তৃতীয় অধ্যায়
৬. টিউমার কীভাবে ক্যানসারে রূপ নিতে পারে? ব্যাখ্যা কর। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৩৫)
উত্তর : কোষ বিভাজন অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া। যেকোনো জীব চায় তার কোষের সংখ্যা যেন অনিয়ন্ত্রিতভাবে না বাড়ে। যদি কোনো কোষ অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে, তবে তা জীবের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরকম ক্ষতিকর পরিণতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে ক্যানসার। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দৃত্তি, দুটি থেকে চারটি, এভাবে কোষ বিভাজন হয়। সংখ্যাবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষগুলোর মৃতু্য হয়। এভাবে জীবের কোষের সংখ্যার একটি ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু যদি কোনো কারণে কোষের মৃতু্য না হয়, অথচ নতুন নতুন কোষ তৈরি হতেই থাকে, তবে শরীরে টিউমার হতে পারে, যা এক পর্যায়ে ক্যানসারের রূপ গ্রহণ করে।
প্রশ্ন : দলের সবার সাথে কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে? নতুন কী শিখলে এই শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৩৫)
উত্তর : 'কোষ পরিভ্রমণ' শিখন অভিজ্ঞতামূলক কাজটি ছিল অনেক চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষণীয়। এ কাজটির মাধ্যমে আমরা উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুগুলোর মিল-অমিলগুলোও জানতে পেরেছি। বিশেষ করে টু্যর গাইড হিসেবে বিভিন্ন অঙ্গাণুর পরিচিত প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুগুলোর গঠন ও কাজ ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
এই শিখন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নতুন যা শিখলাম তা হলো, উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুগুলোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। যেমন- উদ্ভিদকোষে আছে ক্লোরোপস্নাস্ট ও কোষপ্রাচীর যা প্রাণিকোষে নেই। আবার প্রাণিকোষে আছে সেন্ট্রোসোম, যা উদ্ভিদকোষে নেই।
২. কোষের কোন বিষয়টি তোমার সবচেয়ে চমকপ্রদ লেগেছে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই : পৃষ্ঠা ৩৬)
উত্তর : কোষ পরিভ্রমণ শিখন অভিজ্ঞতামূলক কাজটির মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছি। জীবদেহের জন্য কোষের গুরুত্ব বর্ণনাতীত। জীবদেহের যাবতীয় কাজের আধার হলো কোষ। তথাপি কোষের সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয়টি ছিল ক্লোরোপস্নাস্টের পরিচিত ও কাজ। এই যে উদ্ভিদজগতে পাতা, ফুল, ফলের এত বৈচিত্র্য, তা হয়েছে ক্লোরোপস্নাস্টের কারণেই। মানুষসহ জীবজগতের বেশির ভাগ সদস্য তাদের শক্তির জোগান পায় যে প্রক্রিয়া থেকে, সেই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হয় ক্লোরোপস্নাস্টে। এজন্য কোষের সকল অংগাপুর মধ্যে ক্লোরোপস্নাস্ট একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
৪র্থ অধ্যায়
সূর্যালোকে রান্না
কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয় একটু চিন্তা করে নিচে লিখে রাখো-
১। লোহার বস্তু- রেল লাইন, রেল লাইনের চাকা, পেরেক, রড ইত্যাদি।
২। স্টিলের বস্তু- হাড়ি, কড়াই, চামচ ইত্যাদি।
৩। কাচের বস্তু- আয়না, কাচের গস্নাস থাই গস্নাস।
৪। পীতলের বস্তু- পিতলের থালা-বাসন, হাড়ি-পাতিল, গস্নাস ইত্যাদি।
৫। চামড়ার বস্তু- জুতা, বেল্ট, ব্যাগ ইত্যাদি।
থার্মোমিটার দিয়ে পাঁচটি পৃথক বস্তুর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়) তাপমাত্রা পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে লিখে রাখো।
অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট রোদে রেখে দেওয়ার পর থার্মোমিটার দিয়ে বস্তু পাঁচটির তাপমাত্রা পুনরায় পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে দুইবার নেওয়া তাপমাত্রার তথ্যই লিখে রাখো।
প্রশ্ন : আগের আর পরের তাপমাত্রার কোনো পার্থক্য কি দেখতে পাচ্ছ?
উত্তর : হঁ্যা, আগের আর পরের তাপমাত্রার পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি।
প্রশ্ন : পার্থক্য থেকে থাকলে কারণ কী হতে পারে?
উত্তর : সূর্য থেকে আসা তাপশক্তি শোষণ করে বস্তুগুলো অর্থাৎ লোহা, কাচ, পানি এবং কাপড়ের তাপমাত্রা আগের তাপমাত্রা থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন : প্রতিটি বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন কি একইরকম ঘটছে?
উত্তর : লোহার বস্তুগুলো তাপ সুপরিবাহী হওয়ায় অধিক পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে অন্যান্য বস্তু থেকে বেশি উত্তপ্ত হয়। অন্যদিকে কাচ, পানি এবং কাপড়ের বস্তুগুলোর তাপ পরিবাহিতা কম হওয়ায় কম পরিমাণ তাপ গ্রহণ করতে পারে। ফলে তাপমাত্রাও হয় কম। বস্তুর তাপমাত্রা রঙের ওপরও নির্ভরশীল। সাদা কাপড়ের তাপ ধারণ বা শোষণ ক্ষমতা কম। রঙিন কাপড়ের তাপ বেশি শোষিত হয়। ফলে সাদা কাপড় অপেক্ষা রঙিন কাপড়ের তাপমাত্রা বেশি হয়।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়