বাংলাদেশের নদ-নদী

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
ময়মনসিংহ বিভাগ সুতিয়া নদী :সুতিয়া নদী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা, ত্রিশাল ও গফরগাঁও উপজেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৮ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬১ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। সুতিয়া নদী অববাহিকার আয়তন ৩৬ বর্গকিলোমিটার। নদীটি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বের হয়ে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বানার নদীতে এই নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে অক্টোবর হতে জুন মাস অবধি প্রবাহহীন অবস্থা থাকে। তবে জুলাই আগস্টের বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি হয়। এই সময় নদীতে পানির গভীরতা ৪ মিটারে পৌঁছায়। এই নদীতে জোয়ারভাটা খেলে না। নদীটিতে সাধারণত বন্যা হয় না। কংস নদী :কংস নদী বা কংশ নদী বা কংসবতী নদী বা কংসাই নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৮ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে তুরার কাছে গারো পাহাড়ে এ নদীর উৎপত্তি। উৎস থেকে দক্ষিণদিকে প্রবাহিত হওয়ার পর শেরপুর জেলার উত্তর ভাগে নালিতাবাড়ী উপজেলা সদরের প্রায় ১৬ কিমি উত্তর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীতে মিশেছে। কংস ও সোমেশ্বরীর মিলিত স্রোত বাউলাই নদী নামে পরিচিত। প্রবাহ পথে নদীটি ফুলপুর, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পূর্বধলা, দুর্গাপুর, নেত্রকোণা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৫ কিমি, প্রস্থ ১৬৫ মিটার, গভীরতা ১১.৫ (জারিয়া অঞ্চলে)। নদী অববাহিকার আয়তন ১১২৬ বর্গ কি.মি.। জোয়ার-ভাটার প্রভাবমুক্ত নদীটিতে সাধারণত বর্ষায় বন্যা হয় না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি রাবারডেম প্রকল্প রযেছে নদী অববাহিকায়। বোগাই-কংস নদীর পানিপ্রবাহ বারোমাসী প্রকৃতির। মার্চ মাসে পানিপ্রবাহ কম থাকে। তখন প্রবাহের পরিমাণ থাকে ৯.৯৭ ঘন মিটার/সে.। জুলাই মাসে পানিপ্রবাহ বেশি থাকে। এ সময় প্রবাহ বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬৬ ঘনমিটার/সে.।