বাংলাদেশের নদ-নদী

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
খুলনা বিভাগ কপোতাক্ষ নদ :কপোতাক্ষ নদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের অন্যতম বড় নদ। নদীটি চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কপোতাক্ষ নদ এর উৎপত্তি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এবং এটি পরে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায় ভৈরব ও কপোতাক্ষ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কাছে শিবসা নদীতে গিয়ে পতিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার (১৪৮ মাইল), গড় প্রস্থ ১৫০ মিটার (৪৯০ ফুট), গভীরতা ৩.৫ থেকে ৫ মিটার (১১.৫ থেকে ১৬.৪ ফুট)। এই নদ ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত। কুমার নদ : কুমার নদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা জেলা, কুষ্টিয়া জেলা, ঝিনাইদহ জেলা ও মাগুরা জেলায় অবস্থিত অন্যতম নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৭৫ মিটার। কুমার নদটি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নে প্রবাহমান মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে নবগঙ্গা নদীতে পতিত হয়েছে। চিত্রা নদী :চিত্রা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৩ মিটার। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৭০ কি.মি.। চিত্রা নদীটি চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনার নিম্নস্থল থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কালিগঞ্জ, মাগুরার শালিখা ও কালিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাজীরহাটে নবগঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলেছে এবং এর মিলিত স্রোত খুলনার দৌলতপুরের কাছে ভৈরব নদীতে মিশেছে। একসময় চিত্রা নদী অত্যন্ত খরস্রোতা থাকলেও প্রাকৃতিক কারণ ও কালভার্ট নির্মাণের কারণে তা মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে। পশুর নদী :পশুর নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বাগেরহাট জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪২ কিলোমিটার, প্রস্থ ৪৬০ মিটার থেকে ২.৫ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এটি গঙ্গা জলপ্রবাহের একটি ধারা। এটি খুলনা জেলা এবং বাগেরহাট জেলার মাঝে অবস্থিত। এটি মূলত জোয়ার ভাটার পানি বহন করে। এটি সুন্দরবন এর কাছে শিবসা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগরের কাছে কুঙ্গা নদী নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশে গভীরতম নদীর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য। পশুর নদীটি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর ইউনিয়নে প্রবহমান ভৈরব নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই জেলার দাকোপ উপজেলার খুলনা রেঞ্জ ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে নিপতিত হয়েছে। নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে এবং ছোটবড় নৌযান চলাচল করে।