শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

সুধীরবরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় হাইমচর, চাঁদপুর
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ

অধ্যায়-৪

প্রশ্ন : ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাতে কোন দুটি নগর ধ্বংস হয়ে যায়?

উত্তর :ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাতে হারকিউলেনিয়াম ও পাম্পই নগর ধ্বংস হয়ে যায়।

প্রশ্ন : বিচূর্ণীভবন কী?

উত্তর : শিলারাশির চূর্ণবিচূর্ণ ও বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে বিচূর্ণীভবন বলে।

প্রশ্ন : চু্যতি কী?

উত্তর : ভূআলোড়নের সময় ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তরে প্রসারণ এবং সংকোচনে ভূত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ ফাটল বরাবর ভূত্বকের স্থানচু্যত হওয়াকে চু্যতি বলে।

প্রশ্ন : নদীর উৎস কাকে বলে?

উত্তর : যেখান থেকে নদীর উৎপত্তি হয় তাকে নদীর উৎস বলে।

প্রশ্ন : নদীর মোহনা কাকে বলে?

উত্তর : নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে এসে পতিত হয়, তখন সেই পতিত স্থানকে মোহনা বলে।

প্রশ্ন : নদীর খাড়ি কাকে বলে?

উত্তর : নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাড়ি বলে।

প্রশ্ন : দোয়াব কাকে বলে?

উত্তর : প্রবহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলে।

প্রশ্ন : নদী সঙ্গম কাকে বলে?

উত্তর : দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে নদী সঙ্গম বলে।

প্রশ্ন : উপনদী কাকে বলে?

উত্তর : পর্বত বা হ্রদ হতে যেসব ছোট নদী উৎপন্ন হয়ে কোনো বড় নদীতে পতিত হয় তাকে সেই বড় নদীর উপনদী বলে। বাংলাদেশের তিস্তা ও করতোয়া হলো যমুনা নদীর উপনদী।

প্রশ্ন : শাখা নদী কাকে বলে?

উত্তর : মূল নদী থেকে যেসব নদী বের হয় তাকে শাখা নদী বলে। বাংলাদেশের কুমার ও গড়াই হলো পদ্মা নদীর শাখা নদী।

প্রশ্ন : নদী উপত্যকা কাকে বলে?

উত্তর : যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে উক্ত নদীর উপত্যকা বলে।

প্রশ্ন : নদীগর্ভ কাকে বলে?

উত্তর : নদীর উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে।

প্রশ্ন : ভৌগোলিক বিচারে সমগ্র পৃথিবীর ভূমিরূপকে কী কী ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তর : ভৌগোলিক বিচারে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপকে ১. পর্বত ২. মালভূমি ৩. সমভূমি এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রশ্ন : কী কী কারণে পর্বত গঠিত হয়?

উত্তর : ভূআলোড়ন, আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাত, ভূত্বকের ক্ষয়কার্য ও সঞ্চয়কার্য এসব কারণে পর্বত গঠিত হয়।

প্রশ্ন : ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?

উত্তর : ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ হলো ক্ষয়সাধন।

প্রশ্ন : ঊর্ধ্বগতিতে নদীর কী কী ক্ষয়জাত ভূমিরূপ পাওয়া যায়?

উত্তর : নদীর ঊর্ধ্বগতি অবস্থায় 'ভি' আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত ও ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত ইত্যাদি ক্ষয়জাত ভূমিরূপ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন : গ্যান্ড ক্যানিয়ন কী?

উত্তর : গ্যান্ড ক্যানিয়ন হলো উত্তর আমেরিকার কলোরাডো নদীর বিখ্যাত গিরিখাত।

প্রশ্ন : পর্বত কাকে বলে?

উত্তর : সমুদ্রতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের অধিক উঁচু সুবিস্তৃত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে।

প্রশ্ন : পাহাড় কাকে বলে?

উত্তর : সাধারণত ৬০০ থেকে ১০০০ মিটার উঁচু স্বল্প বিস্তৃত শিলাস্তূপকে পাহাড় বলে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন : শিলা ও খনিজ কী ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভূত্বক শিলা দ্বারা গঠিত। শিলা গঠিত হয় বিভিন্ন খনিজের সংমিশ্রণে। কতকগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই খনিজ। খনিজ হলো একটি প্রাকৃতিক অজৈব, পদার্থ যার সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন এবং ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম রয়েছে। খনিজ দুই বা ততোধিক মৌলের সমন্বয়ে গঠিত হলেও কিছু কিছু খনিজ একটি মাত্র মৌল দ্বারা গঠিত হতে পারে। যেমন, হীরা, সোনা, তামা, পারদ ও গন্ধক। শিলা গঠনকারী প্রতিটি খনিজের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। যদিও বেশির ভাগ শিলাই একাধিক খনিজ দ্বারা গঠিত হয়। সেক্ষেত্রে খনিজ এবং শিলা একই পদার্থ।

প্রশ্ন :ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভূপৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তন তথা আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাত বা ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত গলিত লাভা নির্গত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট শিলা এভাবে সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন : কয়লা ও খনিজ তেলকে জৈব শিলা বলা হয় কেন?

উত্তর : পাললিক শিলা যৌগিক, জৈবনিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হতে পারে। বেলে পাথর, কয়লা, শেল, চুনাপাথর ইত্যাদি পাললিক শিলার উদাহরণ। জীবদেহ থেকে উৎপন্ন হয় বলে কয়লা ও খনিজ তেলকে জৈব শিলাও বলা হয়।

প্রশ্ন : আগ্নেয়শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর : আগ্নেয়শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো :

১. আগ্নেয় শিলা কেলাসিত হয়। এর স্ফটিকগুলোর গঠন পরস্পরের সাথে সংযোজিত। ফলে এটি খুব শক্ত ও ভারী হয়।

২. এ শিলায় কোনো জীবাশ্ম থাকে না। কারণ উত্তপ্ত গলিত পদার্থ হতে এ শিলার উৎপত্তি হয় বলে এর মধ্যে জীবজন্তু ও বৃক্ষ লতার অস্তিত্ব থাকতে পারে না।

প্রশ্ন : পাললিক শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর : পাললিক শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো :

১. পাললিক শিলায় স্তর দেখা যায়। কারণ এ শিলা পলল বা তলানিরূপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়।

২. এ শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়। কারণ এ শিলা পললরূপে সঞ্চিত হওয়ার সময় এর মধ্যে নানাবিধ সামুদ্রিক জীবজন্তুর কঙ্কাল ও উদ্ভিদের দেহাবশেষ প্রস্তরীভূত অবস্থায় থাকে।

পরবর্তী অংশ

আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে