ ভ্রমণ, স্যাটেলাইট, ভিনগ্রহের প্রাণী, স্পেসশীপের বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রসঙ্গ এসেছে।
প্রশ্ন :গল্পের কোন বিষয়টা তোমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে? কেন?
উত্তর :এ গল্পে ভবিষ্যতে আমাদের পৃথিবী যে ধরনের হুমকির মুখোমুখি হবে তার এক সচিত্র উপস্থাপন হয়েছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যের দ্বারা এ সমস্যার সমাধান ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ গল্পে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে দিকটি, তা হলো এ গল্পে মানুষের সাহস, সংকল্প, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।