একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

আতাউর রহমান সায়েম, সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি প্রশ্ন : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ কবে জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই ফেব্রম্নয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। প্রশ্ন : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : আবু জাফর ওবায়দলস্নাহ বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রশ্ন : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ কোন দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন? উত্তর : আবু জাফর ওবায়দলস্নাহ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রশ্ন : আবু জাফর ওবাদুলস্নাহ কত খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন? উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। প্রশ্ন : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ মৃতু্যবরণ করেন কবে? উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুলস্নাহ মৃতু্যবরণ করেন ২০০১ সালের ১৯ শে মার্চ। প্রশ্ন : পলিমাটির সৌরভ কার করতলে ছিল? উত্তর : পূর্বপুরুষের করতলে পলি মাটির সৌরভ ছিল। প্রশ্ন : কে কবি এবং কবিতার কথা বলতেন? উত্তর : কবির পূর্বপুরুষগণ কবি এবং কবিতার কথা বলতেন। প্রশ্ন : কে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে? উত্তর : যে কবিতা শুনতে জানে না সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে। প্রশ্ন : প্রবাহমান নদীর কথা কে বলতেন? উত্তর : কবির মা প্রবাহমান নদীর কথা বলতেন। প্রশ্ন : কে ক্রীতদাস ছিল? উত্তর : কবির পূর্বপুরুষ ক্রীতদাস ছিল। প্রশ্ন : প্রবাহমান নদী কাকে পুরস্কৃত করে? উত্তর : যে মৎস্য লালন করে, তাকে প্রবাহমান নদী পুরস্কৃত করে। প্রশ্ন : জননীর আশীর্বাদ কাকে দীর্ঘায়ু করবে? উত্তর : যে গাভীর পরিচর্যা করে, জননীর আশীর্বাদ তাকে দীর্ঘায়ু করবে। প্রশ্ন : যে লৌহখন্ডকে প্রজ্বলিত করে কী তাকে সশস্ত্র করবে? উত্তর : যে লৌহখন্ডকে প্রজ্বলিত করে তাকে ইস্পাতের তরবারি সশস্ত্র করবে। প্রশ্ন : সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সঙ্গীত কী? উত্তর : সুপুরুষ ভালোবাসার সুকণ্ঠ সঙ্গীত কবিতা। প্রশ্ন : 'কিংবদন্তি' শব্দের অর্থ কী? উত্তর : 'কিংবদন্তি' শব্দের অর্থ জনশ্রম্নতি'। প্রশ্ন : 'শ্বাপদ' শব্দের অর্থ কী? উত্তর : 'শ্বাপদ' শব্দের অর্থ হিংস্র মাংসাশী শিকারি জন্তু। প্রশ্ন : 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কী ঘোষিত হয়েছে? উত্তর : 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় ঘোষিত হয়েছে ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তি। প্রশ্ন : 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? উত্তর : 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতাটি গদ্য ছন্দে রচিত। প্রশ্ন : 'অভিনবত্ব' কী নির্মাণের শর্ত? উত্তর : 'অভিনবত্ব' চিত্রকল্প নির্মাণের শর্ত। প্রশ্ন : 'কিংবদন্তি' শব্দবন্ধটি 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কীসের প্রতীক? উত্তর : 'কিংবদন্তি' শব্দবন্ধটি 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : 'তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল'-ব্যাখ্যা কর। উত্তর : এখানে কবি তাঁর পূর্বপুরুষের করতলে পলিমাটির সৌরভ থাকার কথা উলেস্নখ করেছেন। পলিমাটিতে উৎকৃষ্ট ফসল ফলে। কবির পূর্বপুরুষের হাতে সেই পলিমাটির সৌরভ থাকায় এটি স্পষ্ট হয় যে, তিনি কৃষক ছিলেন। কারণ, কৃষকেরা মাটি চাষ করে ফসল ফলায়। ফলে তাদের হাতে ও শরীরে মাটির সোঁদা গন্ধ থাকা খুবই স্বাভাবিক। প্রশ্ন : 'জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা'-ব্যাখ্যা কর। উত্তর : জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা-পঙ্‌িক্তটির মধ্য দিয়ে কবিতার মর্মমূলে নিহিত সত্যের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে। কবিতা মূলত সত্যেরই ধারক-বাহক। কবিতার বহির্লোকে আপাত মিথ্যার খোলস থাকলেও অন্তর্লোকে থাকে সত্যের নির্যাস। কবি মানুষের জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দকে কবিতায় মহিমা দিয়েছেন। অর্থাৎ, সত্যের দ্যোতনা থাকলেই কোনো শব্দ কবিতার অভিধা পাবে। প্রশ্ন : 'সূর্যকে হৃৎপিন্ডে ধরে রাখা'-বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : 'সূর্যকে হৃৎপিন্ডে ধরে রাখা'-বলতে কবিতায় মানুষের প্রতিবাদী ও সংগ্রামী চেতনাকে হৃদয়ে ধরে রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে। যারা কবিতা শুনতে জানে না তারা সংগ্রামী চেতনাকে নিজের ভেতরে পালন করার ক্ষমতা রাখে না। আর যারা কবিতাপ্রেমী তারাই পারে সূর্যের উত্তাপময় প্রতিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত হতে। প্রশ্ন : 'যুদ্ধ আসে ভালোবেসে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : 'যুদ্ধ আসে ভালোবেসে' বলতে মূলত যুদ্ধের সহজ, স্বতঃস্ফূর্ত ও অনিবার্য আগমনকে বোঝানো হয়েছে। যদিও যুদ্ধ কখনো কারো কাম্য নয়। কিন্তু কখনো কখনো যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। যখন মানুষ তার অধিকারবঞ্চিত হতে থাকে, হতে থাকে নিপীড়িত ও নির্যাতিত; তখন যুদ্ধের কোনো বিকল্প থাকে না। এখন যুদ্ধ নিজেই যেন ভালোবেসে আবির্ভূত হয়। প্রশ্ন : কবির পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কেন? উত্তর : কবির পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল। কারণ, তার পূর্বপুরুষ ছিল ক্রীতদাস। 'রক্তজবার মতো ক্ষত' বলতে প্রকৃতপক্ষে আঘাতের ফলে রক্ত জমে ক্ষত হয়ে লাল দাগ পড়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে। আগের দিনে ক্রীতদাসদের নির্মম নির্যাতন করা হতো। ফলে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন থাকত। কবির পূর্বপুরুষগণ ক্রীতদাস ছিলেন বলেই তাঁর পিঠেও ছিল রক্তজবার মতো ক্ষত।