পঞ্চম অধ্যায়
প্রশ্ন: ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা কর। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৫৪)
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব (অর্থাৎ এগুলোর অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না)। বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার, দন্ডাকার, কমা আকার, পঁ্যাচানো ইত্যাদি ধরনের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সরল আণুবীক্ষণিক জীব হলেও সেগুলোর কিন্তু একটি সুগঠিত কোষীয় গঠন রয়েছে। এসব কোষের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রকৃতকোষী বা অকোষীয় অন্য জীবে পাওয়া যাবে না।
ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী জীব। এর অর্থ, এসব কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয়। একটি আদর্শ নিউক্লিয়াসের নিজস্ব পর্দা থাকে, যা নিউক্লিয়াসটিকে কোষের অন্য অংশ থেকে পৃথক করে রাখে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। সেগুলোর মূল নিউক্লিয়ার বস্তু তথা ডিএনএ (উঘঅ) কোষের প্রোটোপস্নাজমে অবস্থান করে। এগুলোকে নিউক্লিয়েড বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষে মূল নিউক্লিয়ার বস্তু ছাড়াও বৃত্তাকার এক বা একাধিক ডিএনএ দিয়ে তৈরি গঠন থাকে। এগুলোকে বলা হয় পস্নাসমিড।
প্রশ্ন : অণুজীব কী শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ, নাকি আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৫৪)
উত্তর : অণুজীব শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ নয়। এরা আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে। যেমন- কিছু কিছু অণুজীবের (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক) কিছু প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বা আচরণ আমাদের উপকারে আসে। যেমন- দই, মাশরুম ইত্যাদি।
প্রশ্ন: লুই পাস্তুর আর জোসেফ মাইস্টারের ঘটনাটা শুনে তোমার কী মনে হলো? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৫৬)
উত্তর : লুই পাস্তুর আর জোসেফ মাইস্টারের ঘটনাটি শুনে আমার মনে হলো- লুই পাস্তুর যদি সেই সময় জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসায় গবেষণা না করতেন এবং ঝুঁকি নিয়ে জোসেফ মাইস্টারের শরীরে জীবাণু প্রবেশ না করাতন তাহলে তিনি হয়তো মারা যেতেন। জোসেফ মাইস্টারকে সুস্থ করে তুলতে লুই পাস্তুর যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন, তা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে। এ ঘটনার মাধ্যমেই জলাতঙ্ক নামক মূর্তিমান আতঙ্কের অবসান ঘটা শুরু হয়। একই সঙ্গে অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।
প্রশ্ন: এ কাজে তোমরা নতুন কী কী শিখেছ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৫৬)
উত্তর : এ কাজে আমরা অনেক অণুজীব এবং সংক্রামক রোগ সম্পর্কে জেনেছি। নতুন নতুন অনেক সংক্রামক রোগের নাম শিখেছি। সেসব সংক্রামক রোগের কারণ, কোন অণুজীব দ্বারা রোগান্বিত হয়, তা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া কাজ করতে গিয়ে সংক্রামক রোগগুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়েছে। আবার কিছু কিছু অণুজীব আমাদের উপকারে আসে আমরা সেসব অণুজীব সম্পর্কেও শিখেছি।
ষষ্ঠ অধ্যায়
প্রশ্ন : স্থিতি শক্তি কি?
উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থান বা আকৃতির পরিবর্তনের ফলে স্থিতিশীল বস্তুতে যে শক্তির জমা হয় তাকে স্থিতি শক্তি বলে।
প্রশ্ন : গতি শক্তি কি?
উত্তর : কোন গতিশীল বস্তু তার নিজের গতির জন্য যে শক্তির অধিকারী হয় তাকে গতিশক্তি বলে।
প্রশ্ন : এই নৌকাটির ক্ষেত্রে কী ঘটছে আসলে?
উত্তর : এই নৌকাটির ক্ষেত্রে স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তি ক্রিয়াশীল।
প্রশ্ন : কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো?
উত্তর : রাবার ব্যান্ডের মধ্যে থাকা চামচ বা ধাতব বস্তুটির মধ্যে স্থিতি শক্তি জমাছিল। এটি যখন পানিতে ছাড়া হলো তখন স্থিতি শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হওয়ার কারণে পানিতে নৌকাটি ছাড়া মাত্রাই চলতে শুরু করে।
প্রশ্ন : এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?
উত্তর : স্থিতি শক্তি রাবার ব্যান্ডের মধ্যে জমা ছিল। রাবার ব্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকা চামচটিকে ঘুরানের ফলে এর মধ্যে স্থিতি শক্তি বা বিভব শক্তি জমা হতে থাকে। এই স্থিতি শক্তির কারণে নৌকাটি চলতে শুরু করায় তখন নৌকাটি গতি শক্তির অধিকারী হয়।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়