বাংলাদেশের নদ-নদী
প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিভাগ
কর্ণফুলী নদী : কর্ণফুলী এ অঞ্চলের মূল নদী। এর উৎপত্তিস্থল মিজোরামের লুসাই পাহাড়ে। রাঙ্গামাটি এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পতেঙ্গার সন্নিকটে এটি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। রাঙ্গামাটির উজানে প্রবাহিত রয়েছে অনেকগুলো স্রোতধারা। মিজোরাম-বাংলাদেশ সীমান্তের থেগামুখের সন্নিকট থেকে একটি স্রোতস্বিনী হরিণা, বরকল এবং সুবলং-এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপর একটি স্রোতধারা মারিস্যা থেকে উৎপন্ন হয়ে ময়নামুখ এবং লংগদুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুবলং-এ পৌঁছেছে। একটি স্রোতস্বিনী ডাঙ্গুমারার মধ্য দিয়ে মাইনিমুখের দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং অন্য একটি স্রোতধারা মহালছড়ি উপজেলার মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এসব স্রোতস্বিনীসমূহ রাঙ্গামাটির কাছে এসে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মিলিত প্রবাহ কর্ণফুলী নামেই বাকি পথ প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি উচ্ছল এবং এর দৈর্ঘ্য ১৩১ কিমি। এর প্রধান উপনদীগুলো হলো রাইনখিয়াং, সুবলং, থেগা, কাসালং, ইছামতী এবং হালদা। কর্ণফুলীর প্রধান শাখা দুটির নাম সুয়ালক এবং বোয়ালখালী। কাপ্তাই নামক স্থানে এ নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে দেশের একমাত্র জলবিদু্যৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে কর্ণফুলীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং একটি বিশাল এলাকাজুড়ে কৃত্রিম হ্রদের সৃষ্টি হয়। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এ নদীর মোহনায় অবস্থিত। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কোদালা, চট্টগ্রাম এবং পতেঙ্গায় অবস্থিত তিনটি জলপরিমাপন (হাইড্রোমেট্রিক) কেন্দ্রের মাধ্যমে এ নদীর পানির স্তর সম্পর্কিত উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকে।
থেগা নদী :থেগা কর্ণফুলীর প্রধান উপনদীসমূহের একটি। এটি বরকল এবং সুবলং-এর আরও উজানে কর্ণফুলীর সঙ্গে মিলিত হয়ে কাপ্তাই লেকে পতিত হয়েছে।
কাসালং নদী :মিজোরামের পূর্বাঞ্চলীয় পর্বতশ্রেণি থেকে উৎসারিত হয়ে কিছু ক্ষুদ্র স্রোতধারা বাঘাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) এলাকায় একত্রে মিলিত হয়ে কাসালং নদীর সৃষ্টি করেছে। এটি কেদারমারাতে এসে কর্ণফুলী নদীতে (কাপ্তাই লেক) পতিত হয়েছে। নদীটি খরস্রোতা এবং ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ।
হালদা নদী :হালদা খাগড়াছড়ির বাটনাতলি পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে মধুনাঘাট (চট্টগ্রাম) এর নিকটে কর্ণফুলীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটি খরস্রোতা এবং এর দৈর্ঘ্য ৮৮ কিমি। এ নদীতে বাপাউবো-এর ১৩টি জলপরিমাপন কেন্দ্র রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে এ নদীর পানির স্তর সম্পর্কিত উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।