পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
দশম অধ্যায় প্রশ্ন : আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার লেখো। উত্তর : আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার নিচে লেখা হলো- ১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য। ২. খনিজসম্পদের তথ্য জানার জন্য। ৩. জটিল রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে চিকিৎসাপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। ৪. জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। ৫. যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হয়। প্রশ্ন : কম্পিউটার কী? কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে ৪টি বাক্যে লেখো। উত্তর : কম্পিউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্দেশমতো কম্পিউটার গাণিতিক ও যৌক্তিক প্রণালিতে সমাধান করে এবং ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটার যেসব কাজে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে ৪টি বাক্যে নিচে লেখা হলো- ১. টাইপ করা যায়। ২. সেকেন্ডে হাজার হাজার, লাখ লাখ গাণিতিক হিসাব কষা যায়। ৩. ছবি আঁকা যায়, ছবি দেখা যায় এবং গান শোনা যায়। ৪. যাবতীয় তথ্য জমা রাখা যায় এবং তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। প্রশ্ন : তথ্য আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন? সংগৃহীত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তা ৩টি বাক্যে লেখো। উত্তর : বস্তুগত সম্পদ যেমন মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলাতে পারে, সমস্যার সমাধান দিতে পারে, তথ্যও তেমন গভীরভাবে আমাদের জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে এবং সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এসব কারণেই তথ্য আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণের জন্য উপরের গধহঁ ইধৎ-এর বাম দিকে ভরষব ংবষবপঃ করতে হবে। ঝধাব অং নির্বাচন করে ঋরষব, ঘধসব-এর জায়গায় ফাইলের নাম ও ঝধাব রহ-এ সংরক্ষণের স্থান নির্দিষ্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া মাউস (সড়ঁংব) দিয়ে দরকারি অংশ নির্বাচন করে তা কপি করার পর কম্পিউটারের মেমোরি বা উপযুক্ত স্থানে চধংঃব করতে হবে। এভাবে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। একাদশ অধ্যায় প্রশ্ন: বায়ুচাপ কী? উত্তর : বায়ু তার ওজনের কারণে ভূপৃষ্ঠের ওপর যে চাপ প্রয়োগ করে, তাই বায়ুচাপ। বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। বায়ুচাপ হ্রাস পেলে মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে আর বায়ুচাপ কমলে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। প্রশ্ন: কীভাবে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়? উত্তর : দিনে স্থলভাগ জলভাগ থেকে উষ্ণ থাকে। উষ্ণ স্থলভাগ তার ওপর থাকা বাতাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। বায়ু উষ্ণ হলে তা হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। ফলে ওই স্থান ফাঁকা হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন :বাংলাদেশে কেন বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয়? উত্তর : বাংলাদেশে বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে অধিক বৃষ্টিপাত হয়। আর্দ্রতা হলো বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশের ওপর খাঁজভাবে কিরণ দেয়। তখন স্থলভাগে নিম্নচাপ এবং বঙ্গোপসাগর এলাকায় উচ্চচাপ বিরাজ করে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে। এই জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এ কারণেই বাংলাদেশে বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয়। প্রশ্ন :কালবৈশাখী ঝড়ের কারণ ব্যাখ্যা কর। উত্তর : গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে যে বজ্রঝড় হয়, তাই কালবৈশাখী নামে পরিচিত। স্থলভাগ অত্যন্ত গরম হওয়ার ফলেই কালবৈশাখীর সৃষ্টি হয়। সাধারণত বিকাল বেলায় কালবৈশাখী ঝড় বেশি হয়। বৈশাখ মাসে সূর্য বাংলাদেশ ও তার দক্ষিণে খাঁজভাবে কিরণ দেয়। সারা দিনের প্রচন্ড উত্তাপে বিকাল থেকে আর্দ্র বায়ু প্রবলবেগে নিম্নচাপ এলাকার দিকে ধাবিত হয়। এই অঞ্চলের বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় ও নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় হিমালয়ের উচ্চচাপ এলাকা বিস্তৃত হতে পারে। সঞ্চারনশীল ধূসর মেঘ সোজা উপরে উঠে গিয়ে জমা হয়। পরে এই মেঘ ঘনীভূত হয়ে ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি সৃষ্টি করে। প্রশ্ন : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়? উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে মিল ও অমিল উভয়ই রয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যকার মিলগুলো হলো : তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টিপাত ও বায়ুচাপ যেমন আবহাওয়ার উপাদান তেমনি জলবায়ুরও উপাদান। অমিলগুলো হলো : আবহাওয়া কোনো নির্দিষ্ট সময় কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা। জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা। বিভিন্ন স্থানের আবহাওয়া বিভিন্ন সময় ভিন্ন হয়। কিন্তু কোনো স্থানের জলবায়ু বহু বছর একই থাকে। প্রশ্ন :জানুয়ারি এবং জুলাই এর মধ্যে কোন মাসটি বনভোজনের জন্য উপযুক্ত, কেন? উত্তর : জানয়ারি মাসে মাসিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮ মিলিমিটার এবং মাসিক গড় আর্দ্রতা ৫৪%। অপরদিকে, জুলাই মাসে মাসিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩২৯ মিলিমিটার এবং মাসিক গড় আর্দ্রতা ৭৯%। দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে মাসিক গড় বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার পরিমাণ জানুয়ারি মাসের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ জুলাই মাসে বনভোজন করলে বৃষ্টিজনিত কারণে ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। তাই, জানুয়ারি এবং জুলাই এর মধ্যে জানুয়ারি মাসটি বনভোজনের জন্য উপযুক্ত। প্রশ্ন : কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, পাঁচটি বাক্যে লেখ। উত্তর : কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার কারণ নিম্নে পাঁচটি বাক্যে দেওয়া হলো : র. গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ অত্যন্ত গরম হওয়ার ফলে কালবৈশাখীর সৃষ্টি হয়। রর. সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দিলে দুপুরের রোদের তাপে বায়ু হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে গিয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করে এবং কালবৈশাখী হয়। ররর. নিম্নচাপ অঞ্চলে বায়ুর স্বল্পতা পূরণের জন্য উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু ছুটে আসার কারণে কালবৈশাখী সৃষ্টি হয়। রা. সঞ্চারনশীল ধূসর মেঘ সোজা উপরে উঠে গিয়ে জমা হয় এবং পরে ঘনীভূত হয়ে ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি সৃষ্টি করে। া. দেশের উত্তরে ও হিমালয়ের উচ্চ বায়ুচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে দক্ষিণ দিকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয়ে কালবৈশাখীর সৃষ্টি হয়। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়