শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

দ্বাদশ অধ্যায়

প্রশ্ন : বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কী কী হতে পারে? আলোচনা করো।

উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চল ও পর্বতের চূড়ার বরফ গলে যাচ্ছে। ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে তাপমাত্রা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। সাগর থেকে নদীতে নোনা জল ঢুকে পড়তে পারে। এ ছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘন ঘন ঘটতে পারে।

প্রশ্ন :জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী কী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে?

উত্তর :জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। যেমন-

ক) ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের হার ও মাত্রা বৃদ্ধি পাবে;

খ) হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দেবে;

গ) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে খরা দেখা দেবে;

ঘ) সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রশ্ন : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার দুটি কৌশল লেখো।

উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার দুটি কৌশল হলো-

ক) জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো;

খ) জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায়

প্রশ্ন :প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার কেন প্রয়োজন?

উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য এর যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। কেননা আমরা শক্তি উৎপাদন এবং নতুন কিছু তৈরি করার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত। যদি যথাযথভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করা না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ ফুরিয়ে আসবে। যেমন- তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি একবার ব্যবহার করলে তা হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া যায় না। তবে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এ সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি, যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া, প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য এর যথাযথ ব্যবহার করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন : কেন নবায়নযোগ্য সম্পদ অবনায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর : আমরা জানি, নবায়নযোগ্য সম্পদ বারবার ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ এ সম্পদ অফুরন্ত। অন্যদিকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ সীমিত যা একবার নিঃশেষ হয়ে গেলে হাজার হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। যেমন- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা। অনবায়নযোগ্য সম্পদ যা সীমিত আকারে থাকে। যদি আমরা এসব অনবায়নযোগ্য সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য সম্পদ যেমন- সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, নদীর স্রোতকে আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করি তাহলে অনবায়নযোগ্য সম্পদ সহজে ফুরিয়ে যাবে না। এ ছাড়া অনবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হয়। এ কারণে নবায়নযোগ্য সম্পদকে অনবায়নযোগ্য সম্পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।

প্রশ্ন : প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার কেন প্রয়োজন?

উত্তর : আমরা শক্তি উৎপাদন এবং নতুন কিছু তৈরি করার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ মানবসৃষ্ট সব সম্পদের উৎস হলো প্রকৃতি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত। যদি যথাযথভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করা না হয় তবে অদূর ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ ফুরিয়ে আসবে। এর অভাবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই আমরা তৈরি করতে পারব না। ফলে আমাদের পৃথিবী আর বসবাস উপযোগী থাকবে না। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য এর যথাযথ ব্যবহার করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন : প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদের মধ্যে মিল ও পার্থক্য কোথায়?

উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদের মধ্যে মিল ও পার্থক্য হলো-

মিল :

১. প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদ উভয়ই প্রকৃতি থেকে আসে।

২. উভয় সম্পদই প্রধানত মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার হয়।

৩. উভয় সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা পরিবেশদূষণ কমাতে পারি।

অমিল :

১. প্রাকৃতিক সম্পদ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট, অন্যদিকে মানবসৃষ্ট সম্পদ কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট।

২. প্রাকৃতিক সম্পদ মানবসৃষ্ট সম্পদের উপর নির্ভর করে না।

৩. প্রাকৃতিক সম্পদ ইচ্ছেমতো সৃষ্টি করা যায় না, অন্যদিকে মানবসৃষ্ট সম্পদ ইচ্ছেমতো সৃষ্টি করা যায়।

প্রশ্ন : একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে তোমার কোন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদ প্রয়োজন হবে?

উত্তর : একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে আমার যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদের প্রয়োজন হয় তা নিচে দেওয়া হলো-

প্রাকৃতিক সম্পদ :

১. গাছ, ২. পানি, ৩. মাটি, ৪. বালি, ৫. পাথর, চুনাপাথর, ৬. জীবাশ্ম জ্বালানি

মানবসৃষ্ট সম্পদ :

১. কাঠ, ২. ইট, ৩. সিমেন্ট, ৪. রড, ৫. বিদু্যৎ

৬. কাচ

প্রশ্ন : প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কী বোঝো? নবায়ন সম্পদ ও অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলতে কী বোঝো? সৌরশক্তির সুবিধা ২টি বাক্যে লেখো।

উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রকৃতিতে পাওয়া যেসব সম্পদ মানুষ তার চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করে থাকে। সেসব সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে