অধ্যায়-৬
প্রশ্ন : গভীর সমুদ্রের গড় গভীরতা কত মিটার?
উত্তর : গভীর সমুদ্রের গড় গভীরতা ৫,৪০০ মিটারের অধিক।
প্রশ্ন : পৃথিবীর গভীরতম খাত কোনটি?
উত্তর : পৃথিবীর গভীরতম খাত গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ম্যারিয়ানা খাত।
প্রশ্ন : ম্যারিয়ানা খাতের গভীরতা কত?
উত্তর : ম্যারিয়ানা খাতের গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার।
প্রশ্ন : আটলান্টিক মহাসাগরের পোর্টোরিকো খাতের গভীরতা কত?
উত্তর : আটলান্টিক মহাসাগরের পোর্টোরিকো খাতের গভীরতা ৮,৫৩৮ মিটার।
প্রশ্ন : সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ বায়ুপ্রবাহ।
প্রশ্ন : উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে সমুদ্রস্রোতকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে সমুদ্রস্রোতকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে- উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোত।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর : বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দৈর্ঘ্য ৭১৬ কিলোমিটার।
প্রশ্ন : কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় কী পাওয়া গেছে?
উত্তর : কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় পারমাণবিক খনিজ জিরকন, মোনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, রিওটাইল ও লিউকক্সেন পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন : কোন যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়?
উত্তর : ফ্যাদোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়।
প্রশ্ন : সমুদ্রস্রোতের গতি কোথায় সবচেয়ে বেশি?
উত্তর :সমুদ্রস্রোতের গতি সমুদ্রপৃষ্ঠে সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন : মাছের অতি প্রিয় খাদ্য কী?
উত্তর : মাছের অতি প্রিয় খাদ্য পস্ন্যাংটন (এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ও প্রাণী)।
প্রশ্ন : ভূপৃষ্ঠের তলদেশে পানি কোন অবস্থায় বিরাজ করে?
উত্তর : ভূপৃষ্ঠের তলদেশে পানি তরল অবস্থায় বিরাজ করে।
প্রশ্ন : ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট মহাসাগর কোনটি?
উত্তর : ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগর।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন : বারিমন্ডল সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : ভূপৃষ্ঠের যে সাত ভাগের প্রায় পাঁচ ভাগ (শতকরা ৭১ ভাগ) স্থান জলরাশির দ্বারা আবৃত তার ভৌগোলিক নাম বারিমন্ডল। পৃথিবীর সব জলরাশির শতকরা ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে (মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর)। মাত্র ৩ ভাগ পানি রয়েছে নদী, হিমবাহ, ভূগর্ভস্থ, হ্রদ, মৃত্তিকা, বায়ুমন্ডল ও জীবমন্ডলে। পৃথিবীর সমস্ত পানিরাশিকে দুভাগে ভাগ করা যায় যেমন, লবণাক্ত ও মিঠা পানি। পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর, উপসাগরের পানিরাশি লবণাক্ত এবং নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠাপানির উৎস।
প্রশ্ন : সমুদ্রস্রোত কী?
উত্তর : সমুদ্রের পানিরাশি সাধারণত বায়ুপ্রবাহ, উষ্ণতার তারতম্য, স্থলভাগের অবস্থান, পৃথিবীর আবর্তন, নানাবিধ কারণে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়। সমুদ্রের পানিরাশির এই নিয়মিত প্রবাহকেই সমুদ্রস্রোত বলে।
প্রশ্ন :সমুদ্রস্রোতের ফলাফল লেখো।
উত্তর : সমুদ্রস্রোতের ফলাফল হলো : ১. জলবায়ুর উপর প্রভাব বিস্তার, ২. ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর প্রভাব বিস্তার; ৩. বৃষ্টি, কুয়াশা ও ঝড়-তুফানের প্রাদুর্ভাব ঘটায়, ৪. মগ্নচড়া সৃষ্টি করে ও ৫. মৎস্য শিকার ও ব্যবসায়ে সহায়তা করে।
প্রশ্ন : নরওয়ে ও ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম উপকূল শীতকালে বরফমুক্ত থাকে কেন?
উত্তর : উত্তর আটলান্টিক উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের প্রভাবে নরওয়ে ও ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম উপকূল শীতকালে বরফমুক্ত থাকে। এ অঞ্চল উত্তর মেরুর নিকটে, তাই শীতল। স্থলভাগে বরফাচ্ছন্ন অবস্থা দেখা যায়। কিন্তু উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের প্রভাবে জলপথ বরফমুক্ত থাকে।
প্রশ্ন : ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে কেন?
উত্তর : ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম উপকূল দিয়ে উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত প্রবাহিত হয়। এ স্রোতের কারণে বায়ুপ্রবাহ প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে। এই উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে।
প্রশ্ন : উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে কেন?
উত্তর : উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত ও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের মিলন ঘটে। এই উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও ঘূর্ণাবাতের সৃষ্টির ফলে প্রবল ঝড়ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয়। এ জন্য এ স্থানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে।
প্রশ্ন : নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল ও জাপান উপকূলে পৃথিবীর অধিকাংশ মাছ ধরা হয় কেন?
উত্তর : নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল ও জাপান উপকূলে অগভীর মগ্নচড়া সৃষ্টি হয়েছে। অগভীর মগ্নচড়াগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পস্ন্যাংটন জন্মায় ও বংশ বৃদ্ধি করে। এই পস্ন্যাংটন মাছের অতি প্রিয় খাদ্য। এ জন্য নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল ও জাপান উপকূলে পৃথিবীর অধিকাংশ মাছ ধরা হয়।
প্রশ্ন :মেরু অঞ্চলে বরফ জমার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মেরু অঞ্চলে সূর্যের তাপ কম পাওয়ার কারণে এ অঞ্চলে বরফ জমে। আমরা জানি মেরু অঞ্চল সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে কিরণ দেয়। ফলে এ অঞ্চল তাপ খুব কম পায়। তাছাড়া শীতকালে এ অঞ্চলে সূর্যের আলো প্রায় দেখাই যায় না। ফলশ্রম্নতিতে এ অঞ্চলে সূর্যের তাপ কম হওয়ায় উষ্ণতা কম, যা ০-এরও নিচে এবং তাই এ অঞ্চলে বরফ জমে।
প্রশ্ন :পৃথিবীর আ?িহ্নক গতির ফলে কীভাবে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়?
উত্তর : পৃথিবীর আ?িহ্নক গতির ফলে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়। আ?ি?হ্নক গতির ফলে ফেরেলের সূত্র অনুসারে বায়ুপ্রবাহের মতো সমুদ্রজলও উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁ দিকে বেঁকে যায়। এর ফলে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন : টাইটানিক জাহাজ কীভাবে ডুবে গিয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : টাইটানিক জাহাজ মূলত হিমশৈলের আঘাতে ডুবে গিয়েছিল। সাধারণত শীতল সমুদ্রস্রোতের সঙ্গে যেসব হিমশৈল ভেসে আসে সেগুলোর কারণে জাহাজ চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে। যেমন : যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ প্রথম যাত্রাতেই হিমশৈলের আঘাতে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল।