অধ্যায় ১১
বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প
প্রশ্ন :বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হলো হিমায়িত খাদ্য, কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চা প্রভৃতি।
প্রশ্ন :এ দেশের শ্রম শক্তির মোট কত শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত?
উত্তর : এ দেশের শ্রম শক্তির মোট ৪৭.৫০ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মধ্যে কোনটি প্রধান?
উত্তর : বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান প্রধান।
প্রশ্ন :ধান চাষের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন?
উত্তর :ধান চাষের জন্য ১৬ক্ক থেকে ৩০ক্ক সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন।
প্রশ্ন : রংপুরে কোন ধান ভালো হয়?
উত্তর : রংপুরে আমন ধান ভালো হয়।
প্রশ্ন :কত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়?
উত্তর : পাট চাষের জন্য ১৫০-২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন : কোন ধরনের মাটি ধান চাষের উপযোগী?
উত্তর :নদী উপত্যকায় পলিমাটি ধান চাষের উপযোগী।
প্রশ্ন : উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কোন শস্যের চাষ বেশি প্রসার লাভ করেছে?
উত্তর : উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে গম চাষ বেশি প্রসার লাভ করেছে।
প্রশ্ন :ইক্ষু উৎপাদনের জন্য কত ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপ প্রয়োজন হয়?
উত্তর : ১৯ক্ক থেকে ৩০ক্ক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রশ্ন :সবচেয়ে বেশি চা বাগান কোথায় রয়েছে?
উত্তর :সবচেয়ে বেশি চা বাগান মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটে জেলায়।
প্রশ্ন : কোথায় চা চাষ ভালো হয়?
উত্তর : পানি নিষ্কাশনবিশিষ্ট ঢালু জমিতে চা চাষ ভালো হয়।
প্রশ্ন : চা চাষের জন্য কত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন?
উত্তর : চা চাষের জন্য ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।
প্রশ্ন : কোন মাটিতে চা চাষ ভালো হয়?
উত্তর : উর্বর লৌহ ও জৈব পদার্থ মিশ্রিত দোআঁশ মাটিতে।
প্রশ্ন :কত সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম কূপে তেল পাওয়া গেছে?
উত্তর : ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম কূপে তেল পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন :হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপ থেকে দৈনিক কত ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপ থেকে দৈনিক ৬০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্ন :বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি মৌলভীবাজার জেলার বরমচালে অবস্থিত।
প্রশ্ন : দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় কত শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে?
উত্তর : দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭৩ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে।
প্রশ্ন :এ যাবৎ বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা কতটি?
উত্তর : এ যাবৎ বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৫টি।
প্রশ্ন : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কত মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্ন :দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কত মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়?
উত্তর : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়?
প্রশ্ন :ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় হরিপুরের গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
প্রশ্ন :খনিজ তেল পরিশোধিত করে কী পাওয়া যায়?
উত্তর : খনিজ তেল পরিশোধিত করে গ্যাসোলিন, ডিজেল, গ্যাস, কেরোসিন, পিচ্ছিলকারক তেল, প্যারাফিন প্রভৃতি পাওয়া যায়।
প্রশ্ন :কয়লা জ্বালানি হিসেবে কিসের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
উত্তর : গ্যাস ও লাকড়ির পরিপূরক কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
প্রশ্ন :কোন গ্যাসক্ষেত্রগুলো উৎপাদনে যায়নি?
উত্তর : বেগমগঞ্জ, কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র উৎপাদনে যায়নি।
প্রশ্ন :ডিসেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত কত ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে?
উত্তর : ডিসেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত ১০.৯২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রশ্ন : কোন বিদু্যৎ কেন্দ্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : সিদ্ধিরগঞ্জ তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন :কোথায় উৎকৃষ্টমানের বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : রাজশাহী, বগুড়া নওগাঁ এবং সিলেট জেলায় উৎকৃষ্টমানের বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন : কোথায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : রংপুর জেলার রানীপুকুর ও শ্যামপুর এবং দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান কোথায় পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন :বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার কত শতাংশ বড় পুকুড়িয়া তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রে বিদু্যৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে?
উত্তর : বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার ৬৫ শতাংশ বড় পুকুরিয়া তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রে বিদু্যৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়