সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন
প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ - প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত, ১-৩ লক্ষ মৃতু্য
বিশেষ কোনো ঘটনা পর্যবেক্ষণ থাকলে- প্রতি ৫ জনে ১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কেননা প্রচুর ভবন ধ্বংস হয়েছিল। যেমন- হাইতির বস্ত্রশিল্প ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল
ভূমিকম্পের মাত্রা ও এর সাথে দুইটি ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির তুলনা করে দেখো। কোন পার্থক্য কী দেখছ? কী কারণে পার্থক্য ঘটতে পারে? দলগত আলোচনা করে লিখে রাখো তোমাদের মতামত।
উত্তর :ভূমিকম্পের মাত্রায় হাইতির চেয়ে চিলিরটি ১.৮ মাত্রা বেশি। কিন্তু হাইতির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভীতিকর।
বিষয়টি নিযয়ে শ্রেণিতে আলোচনার পর আমার মনে হলো, যথাযথ সতর্কতা তথা প্রস্তুতির অভাব এবং কী করণীয় তা সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জানার অভাব হাইতিতে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
অধ্যায়-৯
কল্পবিজ্ঞানের গল্প!
গল্পের বই পড়তে নিশ্চয়ই তোমাদের সবারই ভালো লাগে? রূপকথা, বাস্তবধর্মী সাহিত্য, সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞান, ইত্যাদি কতরকম বই তোমরা পড়ো। যদি তোমাদের নিজেদের লেখা, আঁকা নিয়ে একটা বই প্রকাশিত হতো যার প্রকাশকও তোমরা নিজেরাই? বিজ্ঞান বিষয়ের অংশ হিসেবে যেহেতু এই কাজ, কাজেই বিষয় হিসেবে বেছে নেয়া যাক কল্পবিজ্ঞান।
প্রশ্ন: শিক্ষক অথবা প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত এমন কারোর সহায়তায় বই প্রকাশের বিভিন্ন ধাপের একটি তালিকা তৈরি করি।
উত্তর :বই প্রকাশনার ধাপসমূহ
১. পান্ডুলিপি তৈরি
২. পান্ডুলিপির জন্য প্রয়োজনীয় চিত্র অঙ্কন এবং সংযোজন
৩. পান্ডুলিপি কম্পোজ
৪. সম্পাদনা
৫. প্রম্নফ দেখা
৬. প্রচ্ছদ তৈরি
৭. ছাপা
৮. বাঁধাই
৯. মোড়ক উন্মোচন
প্রশ্ন :সায়েন্স ফিকশনের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর :সায়েন্স ফিকশন হচ্ছে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভবিষ্যতের পৃথিবী, মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ, সময় পরিভ্রমণ, ভিনগ্রহের প্রাণী এগুলোই সায়েন্স ফিকশনের বিষয়বস্তু।
প্রশ্ন :মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে কোন তথ্যটি তোমার কাছে সবচেয়ে চমকপ্রদ মনে হয়েছে?
উত্তর :মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে বিগ ব্যাং তত্ত্বটি আমার সবচেয়ে চমকপ্রদ মনে হয়েছে। মহাবিশ্ব যেহেতু সম্প্রসারিত হচ্ছে, তাই সুদূর অতীতে সমস্ত কিছু আরও কাছাকাছি ছিল অর্থাৎ তা এক বিন্দুতে পুঞ্জীভূত ছিল। বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী, মহাবিশ্ব শুরুতে প্রচন্ড উত্তপ্ত এবং অসীম ঘনত্বের একটি বিন্দু ছিল। প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে বিন্দুটি প্রচন্ডভাবে বিস্ফোরিত হয়। এই বিস্ফোরণকে বিগ ব্যাং বলা হয়ে থাকে। এই বিস্ফোরণই সমস্ত পদার্থ, শক্তি, স্থান এবং সময়ের উৎস। অসীম ঘনত্বের প্রচন্ড উত্তপ্ত একটি ক্ষুদ্র বিন্দুর বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই প্রকান্ড বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির ঘটনা প্রকৃতপক্ষেই বিস্ময়কর।
প্রশ্ন :এই অধ্যায়ে নতুন কোন কোন শব্দ জানলে যেগুলোর অর্থ আগে জানতে না?
