বাংলাদেশের নদ-নদী

ময়মনসিংহ বিভাগ

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভোগাই নদী ভোগাই নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেরপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে তুরার কাছে গারো পাহাড়ে এই নদীর উৎপত্তি। উৎস থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরবর্তীতে কিছুদুর পেরিয়ে নদীটি কংস নাম ধারণ করেছে। বানার নদী বানার নদী বা বানার আপার নদী বা কলমদারী নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৩ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। স্থানীয়ভাবে নদীটি জামালপুর সদর উপজেলায় বানার, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় কলমদারী এবং গফরগাঁও ও ত্রিশাল উপজেলায় বানার নামে পরিচিত। বানার নদীটি জামালপুর জেলার জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নে প্রবহমান পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার আমিরবাড়ি ইউনিয়ন অবধি প্রবাহিত হয়ে খিরো নদীতে নিপতিত হয়েছে। এই নদীতে সারা বছর পানিপ্রবাহ থাকে না। পলির প্রভাবে নদীর তলদেশ ক্রমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে, স্থানীয় লোকজন কর্তৃক নদীর দুই পাশ ভরাট করায় এর প্রশস্ততা সংকুচিত হচ্ছে এবং নদীর গভীরতা হ্রাস পাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের নদী এ অঞ্চলের প্রধান নদীসমূহ হলো : কর্ণফুলী ও তার উপনদীসমূহ (উদাহরণস্বরূপ রাইনখিয়াং, কাসালং, হালদা, ইছামতী), বাকখালী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নাফ, ফেনী এবং কুতুবদিয়া চ্যানেল, মহেশখালী চ্যানেল ইত্যাদি। রাইনখিয়াং নদী মিজোরামের (ভারত) পূর্বাঞ্চলীয় পর্বতশ্রেণি থেকে উৎপন্ন বেশকিছু সংখ্যক ক্ষুদ্র স্রোতধারা একত্রে মিলিত হয়ে রাইনখিয়াং নদীর সৃষ্টি করেছে। নদীটি পাহাড়ি এলাকার গভীর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে অনেক বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে বেলাছড়ি (রাঙ্গামাটি) নামক স্থানে কাপ্তাই লেকে পতিত হয়েছে। এ স্থান কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে রাইনখিয়াং-এর মূল সঙ্গমস্থল রাইনখিয়াংমুখ থেকে ৩০ কিমি উজানে। নদীটি তরঙ্গমুখর উচ্ছল এবং ৭৭ কিমি দীর্ঘ। গোবাচ্ছরিমুখ পর্যন্ত আর্দ্রমৌসুমে নদীটিতে নৌচলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় নাব্যতা থাকে এবং এর আরও উজানে শুধু কাঠের গুঁড়ি এবং বাঁশ ভাসিয়ে পরিবহণ করা সম্ভব হয়। শিক্ষা জগৎ ডেস্ক য়