চতুর্থ অধ্যায়
সৌরচুলিস্ন বানানোর উপকরণ
উপকরণের নাম :
১। ফাইবোর্ড/কাঠবোর্ড, ২। ককসিট, ৩। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার,
৪। পেরেক, ৫। কাচের পাত, ৬। আঠা, ৭। আয়না, ৮। হাতল, ৯। কবজা, ১০। বাইসাইকেল স্পোক
সৌরচুলিস্ন তৈরির উপকরণগুলোর কোনটা কেন ব্যবহার করা হয়েছে বলতে পারো? সৌরচুলিস্নকে কার্যকর করতে এই উপকরণগুলো কেন বেছে নেওয়া হলো? এই বিষয়ে তোমাদের মতামত কী? দলে বসে আলোচনা কর এবং নিচের ছকে লিখে রাখো-
অন্যান্য দলের বানানো সৌরচুলিস্নর সাথে তোমাদেরটি তুলনা করে দেখো। অন্যদের ছকের তথ্যগুলোও মিলিয়ে নাও। অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুলিস্নর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল? কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে। তুলনামূলক আলোচনা করে দেখো, তোমাদের চুলিস্নর পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো? তোমাদের মতামত নিচে লিখে রাখো-
প্রশ্ন : অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুলিস্নর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?
উত্তর : ৮৫ক্ক ঈ
প্রশ্ন : কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?
উত্তর : আলফা দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে। কারণ তাদের সৌরচুলিস্নতে আলো ঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। চুলিস্নতে বিভিন্ন ধরনের ত্রম্নটি ছিল। অন্যদিকে ভিটা দলের সবচেয়ে কম লেগেছে তাদের সৌরচুলিস্নটা অনেক কার্যকরী ছিল। যার ফলে সবার প্রথমে ডিম সেদ্ধ হয়েছে। গামা দলের চুলাটায় কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে সবকিছুই ঠিক ছিল।
প্রশ্ন :তোমাদের চুলিস্নর পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?
উত্তর : আমাদের চুলিস্নর সবকিছুই ঠিক ছিল; কিন্তু এর আকার ছিল অনেক ছোট। যার কারণে তাপশক্তি কম লাগায় ডিম সেদ্ধ হতে দেরি হয়েছে।
প্রশ্ন : অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে?
উত্তর : অভিজ্ঞতামূলক কাজগুলো করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এর ফলে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারার মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা বেড়েছে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নতুন কিছু করার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন : সৌর চুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তর : সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্নভাবে ভূমিকা পালন করে। যেমন :
অ-নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার হ্রাস : চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতিগুলো প্রায়শই জীবাশ্ম জ্বালানির মতো অ-নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর ওপর নির্ভর করে, যা বায়ুদূষণে অবদান রাখে। অন্যদিকে সৌর চুলা সূর্যের শক্তির ওপর নির্ভর করে। যার দরুন পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
বন উজাড় হ্রাস : চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতিতে জ্বালানি হিসেবে কাঠের ওপর নির্ভর করতে হয়। এটি বন উজাড় হতে পারে, যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিতে অবদান রাখে। সৌর চুলায় কোনো জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
উন্নত স্বাস্থ্য : চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতি, যা পোড়ানো কাঠ বা অন্যান্য জৈব জ্বালানির ওপর নির্ভর করে। বায়ুদূষণ তৈরি করে, যা শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সৌর চুলায় তেমনটা হয় না।
সামগ্রিকভাবে সৌর চুলা চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতির একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প অফার করে। অ-নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করে, বন উজাড় এবং বর্জ্য হ্রাস করে এবং উন্নত স্বাস্থ্যের প্রচার করে, সৌর চুলা পরিবেশ রক্ষা করতে এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতে অবদান রাখতে সহায়তা করতে পারে।
পঞ্চম অধ্যায়
বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ। এই শিখন অভিজ্ঞতার শুরুতে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার ও আশপাশের মানুষ থেকে প্রচলিত সংক্রামক রোগগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
এর সূত্র ধরে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারের ঘটনা- অর্থাৎ লুই পাস্তুর কীভাবে এই মরণঘাতী রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে একটা শিশুর জীবন রক্ষা করেছিলেন, সেই ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবে। জলাতঙ্ক, কোভিড ইত্যাদি ভাইরাসবাহিত রোগ নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে তারা ভাইরাসের গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানবে এবং কীভাবে তারা বিভিন্ন রোগ ছড়ায়, সে বিষয়ে ধারণা গঠন করবে।
একই সঙ্গে অন্যান্য অণুজীবের গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে তাদের মধ্যে একই ধরনের প্যাটার্ন অনুসন্ধান করবে। প্রকৃতিতে অণুজীবের ভূমিকা এবং মানুষের কীভাবে কাজে আসে, তা নিয়েও তারা এই পর্যায়ে আলোচনা করবে এবং মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর মতোই প্রকৃতির অংশ হিসেবে অণুজীবদের অস্তিত্ব উপলব্ধি করবে।
এরপর নতুন ধারণার ভিত্তিতে তাদের এলাকায় যেসব সংক্রামক রোগের কথা তারা জেনেছে, সেগুলোকে আবার বিশ্লেষণ করবে, কোন অণুজীব কোন রোগের জন্য দায়ী, তা অনুমান করার চেষ্টা করবে। সবশেষে এসব রোগ থেকে বাঁচতে যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন, তা তালিকা করবে এবং এলাকায় সবাইকে জানানোর জন্য যোগাযোগ পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করবে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়