অধ্যায়-১২ প্রশ্ন:২০১৩ সালে জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ কত ছিল? উত্তর : ২০১৩ সালে জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ ছিল ৩,৫৭০ কিলোমিটার। প্রশ্ন:২০১১ সালে আঞ্চলিক মহাসড়কের পরিমাণ কত ছিল? উত্তর : ২০১১ সালে আঞ্চলিক মহাসড়কের পরিমাণ ছিল ৪২৬৮ কিলোমিটার। প্রশ্ন:২০১৩ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধীন মোট সড়ক পথের পরিমাণ কত ছিল? উত্তর : ২০১৩ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধীন মোট সড়ক পথের পরিমাণ ছিল ২১,৪৬২ কিলোমিটার। প্রশ্ন:পরিবহন কী? উত্তর : যাত্রী ও পণ্যসামগ্রী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরকে পরিবহন বলে। প্রশ্ন:বাংলাদেশের কোন দিকে সড়কপথের ঘনত্ব কম? উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সড়কপথের ঘনত্ব কম। প্রশ্ন:সিলেটের কোথায় সড়কপথ কম? উত্তর : সিলেটের হাওড় অঞ্চলে সড়কপথ কম। প্রশ্ন:বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সড়কপথ কী কেন্দ্রিক? উত্তর : বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সড়কপথ ঢাকাকেন্দ্রিক। প্রশ্ন:বাংলাদেশে ডুয়েলগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য কত? উত্তর : বাংলাদেশে ডুয়েলগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ৩৭৫ কিলোমিটার। প্রশ্ন:বাংলাদেশে ব্রডগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য কত? উত্তর : বাংলাদেশে ব্রডগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ৬৫৯ কিলোমিটার। প্রশ্ন:বাংলাদেশে মিটার গেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য কত? উত্তর : বাংলাদেশে মিটারগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১,৮৪৩ কিলোমিটার। প্রশ্ন:বাংলাদেশে সর্বমোট কতটি রেলস্টেশন আছে? উত্তর : বাংলাদেশে সর্বমোট ৪৪৩টি রেলস্টেশন আছে। প্রশ্ন:কী কারণে রেলের গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তর : যাত্রী পরিবহন, পণ্য পরিবহনে রেলের গুরুত্ব অপরিসীম? প্রশ্ন:মিটারগেজ কাকে বলে? উত্তর : ১ মিটার প্রস্থ রেলপথকে মিটারগেজ বলে। প্রশ্ন:বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে রেলপথ কম? উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেলপথ কম। প্রশ্ন:ব্রডগেজ কী? উত্তর : ১.৬৮ মিটার প্রস্থ রেলপথ ব্রডগেজ নামে পরিচিত। প্রশ্ন:জামতৈল থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত কত কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ আছে? উত্তর : জামতৈল থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলে ৩৭৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ আছে। প্রশ্ন:বাংলাদেশে কত কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ আছে? উত্তর : বাংলাদেশে ৮,৪০০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ আছে। প্রশ্ন: দেশের কোন নদীগুলো নৌ-চলাচলে উপযোগী। উত্তর : দেশের দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের নদীগুলো নৌ-চলাচলে উপযোগী। প্রশ্ন:বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর কোনটি? উত্তর : ঢাকার 'হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর' বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর। প্রশ্ন:সিলেট বিমানবন্দরের নাম কী? উত্তর : সিলেট বিমানবন্দরের নাম 'সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর।' প্রশ্ন:চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের নাম কী? উত্তর : চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের নাম 'চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর।' প্রশ্ন:বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সর্ববৃহৎ গন্তব্যস্থল দেশ? উত্তর : বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সর্ববৃহৎ গন্তব্যস্থল দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রশ্ন:বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহৎ গন্তব্যস্থল কোন দেশ? উত্তর : বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহৎ গন্তব্যস্থল দেশ জার্মানি। প্রশ্ন:বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বৃহৎ গন্তব্যস্থল কোন দেশ? উত্তর : বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বৃহৎ গন্তব্যস্থল দেশ যুক্তরাজ্য। প্রশ্ন:বাংলাদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে কোন দেশের অবস্থান শীর্ষে? উত্তর : বাংলাদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে চীন দেশের অবস্থান শীর্ষে। অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন:বাংলাদেশের উন্নয়নে সড়কপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন? উত্তর : বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সড়কপথই সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর মাধ্যম। ফলে অঞ্চলভিত্তিক গ্রাম পর্যায়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে সড়কপথই প্রধান ভরসা। রেল বা নৌবন্দর নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় যোগাযোগে ভূমিকা রাখলেও দেশের তৃণমূল পর্যায়ে সড়কপথই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং দেশের সার্বিক উন্নয়নে সড়কপথ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রশ্ন:সড়কপথ গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মৃত্তিকার ভূমিকা কী? উত্তর : দ্রম্নত যোগাযোগের জন্য সড়কপথ অপরিহার্য। সড়কপথ গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কিছু অনুকূল নির্ধারক দরকার হয়। তার মধ্যে মৃত্তিকার গঠন অপরিহার্য। মৃত্তিকার বুনন যদি স্থায়ী বা মজবুত হয় তবে বন্যায় নষ্ট হয় না। ফলে সড়কপথ গড়ে উঠলে তা স্থায়ী হয়। প্রশ্ন:বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে রেলপথ নেই? উত্তর : বাংলাদেশে কিছু কিছু জায়গায় রেলপথ নেই। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, বরিশাল, পটুয়াখালী, মাদারিপুর, শরীয়তপুর, মেহেরপুর, কক্সবাজার ও লক্ষ্ণীপুর এই জেলাগুলোতে রেলপথ নেই। প্রশ্ন:বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নৌপরিবহনের গুরুত্ব লেখ। উত্তর : কাঁচামাল সরবরাহ, শিল্প পণ্য পরিবহন, স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন, বাণিজ্য কেন্দ্রের সাথে সংযোগ, ভারী পণ্য পরিবহন, বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নৌপরিবহনের গুরুত্ব বেশি। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়