উত্তর :এই অধ্যায়ে শেখা নতুন শব্দগুলো হলো- টেলিস্কোপ, গ্যালাক্সি, এনড্রোমিডা, আলোকবর্ষ, বিগ ব্যাং, নিউক্লিয়ার ফিউশান, সুপারনোভা, বস্ন?্যাক হোল।
প্রশ্ন :মহাবিশ্বের ধারণা নিয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে কীসের ভিত্তিতে?
উত্তর :প্রাচীনকালে মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন তত্ত্বের আশ্রয় নেয়া হতো। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মনে করত যে, সে সবকিছুর কেন্দ্রে অবস্থিত। বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের ধারণা প্রবর্তিত হয়। ধীরে ধীরে জ্যোতির্বিদরা আবিষ্কার করেন, সূর্যের মতো কোটি কোটি নক্ষত্র দিয়ে আমাদের এই গ্যালাক্সি গঠিত। কয়েকশ' বছর পর্যন্ত জ্যোতির্বিদদের কাছে মহাবিশ্ব বলতে আমাদের এই গ্যালাক্সিটিই ছিল। তারপর ১৯২০ এর দশকে উন্নত টেলিস্কোপের কল্যাণে জ্যোতিবিদরা আমাদের গ্যালাক্সির বাইরেও অন্যান্য গ্যালাক্সি দেখতে পান; যা আমাদের গ্যালাক্সির মতোই কোটি কোটি নক্ষত্র দিয়ে তৈরি। তাই মহাবিশ্বের ধারণা নিয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা বৈজ্ঞানিক,তথ্য, তত্ত্ব, গবেষণার ভিত্তিতে সময়ের সঙ্গে ক্রেমেই পরিবর্তিত হয়েছে।
প্রশ্ন :তুমি নিজে কি কখনও রাতের আকাশ ভালোভাবে লক্ষ করেছ? তোমার নিজের কোনো পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর ঘূর্ণন, সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহ, নক্ষত্রমন্ডলী ও গ্যালাক্সি- ইত্যাদির কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও?
উত্তর :আমি রাতের আকাশ ভালোভাবে লক্ষ করেছি। পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরতে থাকে। তাই রাতের আকাশের দিকে খুব ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যায় নক্ষত্ররা পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে সরে যায়।
প্রশ্ন :গল্পটার প্রেক্ষাপট এবং মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তর : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা অন্য একটি গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। হাতে সময় আছে মাত্র এক বছর। এ সংঘর্ষের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষার জন্য একদল বিজ্ঞানীর প্রাণান্তকর চেষ্টাই এ গল্পের প্রেক্ষাপট।
প্রশ্ন :কল্পবিজ্ঞানের এই গল্পে কী কী বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর :এ গল্পে মহাকাশ ভ্রমণ, সময় পরিভ্রমণ, স্পেসশিপ এর বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রসঙ্গ এসেছে।
প্রশ্ন :এই গল্পে বৈজ্ঞানিক কোন তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তোমার মনে হয়েছে? হলে সেটা কী এবং কেন তোমার এমনটা মনে হলো?
উত্তর :এই গল্পে একটি বৈজ্ঞানিক তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ গল্পে মহাকাশচারীদের একটি দল এনড্রোমিডা গ্যালাক্সিতে গিয়ে ধেয়ে আসা গ্রহ ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে গ্রহ ধ্বংসের জন্য ফিরে আসে। কিন্তু এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি পৃথিবী থেকে ২০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে। তাই এক বছরের মধ্যে সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়