বাংলাদেশের নদ-নদী

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
খুলনা বিভাগ দশটি জেলা সমৃদ্ধ এই বিভাগ পদ্মা নদীর ব-দ্বীপ বা গ্রেটার বেঙ্গল ডেল্টার একটি অংশবিশেষ। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মধুমতি নদী, ভৈরব নদ, কপোতাক্ষ নদ, কুমার নদ, চিত্রা নদী, রূপসা নদী, পশুর নদী ইত্যাদি। মধুমতি নদী মধুমতি নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০৮ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। মধুমতি নদীটি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে প্রবহমান গড়াই নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে শালদহ নদীতে নিপতিত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ স্তিমিত হলেও বর্ষার সময় দুকূল উপচে নদী অববাহিকায় বন্যা হয়। নদীটির উজানের অংশ জোয়ার ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত। ভৈরব নদ ভৈরব নদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চুয়াডাঙ্গা জেলা, ঝিনাইদহ জেলা, যশোর জেলা, নড়াইল জেলা ও খুলনা জেলা দিয়ে প্রবাহিত অন্যতম একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৪২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশের একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ নদ। নদটির তীরে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উলেস্নখযোগ্য শহর-নগর-বন্দর সমূহ। এই ভৈরব নদের তীরে খুলনা ও যশোর শহর অবস্থিত। এছাড়া এর তীরে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে কোটচাঁদপুর, চৌগাছা, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া), বাগেরহাটসহ আরও অনেক উলেস্নখযোগ্য জনবসতি। নদটির নাম 'ভৈরব' এর অর্থ 'ভয়াবহ', এক সময় গঙ্গা/পদ্মা নদীর মূল প্রবাহ এই নদকে প্রমত্তা রূপ দিয়েছিল, সেই থেকেই নামটির উৎপত্তি। ভৈরব নদী চৌগাছার কাছে কপোতাক্ষ নদ থেকে উৎপত্তি লাভ করে খুলনা শহরের অদুরে রূপসা নদীতে পতিত হয়। ভৈরব নদটি তার যাত্রাপথের একেক স্থানে একেক নাম নিয়েছে। কালীগঞ্জ হতে কৈখালি পর্যন্ত নদীটির নাম 'কালিন্দি'। এর পর এটি ' রায়মঙ্গল' নামে পরিচিত। তার পর নদীটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। পশ্চিমের অংশটি 'হরিভাঙা' এবং পূর্বেরটি 'ভৈরব' নামে প্রবাহিত হয়। কৈখালির পরে নদটি 'খুলনা-ইছামতি' নামে প্রবাহিত হয়। দক্ষিণের অংশটি 'রায়মঙ্গল-হরিভাঙা' নামে পরিচিত। ভৈরব নদের মোট দৈর্ঘ্য ২৫০ কিলোমিটার। বর্তমানে নদটি অনেকাংশে শুকিয়ে এসেছে। যশোর জেলার বাঘেরপাড়া উপজেলা পার হলে নদীটি আর নাব্য থাকে না। বর্ষা মৌসুমে এটি নাব্য থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদটি শুকিয়ে যায়। তবে নদটির ভাটি অঞ্চলের নওয়াপাড়া থেকে নদীটির নাব্যতা থাকে জোয়ারভাটার প্রভাবে।