রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশের নদ-নদী

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের নদ-নদী

বরিশাল বিভাগ

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জালের ন্যায় নদী ছড়িয়ে আছে। বরিশাল বিভাগেও তেমনই নদ-নদীর সংখ্যা প্রচুর। এই বিভাগের উলেস্নখযোগ্য নদ-নদীসমূহ হচ্ছে কীর্তনখোলা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা নদ, বলেশ্বর নদী।

কীর্তনখোলা নদী

কীর্তনখোলা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল এবং ঝালকাঠি জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৬০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৯৭ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। এই নদীর তীরে বরিশাল শহর অবস্থিত।

কীর্তনখোলা নদীর শুরু হয়েছে বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ হতে। গজালিয়ার কাছে গিয়ে এটি পতিত হয়েছে গাবখান খালে। কীর্তনখোলা মূলত আড়িয়াল খাঁ নদের একটি শাখা। আড়িয়াল খাঁর উৎপত্তি পদ্মা থেকে। বরিশাল ঘেঁষে কীর্তনখোলা নদী পশ্চিমে এগিয়ে নলছিটি থানার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। একটি অংশ ধানসিঁড়ি নাম নিয়ে কচা নদীতে গিয়ে মিশেছে। অপর অংশ মিলেছে বিষখালী নদীতে।

শায়েস্তাবাদ হতে নলছিটি অবধি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার। এ জায়গায় নদীটির প্রস্থ প্রায় আধা কিলোমিটার। ব্রিটিশ আমলে এটি আরো বেশি প্রমত্তা ছিল, সে সময়ে এর প্রস্থ ছিল ১ কিলোমিটারের মতো। গত ১ শতাব্দী ধরে চর পড়ে কীর্তনখোলার প্রস্থ কমে গেছে। এর পাশাপাশি পলি পড়ে নদীটির নাব্যতাও হ্রাস পেয়েছে।

কীর্তনখোলা নদীর তীরে বরিশাল নৌ-বন্দর অবস্থিত, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী-বন্দর।

নদীর পার ঘেঁষেই শহরের সবচেয়ে পুরনো হাট রয়েছে। প্রচলিত রয়েছে, সেখানে কীর্তনের উৎসব হতো। সেই থেকে এই নদীর নাম হয়েছে কীর্তনখোলা। কেউ কেউ হাটখোলায় স্থায়ীভাবে কীর্তনের দল বসবাস করার কারণে এর নাম কীর্তনখোলা হয়েছে বলে মনে করেন। তবে নদীর নামকরণের সঙ্গে কীর্তনের কিংবা কীর্তনীয়দের যে একটা সম্পর্ক রয়েছে তা নিশ্চিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে