শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

আতাউর রহমান সায়েম, সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

আহ্বান

প্রশ্ন : বুড়ির আনা আমগুলোকে কী রকম বলে উলেস্নখ করেছেন?

উত্তর : বুড়ির আনা আমগুলোকে কড়া মিষ্টি বলে উলেস্নখ করেছেন।

প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের বুড়িকে কে দুধ দিয়েছিল?

উত্তর: 'আহ্বান' গল্পের বুড়িকে হাজরার বউ দুধ দিয়েছিল।

প্রশ্ন :'আহ্বান' গল্পের হাজরার বউ বুড়িকে কী বলে ডাকে?

উত্তর : 'আহ্বান' গল্পের হাজরার বউ বুড়িকে মা বলে ডাকে।

প্রশ্ন : কে বুড়িকে খাবার না দিয়ে খায় না?

উত্তর : হাজরার বউ বুড়িকে খাবার না দিয়ে খায় না।

প্রশ্ন : হাজরার বউয়ের পেশা কী ছিল?

উত্তর : হাজরার বউয়ের পেশা ছিল ধান ভানা।

প্রশ্ন : বুড়ি কথিত গোপালকে কী দেখতে যেতে বলে?

উত্তর : বুড়ি কথিত গোপালকে ঘরখানা দেখতে যেতে বলে।

প্রশ্ন :বুড়ি গল্পকথকের বসবার জন্য ঘরে কী তৈরি করেছিল?

উত্তর : বুড়ি গল্পকথকের বসবার জন্য ঘরে খেজুর পাতার চাটাই তৈরি করেছিল।

প্রশ্ন : গল্পকথক গ্রামে থাকা অবস্থায় কে রোজ সকালে আসতে ভোলে না?

উত্তর : গল্পকথক গ্রামে থাকা অবস্থায় বুড়ি রোজ সকালে আসতে ভোলে না।

প্রশ্ন : গল্পকথকের খাবার দুধ কোথা থেকে আসে?

উত্তর : গল্পকথকের খাবার দুধ ঘুঁটি গোয়ালিনীর কাছ থেকে আসে।

প্রশ্ন : বুড়ির দৃষ্টিতে ঘুঁটি গোয়ালিনীর দুধে অর্ধেক কী?

উত্তর : বুড়ির দৃষ্টিতে ঘুঁটি গোয়ালিনীর দুধে অর্ধেক জল থাকে।

প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের বুড়ি গল্পকথককে কী নামে ডাকে?

উত্তর: 'আহ্বান' গল্পের বুড়ি গল্পকথককে 'গোপাল' নামে ডাকে।

প্রশ্ন : অসুস্থ বুড়িকে গল্পকথক কখন দেখতে গেলেন?

উত্তর : অসুস্থ বুড়িকে গল্পকথক বিকেলে দেখতে গেলেন।

প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের বুড়ি কীসের উপর শুয়েছিল?

উত্তর : 'আহ্বান' গল্পের বুড়ি মাদুরের উপর শুয়েছিল।

প্রশ্ন : বুড়ি কাকে দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল?

উত্তর :বুড়ি গোপালকে দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গেল।

প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পে কার দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে?

উত্তর :'আহ্বান' গল্পে বুড়ির দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন : শেষবারে গ্রামে ঢুকতেই গল্পলেখকের কার সাথে দেখা হয়?

উত্তর : শেষবারে গ্রামে ঢুকতেই গল্পলেখকের দিগম্বরীর সাথে দেখা হয়।

প্রশ্ন : দিগম্বরী কে?

উত্তর : দিগম্বরী পরশু সর্দারের বউ।

প্রশ্ন : গল্পকথক কার কাছ থেকে প্রথমে বুড়ির মৃতু্যর সংবাদ শুনতে পায়?

উত্তর : গল্পকথক দিগম্বরীর কাছে থেকে প্রথমে বুড়ির মৃতু্যর সংবাদ শুনতে পায়।

প্রশ্ন : 'ওর স্নেহাতুর আত্মা বহু দূর থেকে আমায় আহ্বান করে এনেছে।'-'আহ্বান' গল্পে কার কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর : 'আহ্বান' গল্পে বুড়ির কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পে আবদুল, শুকুর, নসর-এরা লেখকের কী হতেন?

উত্তর : 'আহ্বান' গল্পে আবদুল, শুকুর, নসর-এরা লেখকের স্কুল জীবনের বন্ধু হতেন।

প্রশ্ন : কারা বুড়ির কবর খুঁড়েছে?

উত্তর : দুজন জোয়ান ছেলে বুড়ির কবর খুঁড়েছে।

প্রশ্ন :বুড়ি কার জন্য খেজুর পাতার চাটাই বুনে রেখেছিল?

