অধ্যায়-১২
প্রশ্ন:আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমুদ্র পথের গুরুত্ব লিখ।
উত্তর : দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নদীপথ ও সমুদ্রপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে দুটি সমুদ্র বন্দর রয়েছে-
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর। দেশের মোট আমদানি বাণিজ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং রপ্তানি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর দ্বারা হয়। মোংলা বন্দর দিয়ে মোট রপ্তানির প্রায় ১৩ শতাংশ এবং আমদানির প্রায় ৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়। দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নদীপথ ও সমুদ্রপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার চেয়ে এর অবদান বেশি।
প্রশ্ন:যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিমানপথের গুরুত্ব লিখ।
উত্তর : দ্রম্নত ডাক চলাচল এবং পচনশীল দ্রব্য প্রেরণে বিমান পরিবহনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। যুদ্ধবিগ্রহ, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি জাতীয় দুর্যোগের সময় আকাশপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে আকাশপথকে বাদ দিয়ে সমগ্র বিশ্বের সাথে যোগাযোগ কল্পনাও করা যায় না। শিক্ষা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনে বিমানপথের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন:আমদানি বাণিজ্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পণ্যসামগ্রী আনা হয় তখন তাকে আমদানি বাণিজ্য বলে। বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিশুখাদ্য, কলকব্জা, খাদ্যসামগ্রী, শিল্পের কাঁচামাল, শিল্পজাত দ্রব্য, ওষুধপত্র, রাসায়নিক দ্রব্য প্রভৃতি পণ্য আমদানি করে থাকে।
প্রশ্ন:আমাদের দেশে রপ্তানি কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়?
উত্তর : বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ সীমিত। বৈদেশিক বাণিজ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি, পণ্যের মান উন্নয়ন, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, রপ্তানি শুল্ক হ্রাস, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ব্যাপক প্রচার প্রভৃতির মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায়।
প্রশ্ন:বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : একসময় বাংলাদেশে বৈদেশিক বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য ছিল বেশিরভাগ কাঁচামাল রপ্তানি। বর্তমানে আমাদের রপ্তানির প্রায় ৭৫ ভাগ আয় হচ্ছে তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার থেকে এবং দিন দিন কৃষিপণ্য রপ্তানির পরিমাণ কমে আমদানি বাড়ছে। বর্তমানে খাদ্যশস্য ও শিল্পজাত দ্রব্য আমদানি করতে হয় এবং দেখা যায় রপ্তানির চেয়ে আমদানি দ্রব্য বেশি। আর এসব বৈদেশিক বাণিজ্য চলে সমুদ্রপথে। তবে জরুরি ভিত্তিতে পচনশীল দ্রব্যের আকাশপথে বাণিজ্য করা হয়।
অধ্যায় ১৩
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন :উন্নয়ন কাকে বলে?
উত্তর :মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ হচ্ছে উন্নয়ন।
প্রশ্ন : কোনটি কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে?
উত্তর : যোগাযোগ কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
প্রশ্ন :ভারসাম্য অবস্থা কাকে বলে?
উত্তর :পরিবেশে যেখানে বাস্তুসংস্থানগুলো স্বাভাবিক নিয়মে চলে তাকে ভারসাম্য অবস্থা বলে।
প্রশ্ন :বাস্তুসংস্থান কী?
উত্তর :পরিবেশের প্রতিটি উপাদান একটি শৃঙ্খলের মধ্যে বসবাস করে, তাকে বাস্তুসংস্থান বলে।
প্রশ্ন :বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোন খাতের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল?
উত্তর :বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষিকাজের উন্নয়নের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল।
প্রশ্ন :যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয় কি কি নির্মাণের মাধ্যমে?
উত্তর :যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয় মহাসড়ক, সেতু, ফেরিঘাট নির্মাণ ও ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে।
প্রশ্ন :সামাজিক অগ্রগতির জন্য কী অপরিহার্য?
উত্তর :সামাজিক অগ্রগতির জন্য দ্রম্নত শিল্প উন্নয়ন অপরিহার্য।
প্রশ্ন :কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে কোনটি?
উত্তর :যোগাযোগ ব্যবস্থা কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
প্রশ্ন :আমাদের দেশের বনভূমির পরিমাণ কত?
উত্তর :আমাদের দেশের বনভূমির পরিমাণ ১৭%।
প্রশ্ন :কী রোধ করে পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়?
উত্তর :মাটিদূষণ, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ প্রভৃতি রোধের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন :পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর :পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে ভূমি, পানি, বায়ু এবং বনজ সম্পদ।
প্রশ্ন :মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকান্ডের ফলে কোনটি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে?
উত্তর :মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকান্ডের ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
প্রশ্ন :বনজঙ্গল বেশি কেটে ফেলার ফলে কোন প্রাণির বাসস্থান নষ্ট হয়েছে?
উত্তর :বনজঙ্গল বেশি কেটে ফেলার ফলে শৃগাল, বন বিড়াল, খরগোশ প্রভৃতির বাসস্থান নষ্ট হয়েছে।
প্রশ্ন :বন ও পাহাড় কাটার ফলে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : বন ও পাহাড় কাটার ফলে মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন :সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের কোন জেলাগুলো সমুদ্রে জলমগ্ন হয়ে পড়বে?
উত্তর :সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের বরিশাল, নোয়াখালি, সাতক্ষীরা, নড়াইল প্রভৃতি উপকূলীয় জেলাগুলো সমুদ্রে জলমগ্ন হয়ে পড়বে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়