ধানসিঁড়ি নদী :ধানসিঁড়ি নদী বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায় অবস্থিত। একদা প্রমত্তা নদীটি এখন ক্ষীণকায়া।
নদীটির দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৯০ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বিখ্যাত প্রকৃতিবাদী কবি জীবনানন্দ দাশ রূপসী বাংলা কবিতায় ধানসিঁড়ি নদীটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
সন্ধ্যা নদী :সন্ধ্যা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৯০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। সন্ধ্যা নদীটি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন এলাকায় প্রবাহমান আড়িয়াল খাঁ নদ হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা পিরোজপুর সদর উপজেলার শরীকতলার ধুমরীতলা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে কচা নদীতে নিপতিত হয়েছে। নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ পরিদৃষ্ট হয় এবং ছোটবড় নৌযান চলাচল করে। তবে বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এ সময় নদীর তীরবর্তী অঞ্চল বন্যার পানিতে পস্নাবিত হয়। নদীটি জোয়ার ভাটার প্রভাবে ু্রভাবিত। এই নদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণির নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত।
ময়মনসিংহ বিভাগ
বিভাগের প্রধান নদ নদীগুলো হলো-পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, সুতিয়া, সোমেশ্বরী, নিতাই, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কংস, ভোগাই,বানার ইত্যাদি।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ :পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গাইবান্ধা, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার একটি নদ। নদটির দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২০০ মিটার এবং নদটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে শাখা হিসেবে বের হয়ে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা দিয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে। ১৭৮২ সালের আসাম ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদীর দিয়ে চলে যায়। আর আগে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়েই এই নদের বেশির ভাগ পানি প্রবাহিত হতো।