১ম অধ্যায়
প্রশ্ন: যেসব ফসল/উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম কি?
উত্তর: যেসব ফসল/উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তাদের নাম হলো : গম, মুলা, টমেটো ও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু সরিষা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য ওই ফসল/উদ্ভিদ বেশি জন্মে?
উত্তর:
ধান: এঁটেল মাটি। যা ধান চাষের জন্য উপযোগী।
টমেটো:এঁটেল মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করলে টমেটোর ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গাজর: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
শিম: পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
শাকসবজি: মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
পেঁপে: জলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
আম গাছ: আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ায় এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আমগাছ খুব দ্রম্নত বেড়ে উঠে।
ফুল কপি: জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে ফুল কপির চাষ ভালো হয়।
প্রশ্ন: কীভাবে বিভিন্ন ফসল/উদ্ভিদের ভালো চারা বাছাই করা হয়?
উত্তর:
র. ভালো বীজের বিশুদ্ধতা হতে হবে ৯৬% হতে ৯৯% ভাগ।
র. মিশ্রণ মুক্ততা।
রর. রোগ ও কীটপতঙ্গ মুক্ততা।
ররর. অংকুরোদগম ক্ষমতা: অংকুরোদগম ক্ষমতা হতে হবে ৮৫% বা তার ওপরে।
রা. বীজ প্রায় একই আকারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপক্ব ও পুষ্ট হতে হবে।
এছাড়া বীজের জীবনীশক্তি এবং বীজের স্বাভাবিক উজ্জ্বল রঙ থাকতে হবে।
প্রশ্ন: কিভাবে এসব ফসল ও উদ্ভিদের পরিচর্যা করতে হয়?
উত্তর:
র. চাষের স্থান নির্বাচন।
রর. উন্নতজাতের ফলের চারা বা কলম সংগ্রহ।
ররর. পুরনো ফলগাছে সুষম সার প্রয়োগ ও ফলন্ত গাছে রা. সেচ প্রদান করতে হবে।
া. পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
ার. খুঁটি দিয়ে চারা বেঁধে দেয়া।
ারর. খাঁচা বা বেড়া দেয়া।
াররর. ফল সংগ্রহের পর গাছের অঙ্গ ছাঁটাই করতে হবে।
রী. গাছের গোড়ায় মাটি দেয়া।
ী. আগাছা পরিষ্কার ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অধ্যায়
আমাদের আশপাশে যা দেখি এবং যা কিছুর ভর আছে তাকে পদার্থ বলে। একটি মাত্র উপাদান দিয়ে তৈরি হয় মৌলিক পদার্থ এবং একাধিক মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি হয় যৌগিক পদার্থ।
কিছু পদার্থ কঠিন, কিছু তরল, আর আছে গ্যাসীয় পদার্থ। পদার্থের সুলুকসন্ধান এ অভিজ্ঞতাটি তিন ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপের কাজের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্রতর স্কেলে তাদের চিরপরিচিত নানা পদার্থের গঠন, অর্থাৎ অণু-পরমাণু পর্যায়ে এদের গঠনের ধরন অনুসন্ধান করবে এবং জগতের অসংখ্য বস্তু যে কয়েকটা হাতে গোণা ক্ষুদ্র কণা দিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে গঠিত তা উপলব্ধি করবে।
দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদার্থের ধর্ম আরো একটু খুঁটিয়ে দেখে মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রণের পার্থক্য করবে এবং কোন ক্ষেত্রে অণু/পরমাণুগুলো কীভাবে থাকে তার প্যাটার্ন খুঁজে বের করবে এবং শেষ ধাপে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের প্রতীক ও সংকেতের সাথে পরিচিত হবে। তিনটি ধাপে এই পুরো শিক্ষন অভিজ্ঞতা পরিচালিত হবে-
প্রথম ধাপ : শিক্ষার্থীরা এই ধাপের কাজের মধ্যদিয়ে ক্ষুদ্রতর স্কেলে তাদের চিরপরিচিত নানা পদার্থের গঠন, অর্থাৎ অণু-পরমাণু পর্যায়ে এদের গঠনের ধরন অনুসন্ধান করবে এবং জগতের অসংখ্য বস্তু যে কয়েকটা হাতে গোণা ক্ষুদ্র কণা দিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে গঠিত তা উপলব্ধি করবে।
দ্বিতীয় ধাপ : এই ধাপে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদার্থের ধর্ম আরো একটু খুঁটিয়ে দেখে মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রণের পার্থক্য করবে এবং কোন ক্ষেত্রে অণু/পরমাণুগুলো কীভাবে থাকে তার প্যাটার্ন খুঁজে বের করবে।
প্রথম ধাপ : প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
প্রথম সেশনের শুরুতেই তোমরা বাসাবাড়িতে, রান্নাঘরে, শ্রেণিকক্ষের ভেতরে বা আশপাশে যেসব বস্তু তোমরা দেখো সেগুলোর তালিকা করবে এবং তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করবে।
এরপর তথ্যগুলো নিয়ে দলে বসে আলোচনা করবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে, কোনো ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলে কোনো বস্তু কোনো নির্দিষ্ট কাজে লাগে। যেমন- রান্নাবান্নায় ধাতব হাঁড়ি-পাতিল ব্যবহার করা হয়, কিন্তু কাঠ বা পস্নাস্টিকের পাতিল ব্যবহার করা হয় না। আবার গরম হাঁড়িপাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, কেন? একইভাবে বিদু্যৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় ভার উপরের স্তর পস্নাস্টিকের হলেও ভেতরে তামার তার ব্যবহৃত হয়, সেটাই বা কেন? কেন কাঠ, পস্নাস্টিক বা কাপড় যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, তার থেকে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, লোহা, তামা এদের ধর্ম আলাদা হয়?
১. গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, কেন?
উত্তর : গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা তাপ পরিবহন করে না। তাই এটি সহজে গরম হয় না। ফলে এগুলো দিয়ে। সহজে গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরা যায়। এগুলো দিয়ে গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরলে হাত পুড়ে যায় না।
পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়