একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র
প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আতাউর রহমান সায়েম, সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন : ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে গিয়েছিল।
ইসহাক মিয়া ছিল পাকিস্তানিদের দোসর। সে অবাধে চলাফেরা করত এবং সব সময় উর্দুতে কথা বলত। আর পাকিস্তানিদের দোসর হওয়ায় সবাই তাকে খুব ভয় পেত।
প্রশ্ন : প্রিন্সিপাল কেন দিন-রাত দোয়া-দরুদ পড়ত?
উত্তর :প্রিন্সিপাল পাকিস্তানিদের জন্য দিনরাত দোয়া দরুদ পড়ত।
পাকিস্তানিদের জন্য প্রিন্সিপাল পাকিস্তানিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সে সবসময় তাদের মঙ্গল কামনা করত। আর তাদের জয়ের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ত।
প্রশ্ন : নুরুল হুদা কেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন?
উত্তর : মিলিটারিদের ভয়ে নুরুল হুদা পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশবাসীর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে নিরুপায় মানুষগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল। আর তাই নুরুল হুদা রাতভর ট্যাংকের হুঙ্কার, মেশিনগান আর স্টেনগানের প্রচন্ড শব্দে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন। আতঙ্কিত হয়ে, জীবন রক্ষার জন্য।
প্রশ্ন : ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান কেন?
উত্তর : ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান, কারণ তাকে দেখতে অনেকটা মিন্টুর মতো লাগছিল।
মিন্টু ছিল মুক্তিযোদ্ধা। তাই নুরুল হুদাকে যদি দেখতে তার মতো লাগে তাহলে সে খুব বিপদে পড়বে। তাই ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে যখন সে দেখে তাকে নিজেকে মিন্টুর মতো দেখতে লাগে, তখনই নূরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান।
আহ্বান
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পাস করেন কত সালে?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯১৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন।
প্রশ্ন : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কোন বিভাগে উত্তীর্ণ হন?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
প্রশ্ন :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন কোন জেলায়?
উত্তর :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশ পরগনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা কী ছিল?
উত্তর :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা ছিল শিক্ষকতা।
প্রশ্ন :'পথের পাঁচালী' উপন্যাসের লেখক কে?
উত্তর :'পথের পাঁচালী' উপন্যাসের লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন :'আহ্বান' গল্পের গল্পকথকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে কী গজিয়েছে?
উত্তর : 'আহ্বান' গল্পের গল্পকথকের পৈতৃক বাড়ির ভিটিতে জঙ্গল গজিয়েছে।
প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর : 'আহ্বান' গল্পটি 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের' রচনাবলি থেকে।
প্রশ্ন : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃতু্যবরণ করেন?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫০ সালে মৃতু্যবরণ করেন।
প্রশ্ন : ঘর করবার জন্য গল্পকথকের বাবার বন্ধু কোন জিনিস দিয়েছিল?
উত্তর : ঘর করবার জন্য গল্পকথকের বাবার বন্ধু খড়, বাঁশ দিয়েছিল।
প্রশ্ন : গল্পলেখকের বাবার বন্ধু গল্পকথককে কেমন ঘর তুলতে বললেন?
উত্তর : গল্পলেখকের বাবার বন্ধু গল্পকথককে চালাঘর তুলতে বললেন।
প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের গল্পকথক চক্কোত্তি মশাইকে দেখে কী করলেন?
উত্তর : 'আহ্বান' গল্পের গল্পকথক চক্কোত্তি মশাইকে দেখে প্রণাম করলেন।
প্রশ্ন : চক্কোত্তি মশাই গল্পকথককে গ্রামে কোন জিনিস করার কথা বললেন?
উত্তর : চক্কোত্তি মশাই গল্পকথককে গ্রামে বাড়িঘর করার কথা বললেন।
প্রশ্ন : গল্পলেখক কীসের বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে গেল?
উত্তর : গল্পলেখক আম বাগানের মধ্য দিয়ে বাজারে গেল।
প্রশ্ন : বাজারে যাওয়ার সময় গল্পকথক বৃদ্ধাকে কোথায় দেখতে পেলেন?
উত্তর : বাজারে যাওয়ার সময় গল্পকথক বৃদ্ধাকে আমগাছের ছায়ায় দেখতে পেলেন।
প্রশ্ন : কে থাকতে বুড়ির গোলাভরা ধান ও গোয়াল ভরা গরু ছিল?
উত্তর : স্বামী থাকতে বুড়ির গোলাভরা ধান ও গোয়াল ভরা গরু ছিল।
প্রশ্ন : বৃদ্ধা নড়ি ঠকঠক করতে করতে কোথায় যাচ্ছিল?
উত্তর : বৃদ্ধা নড়ি ঠকঠক করতে করতে বাজারে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন : বৃদ্ধা বুড়িকে দেখা মাত্রই গল্পলেখক কী করলেন?
উত্তর : বৃদ্ধা বুড়িকে দেখামাত্রই গল্পলেখক দাঁড়িয়ে গেলেন।
প্রশ্ন : 'তিনি থাকতে অভাব ছিল না কোন জিনিসের' -'আহ্বান' গল্পে এ উক্তিটির 'তিনি' কে?
উত্তর : 'আহ্বান' গল্পে এই 'তিনি' হলেন বুড়ির স্বামী।
প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের বুড়ির স্বামী পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : 'আহ্বান' গল্পের বুড়ির স্বামী পেশায় করাতি ছিলেন।
প্রশ্ন : স্বামী মারা যাওয়ার পর আপন বলতে জগতে বুড়ির কে বর্তমান আছে?
উত্তর : স্বামী মারা যাওয়ার পর আপন বলতে জগতে বুড়ির বর্তমান আছে এক নাতজামাই।
প্রশ্ন : বুড়ি কাকে উঠোনের কাঁঠালতলায় আপন মনে বকে গেল?
উত্তর : বুড়ি গল্পকথককে উঠোনের কাঁঠালতলায় আপন মনে বকে গেল।
প্রশ্ন : বুড়ি গল্পকথকের জন্য ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্তে বেঁধে কী নিয়ে এসেছিল?
উত্তর : বুড়ি গল্পকথকের জন্য ময়লা ছেঁড়া কাপড়ের প্রান্তে বেঁধে আম নিয়ে এসেছিল।
প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের গল্পকথকের সামনে কে দন্তহীন মুখে হাসবার চেষ্টা করল?
উত্তর: 'আহ্বান' গল্পের গল্পকথকের সামনে বুড়ি দন্তহীন মুখে হাসবার চেষ্টা করল।
প্রশ্ন : গল্পকথক গ্রামে কার বাড়িতে থাকেন?
উত্তর :গল্পকথক গ্রামে এক জ্ঞাতি খুড়োর বাড়িতে থাকেন।
প্রশ্ন : 'আহ্বান' গল্পের বুড়ির স্বামীর নাম কী?
উত্তর: 'আহ্বান' গল্পের বুড়ির স্বামীর নাম জমির।
প্রশ্ন :কে গল্পকথককে বুড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন?
উত্তর : গল্পকথকের খুড়ো মশায় গল্পকথককে বুড়ির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়