শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র

দ্বিতীয় অধ্যায়

প্রথম পরিচ্ছেদ :ধ্বনির উচ্চারণ

উচ্চারণ ঠিক রেখে কবিতা পড়ি

আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ (১৯৩৪-২০০১) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি। তাঁর উলেস্নখযোগ্য কবিতার বইয়ের নাম 'সাত নরী হার', 'আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি' ইত্যাদি। নিচের কবিতাটি ভাষা-আন্দোলন বিষয়ক একটি বহুল পঠিত কবিতা। এটি কবির 'সাত নরী হার' কাব্য থেকে নেওয়া।

কবিতাটি প্রথমে নীরবে পড়ো; এরপর সরবে পাঠ করো। সরবে পাঠ করার সময়ে ধ্বনির উচ্চারণে সতর্ক থাকতে হবে।

কম্পনমাত্রা ও বায়ুপ্রবাহ অনুযায়ী ধ্বনির উচ্চারণ

'মাগো, ওরা বলে' কবিতা থেকে কিছু শব্দ লেখো। বর্ণগুলো উচ্চারণ করে এগুলোর বৈশিষ্ট্য যাচাই করো এবং ছকে লেখো। কাজ শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে নিজের উত্তর মেলাও, আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।

বাক প্রত্যঙ্গ

ধ্বনি উচ্চারণে যেসব প্রত্যঙ্গ সরাসরি কাজ করে সেগুলোকে বাক প্রত্যঙ্গ বলে। এখানে বাক প্রত্যঙ্গের ছবি দেওয়া হলো।

ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণে বাক প্রত্যঙ্গের সক্রিয়তা

উচ্চারণের সময়ে কোন বাক প্রত্যঙ্গ ব্যবহৃত হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করো এবং ছকের নির্দিষ্ট জায়গায় লেখো। কাজ শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে নিজের উত্তর মেলাও, আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনি

বাক প্রত্যঙ্গের যে জায়গায় বায়ু বাধা পেয়ে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি করে, সেই জায়গাটি হলো ঐ ব্যঞ্জনের উচ্চারণ স্থান। উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয় :

কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন, তালব্য ব্যঞ্জন, মূর্ধন্য ব্যঞ্জন, দস্ত্য ব্যঞ্জন, ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন।

ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে কোন বাক প্রত্যঙ্গের অংশগ্রহণ মুখ্য এবং কোন বাক প্রত্যঙ্গের অংশগ্রহণ গৌণ।

কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন কি বা কাকে বলে?

কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন : যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে আলজিভের কাছাকাছি নরম তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন বলে। কাকা, খালু, গাছ, ঘাস, কাঙাল প্রভৃতি শব্দের ক, খ, গ, ঘ, ও কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনের উদাহরণ।

তালব্য ব্যঞ্জন কি বা কাকে বলে?

তালব্য ব্যঞ্জন : যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে তালব্য ব্যঞ্জন বলে। চাচা, ছাতা, জাল, ঝড়, শসা প্রভৃতি শব্দের চ, ছ, জ, ঝ, শ তালব্য ব্যঞ্জনের উদাহরণ।

মূর্ধন্য ব্যঞ্জন কি বা কাকে বলে?

মূর্ধন্য ব্যঞ্জন : দন্তমূল এবং তালুর মাঝখানে যে উঁচু অংশ থাকে তার নাম মূর্ধা। যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের ডগা মূর্ধার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে মূর্ধন্য ব্যঞ্জন বলে। টাকা, ঠেলাগাড়ি, ডাকাত, ঢোল, গাড়ি, মূঢ় প্রভৃতি শব্দের ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় মূর্ধন্য ব্যঞ্জনের উদাহরণ।

দন্ত্য ব্যঞ্জন কি বা কাকে বলে?

দন্ত্য ব্যঞ্জন : যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে দন্ত্য ব্যঞ্জন বলে। তাল, থালা, দাদা, ধান প্রভৃতি শব্দের ত, থ, দ, ধ দন্ত্য ব্যঞ্জনের উদাহরণ।

ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন কি বা কাকে বলে?

ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন : যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন বলে। পাকা, ফল, বাবা, ভাই, মা প্রভৃতি শব্দের প, ফ, ব, ভ, ম ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনের উদাহরণ।

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ধ্বনির প্রকার

'মাগো, ওরা বলে' কবিতা থেকে কিছু শব্দ নিয়ে শব্দগুলোতে যেসব বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর উচ্চারণ স্থান বোঝার চেষ্টা করো। এরপর উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ধ্বনিগুলোর প্রকার লেখো।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : শব্দের উচ্চারণ

শওকত আলী (১৯৩৬-২০১৮) বাংলাদেশের একজন কথাসাহিত্যিক। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে 'প্রদোষে প্রাকৃতজন', 'দক্ষিণায়নের দিন', 'কুলায় কালস্রোত', 'পূর্বরাত্রি পূর্বদিন' ইত্যাদি উলেস্নখযোগ্য। নিচের গলস্নাংশটুকু তাঁর 'যাত্রা' উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।

যাত্রা লেখক শওকত আলী

উপন্যাসটি বই থেকে পড়ে নিতে হবে। এই পরিচ্ছেদ এর উত্তরগুলো আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছ।

ভাষারূপের পরিবর্তন

'যাত্রা' গল্পের কথোপকথনের কয়েকটি জায়গায় আঞ্চলিক ভাষারীতির প্রয়োগ করা হয়েছে। গল্প থেকে এ রকম কয়েকটি বাক্য লেখো এবং বাক্যগুলোর প্রমিত রূপ নির্দেশ করো। কাজ শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে উত্তর নিয়ে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ : লিখিত ভাষায় প্রমিত রীতি

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০) একজন বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস 'পথের পাঁচালি'। এই উপন্যাস থেকে সত্যজিৎ রায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন যা আন্তর্জাতিক খ্যাতি পায়। বিভূতিভূষণের উলেস্নখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে 'অপরাজিত', 'আরণ্যক', 'চাঁদের পাহাড়', 'ইছামতী', 'অশনি সংকেত' ইত্যাদি।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে