একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

আতাউর রহমান সায়েম, সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রশ্ন: 'নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়' কবিতায় অভাগা মানুষ কী প্রত্যাশা করে? ব্যাখ্যা কর। উত্তর : 'নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়' কবিতার অভাগা মানুষ নূরলদীনের প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশা করে। নূরলদীন প্রতিবাদী চরিত্রের নাম। অভাগা মানুষ আশা করে সে একদিন আসবে। এসে তাদের পাশে দাঁড়াবে। সমাজে তাদের ওপর যত অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন হচ্ছে তার প্রতিবাদ করবে। তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে নূরলদীন তা দূর করবে। তাই অভাগা মানুষ চায় নূরলদীনের প্রত্যাবর্তন। প্রশ্ন: 'স্মৃতির দুধ জ্যোৎস্নার সাথে ঝরে পড়ে'- বাক্যে কবি কী বুঝিয়েছেন? উত্তর : 'স্মৃতির দুধ জ্যোৎস্নার সাথে ঝরে পড়ে'- বলতে কবি অতীত স্মৃতিকে বুঝিয়েছেন। বাংলার মানুষের অতীত ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস। সে সব স্মৃতি মানুষের মনের স্মৃতিকোঠরে বন্দি। আর জ্যোৎস্নাশোভিত রাতে সে সকল অতীত স্মৃতি মানুষের মনে আবার জেগে ওঠে। নিঃসঙ্গ মানুষ একা একা সে সব স্মৃতিকথা মনে করে অশ্রম্ন বিসর্জন করে। বলা যায় যে, বাংলার সৌন্দর্য যখন জ্যোৎস্নার আলোয় আরো সৌন্দর্যমন্ডিত হয়, তখন প্রতিটি মানুষই তার অতীত স্মৃতি মনে করে। 'মহাজাগতিক কিউরেটর' জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন :প্রাণিজগতে একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণীর নাম কী? উত্তর :প্রাণিজগতে একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণীর নাম হলো সরীসৃপ। প্রশ্ন :'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে কোন প্রাণী নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে? উত্তর :কুকুর নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। প্রশ্ন :'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে কোন শ্রেণির প্রাণীর মাঝে স্বকীয়তা লোপ পেয়ে যাচ্ছে? উত্তর : 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে গৃহপালিত প্রাণীর মাঝে স্বকীয়তা লোপ পেয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন : গাছপালা কী দিয়ে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে? উত্তর : গাছপালা আলোকসংশ্লেষণ দিয়ে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে। প্রশ্ন : সব প্রাণীর জন্য মূল গঠনটি হচ্ছে কী দিয়ে? উত্তর : সব প্রাণীর জন্য মূল গঠনটি হচ্ছে ডিএনএ দিয়ে। প্রশ্ন : 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে তৃণভোজী প্রাণী বলা হয়েছে কোন প্রাণীকে? উত্তর : 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে তৃণভোজী প্রাণী বলা হয়েছে হরিণকে। প্রশ্ন : জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ককে কী বলা হয়? উত্তর : জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ককে কিউরেটর বলা হয়। প্রশ্ন : মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'সায়েন্স ফিকশন সমগ্র' তৃতীয় খন্ড কত সালে প্রকাশিত হয়? উত্তর : মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'সায়েন্স ফিকশন সমগ্র' তৃতীয় খন্ড ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন : পিঁপড়া নিজের শরীর থেকে কতগুণ বেশি জিনিস অনায়াসে নিয়ে যেতে পারে? উত্তর : পিঁপড়া নিজের শরীর থেকে দশগুণ বেশি জিনিস অনায়াসে নিয়ে যেতে পারে। প্রশ্ন : বাতাসের ওজোন স্তর শেষ হওয়ার পেছনে দায়ী কে? উত্তর : বাতাসের ওজোন স্তর শেষ হওয়ার পেছনে দায়ী মানুষ। প্রশ্ন : মানুষ কত বছর আগে জন্ম নিয়েছে? উত্তর : মানুষ মাত্র দুই মিলিয়ন বছর আগে জন্ম নিয়েছে। প্রশ্ন : পিঁপড়া কোন যুগ থেকে বেঁচে আছে? উত্তর : পিঁপড়ারা সেই ডাইনোসরের যুগ থেকে বেঁচে