উত্তর : বুড়ি গল্পকথকের জন্য খেজুর পাতার চাটাই বুনে রেখেছিল।

প্রশ্ন : বুড়ি কথিত গোপালের জন্য ঘটিতে কী এনেছিল?

উত্তর : বুড়ি কথিত গোপালের জন্য ঘটিতে দুধ এনেছিল।

প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের কার মন বুড়ির ডাক তাচ্ছিল্য করতে পারেনি?

উত্তর : 'আহ্বান' গল্পের গল্পলেখকের মন বুড়ির ডাক তাচ্ছিল্য করতে পারেনি।

প্রশ্ন : গল্পকথক কাপড় কিনতে কার কাছে টাকা দিল?

উত্তর : গল্পকথক কাপড় কিনতে বুড়ির নাতজামাইয়ের কাছে টাকা দিল।

প্রশ্ন : বুড়িকে আনুমানিক কয়টায় দাফন করা হয়েছিল?

উত্তর : বুড়িকে আনুমানিক বেলা বারোটায় দাফন করা হয়েছিল।

প্রশ্ন : বুড়িকে কোথায় কবর দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর : বুড়িকে একটা প্রাচীন গাছের তলায় কবর দেয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন : গল্পকথক পকেট থেকে বুড়িকে কী বের করে দিয়েছিল?

উত্তর : গল্পকথক পকেট থেকে বুড়িকে পয়সা বের করে দিয়েছিল।

প্রশ্ন : বাল্যকালে কার মা-পিসি মারা গিয়েছে?

উত্তর : বাল্যকালে গল্পকথকের মা-পিসি মারা গিয়েছে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : চক্রবর্তী মহাশয় গল্পলেখককে কেন চালাঘর তুলতে বললেন?

উত্তর : গ্রামের ছেলে গ্রামে বাস করবে-চক্রবর্তী মহাশয় এই অভিপ্রায়ে গল্পলেখককে চালাঘর তুলতে বললেন।

গল্পলেখক ছিলেন চক্রবর্তী মহাশয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একমাত্র ছেলে। বন্ধুটি মারা যাওয়ার অনেকদিন পর তার একমাত্র ছেলেকে দেখে সে অত্যন্ত খুশি হয় এবং বন্ধুর ছেলেটিকে গ্রামে মাঝে-মধ্যে আসার জন্য বাবার ভিটায় অন্তত একটি চালাঘর তোলার পরামর্শ দেয়।

প্রশ্ন : 'সেও তো গরিব লোক।'-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : 'আহ্বান' গল্পে গল্পকথক দারিদ্র্যপীড়িত এক অসহায় বৃদ্ধাকে আলোচ্য উক্তিটি করে।

বুড়ি ভালোবেসে তার কথিত গোপালের জন্য তার পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ নিয়ে যায়। গোপাল দারিদ্র্যের কারণে বুড়িকে দুধের মূল্য দিতে গেলে বুড়ি ইতস্তত করে। গোপাল বোঝে বুড়ি অর্থের জন্য নয়, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার জন্যই তার জন্য দুধ নিয়ে আসে। তাই গোপাল বুড়িকে টাকা দিয়ে বলে সেও তো গরিব লোক। বুড়িকে বোঝাতেই গোপাল প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।

প্রশ্ন : বুড়ি গোপালের জন্য কেন দুধ নিয়ে এসেছিল?

উত্তর : গোপাল যে দুধ খেত তার মধ্যে ভেজাল থাকার কারণে বুড়ি গোপালের জন্য এক ঘটি দুধ নিয়ে এসেছিল।

বুড়ি লেখক তথা গোপালকে বড় বেশি ভালোবাসত। তাই সে গোপালের খোঁজখবর নিতে আসত। গোপাল ঘুঁটি গোয়ালিনীর ভেজাল দুধ খাচ্ছে শুনে বুড়ি ব্যথিত হয়েছিল। তাই পাতানো মেয়ের কাছ থেকে চেয়ে দুধ নিয়ে এসেছিল গোপালের জন্য।

প্রশ্ন : বুড়ি ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন কেন?

উত্তর : বুড়ি গল্পকথককে ভালোভাবে দেখতে ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখে ধরলেন।

গল্পকথক বাজারে থাকার সময় আম গাছের ছায়ায় এক বৃদ্ধাকে দেখতে পায়। গল্পকথক বৃদ্ধার গ্রামেরই ছেলে। কিন্তু বৃদ্ধা তাকে ভালোভাবে চেনে না। কথোপকথনের এক পর্যায়ে বুড়ি নিজের ডানহাত উঁচিয়ে তালু আড়ভাবে চোখের ওপর ধরে গল্পকথককে চেনার চেষ্টা করে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে