বাংলাদেশের নদ-নদী
প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিভাগ
গোমতী নদী
গোমতী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিলস্না জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
গোমতি নদীটি তীব্র খরস্রোতা। কুমিলস্নায় এর প্রবাহমাত্রা ১০০ থেকে ২০,০০০ কিউসেক পর্যন্ত উঠানামা করে।
গোমতী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের (ডুম্বুর) ডুমুর নামক স্থানে উৎপন্ন হয়ে পার্বত্যভূমির মধ্য দিয়ে সর্পিল পথ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কুমিলস্না আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি, টিক্কারচর, কাপ্তান বাজারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর এটি আঁকাবাঁকা প্রবাহপথে কুমিলস্না শহরের উত্তর প্রান্ত এবং ময়নামতির পূব প্রান্ত অতিক্রম করে দাউদকান্দিতে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে।
তিতাস নদী
তিতাস নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাংশে প্রবহমান নদীবিশেষ। বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমানা সংশ্লিষ্ট নদী হিসেবে এটি পরিচিত। নদীটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরায়। সেখানে বাংলা ভাষায় হাওড়া নদী এবং স্থানীয় কোকবোরোক ভাষায় সাঈদ্রা নদী নামে তিতাস নদীর নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ওই নদীটি তিতাস নদী হিসেবে পরিচিতি পায়।
ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা দিয়ে নদীটি প্রবেশ করে শাহবাজপুর টাউন অঞ্চলে। এই নদীটি আরো দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে ভৈরব-আশুগঞ্জের সীমানা ঘেঁষে বহমান অন্যতম বৃহৎ নদী মেঘনার সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। তিতাসের গড় দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮ কিলোমিটার। তিতাস নদীকে মেঘনার কন্যা বলা হয়ে থাকে।
তিতাস নদীর উপকূলে প্রাপ্ত গ্যাসক্ষেত্রটি তিতাস গ্যাসক্ষেত্র নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস উৎপাদনকারী ক্ষেত্র হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত এই গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি আবিষ্কার করেছিল। ২০০০ সাল পর্যন্ত এখানে ১৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। প্রায় ৬৪ বর্গ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটির ভূ-গঠন গম্বুজ প্রকৃতির।