আছে। প্রশ্ন : ওজোন স্তর আমাদের কী থেকে রক্ষা করে? উত্তর : ওজোন স্তর আমাদের সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। প্রশ্ন : লুপ্ত হওয়া বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী বলা হয় কাকে? উত্তর : লুপ্ত হওয়া বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী বলা হয় ডাইনোসরকে। প্রশ্ন : বুকে ভর দিয়ে চলে এমন প্রাণীকে কী বলা হয়? উত্তর : বুকে ভর দিয়ে চলে এমন প্রাণীকে সরীসৃপ বলা হয়। প্রশ্ন : 'সালোকসংশ্লেষণ দিয়ে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে নিচ্ছে।'-উক্তিটি দ্বারা কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? উত্তর : 'সালোকসংশ্লেষণ দিয়ে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে নিচ্ছে।'-উক্তিটি দ্বারা গাছপালাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। পৃথিবীর জীবজগতের মধ্যে উদ্ভিদ হলো উৎপাদক অর্থাৎ নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে। শুধু সূর্যের আলোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় এরা শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে যা দেহের বৃদ্ধি ঘটায়। প্রশ্ন : 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে অত্যন্ত সুবিবেচক প্রাণী কী? উত্তর : 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে অত্যন্ত সুবিবেচক প্রাণী পিঁপড়া। অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : 'এখানে প্রাণের বিকাশ হয়েছে।'-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : পৃথিবী নামক গ্রহে প্রাণের বিকাশ সম্পর্কেই ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। দুজন মহাজাগতিক কিউরেটর সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল। দেখতে দেখতে প্রথম প্রাণীটি হঠাৎ করেই বলে উঠল, এখানে প্রাণের বিকাশ রয়েছে। প্রশ্ন : 'সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে জটিল প্রাণীটির একই রকম গঠন'- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : 'সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে জটিল প্রাণীটির একই রকম গঠন'-উক্তিটি দ্বারা সব প্রাণীর মূল গঠন ডিএনএ দ্বারা গঠিত-এটাই বোঝানো হয়েছে। পৃথিবীর সব প্রাণী একইভাবে তৈরি হয়েছে। সব প্রাণীর ডিএনএ একই রকম। সবগুলো একই বেস পেয়ার দিয়ে তৈরি। প্রাণীগুলোর নীলনকশা এই ডিএনএ দিয়ে তৈরি করে রাখা হয়েছে। কারো এই নীলনকশা সহজ, কারো জটিল এটুকুই হচ্ছে পার্থক্য। প্রশ্ন : ব্যাকটেরিয়াকে নমুনা প্রাণী হিসেবে কেন পছন্দ হয়নি কিউরেটরদের? উত্তর : মাত্রাতিরিক্ত ছোটো বিধায় কিউরেটরদের ব্যাকটেরিয়াকে নমুনা প্রাণী হিসেবে পছন্দ হয়নি। মহাজাগতিক কাউন্সিল কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দুজন কিউরেটর বিশ্বব্রহ্মান্ড ঘুরে পৃথিবীতে এসেছিল। সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। তাদের বিবেচনায় একসময় ব্যাকটেরিয়া আসে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত ছোটো আণুবীক্ষণিক প্রাণী। এদের খালি চোখে দেখা যায় না। সর্বোপরি এদের মধ্যে কোনো বৈচিত্র্যময়তা নেই। তাই কিউরেটররা ব্যাকটেরিয়াকে নমুনা প্রাণী হিসেবে পছন্দ করেনি। প্রশ্ন : 'প্রাণিজগতে সরীসৃপ একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী।'-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : 'প্রাণিজগতে সরীসৃপ একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী।'-উক্তিটি দ্বারা সরীসৃপদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত নয়-এ কথাই বলা হয়েছে। সরীসৃপ প্রাণী সাধারণত শীতল রক্তবিশিষ্ট হয়। ঠান্ডার মাঝে এরা কেমন যেন স্থবির হয়ে পড়ে। তা ছাড়া সরীসৃ পদের মধ্যে কোনো কোনো প্রজাতি যেমন সাপ বেশ কৌতূহলোদ্দীপক হয়ে থাকে। এ সবকিছু চিন্তা করেই কিউরেটরদ্বয় বলেছিল প্রাণিজগতে সরীসৃপ একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়