একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

রেইনকোট প্রশ্ন : 'রেইনকোট' গল্পটির রচয়িতা কে? উত্তর : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। প্রশ্ন : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রশ্ন : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : গোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রশ্ন : ইসহাক কোন বিষয়ের প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো? উত্তর : জিওগ্রাফির প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো। প্রশ্ন : কাকে দেখে কলেজের সবাই তটস্থ? উত্তর : ইসহাক মিয়াকে দেখে। প্রশ্ন : কোন মাসের শুরু থেকে ইসহাক বাংলা বলা ছেড়ে দিয়েছে? উত্তর : এপ্রিল মাসের শুরু। প্রশ্ন : কে দিনরাত উর্দু বলে? উত্তর : ইসহাক মিয়া। প্রশ্ন : কে পাকিস্তানিদের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ছে? উত্তর : কলেজের প্রিন্সিপাল। প্রশ্ন : আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী? উত্তর : আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস। প্রশ্ন : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে মৃতু্যবরণ করেন? উত্তর : ১৯৯৭ সালে মৃতু্যবরণ করেন। প্রশ্ন : কাকে জড়িয়ে ধরে নুরুল হুদার চুমু খেতে ইচ্ছা করছে? উত্তর : পিওনকে। প্রশ্ন : রেডিও, টেলিভিশনে হরদম কী বলছে? উত্তর : হরদম বলছে সিচু্যয়েশন নর্মাল। প্রশ্ন : নুরুল হুদার স্ত্রীর নাম কী? উত্তর : আসমা। প্রশ্ন : 'মিন্টু কার ভাই? উত্তর : আসমার ভাই। প্রশ্ন : কার জন্য নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়? উত্তর : মিন্টুর জন্য। প্রশ্ন : নুরুল হুদা কতবার বাড়ি পাল্টায়? উত্তর : চারবার বাড়ি পাল্টায়। প্রশ্ন : নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত? উত্তর : আড়াই বছর। প্রশ্ন : নুরুল হুদার ছেলের বয়স কত? উত্তর : পাঁচ বছর। প্রশ্ন : কোথাকার হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন? উত্তর : রংপুর-দিনাজপুরের হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন। প্রশ্ন : মসজিদের ছাদ থেকে কে পড়ে গিয়েছিল? উত্তর : মুয়াজ্জিন সাহেব পড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন : কে জুমার নামাজটা নিয়মিত পড়ে? উত্তর : নুরুল হুদা। প্রশ্ন : নুরুল হুদা কোন বিষয়ের লেকচারার? উত্তর : নুরুল হুদা কেমিস্ট্রির লেকচারার। প্রশ্ন : উর্দুর প্রফেসরের নাম কী? উত্তর : উর্দুর প্রফেসরের নাম আকবর সাজিদ। প্রশ্ন : কাদের ঠিকানা নুরুল হুদার জানা আছে? উত্তর : মিসক্রিয়ান্টদের। প্রশ্ন : 'মিসক্রিয়ান্ট' শব্দের অর্থ কী? উত্তর : দুষ্কৃতিকারী। প্রশ্ন : আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ কোনটি? উত্তর : 'জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল'। প্রশ্ন : 'চিলেকোঠার সেপাই' উপন্যাসটির রচয়িতা কে? উত্তর : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। প্রশ্ন : 'রেইনকোট' গল্পের কথক কে? উত্তর : নুরুল হুদা। প্রশ্ন : 'রেইনকোট' গল্পের রেইনকোটটি কার? উত্তর : রেইনকোটটি মিন্টুর। প্রশ্ন : নুরুল হুদাকে কে ডেকে পাঠিয়েছে? উত্তর : প্রিন্সিপাল ডেকে পাঠিয়েছে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : 'ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল'- কেন? উত্তর : 'ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল'- মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসহাক মিয়ার দাপট খুব বেশি বেড়ে যাওয়ায় এ কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসহাক মিয়া পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় তার দাপট খুব বেড়ে গিয়েছিল। সে নিজেকে কর্নেলের মতো ক্ষমতাবান ভাবতে শুরু করে। তাই তাকে কর্নেল বা লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা ক্যাপ্টেন ভাবা যায়। কিন্তু ক্যাপ্টেনের নিচের পদে তাকে ভাবা যায় না। প্রশ্ন : নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয় কেন? উত্তর : মিন্টু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছে বলে নুরুল হুদাকে এক্সট্টা তটস্থ থাকতে হয়। নুরুল হুদা অত্যন্ত ভীরু প্রকৃতির মানুষ। সে দেশকে খুব ভালোবাসে কিন্তু ভয়ে প্রকাশ করতে পারে না। তাই তার শালা মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা-একথা 'হানাদার' বাহিনী জানতে পারলে তাকে খুব বিপদে পড়তে হবে, এই ভয়ে সে সবসময় তটস্থ থাকে। প্রশ্ন : 'রেইনকোট' গল্পে 'মিসক্রিয়ান্ট' শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে? উত্তর : 'রেইনকোট' গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝাতে 'মিসক্রিয়ান্ট' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। 'মিসক্রিয়ান্ট' শব্দের আভিধানিক অর্থ দুষ্কৃতকারী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনী এ শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছে। আর এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে 'রেইনকোট' গল্পে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রশ্ন : নুরুল হুদা কেন চারবার বাড়ি পাল্টায়? উত্তর : নুরুল হুদার সাথে মুক্তিবাহিনীর আঁতাত রয়েছে একথা গোপন রাখার জন্য নুরুল হুদা চারবার বাড়ি পাল্টায়। নুরুল হুদার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ খবরটি কেউ যদি হানাদার বাহিনীকে জানিয়ে দেয় এ ভয়ে সে চারবার বাড়ি পাল্টায়। যাতে আশপাশের কেউ তাকে চিনতে না পারে। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়