বাংলাদেশের নদ-নদী

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সিলেট বিভাগ মনু নদী মনু নদী একটি ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সখানটাং পর্বতের কাহোসিব চুরার নিচে উৎপত্তি লাভ করে ও উত্তর-পূর্ব দিকে কুমারঘাট ও কৈলাসহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে এটি মৌলভীবাজার জেলার মধ্য দিয়ে সিলেট সমভূমিতে চলে গিয়েছে, পরবর্তীতে ধোলাই নদী এটির সাথে সাথে মিলিত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং কুশিয়ারা মনুমুখে গিয়ে মিশেছে। এটি ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা ত্রিপুরার দীর্ঘতম নদী। এটি মনু শহরের কাছে অবস্থিত। কথিত আছে হিন্দুশাস্ত্রকার মনু এ নদীর তীরে শিবপুজা করত বলে এ নদীর নাম হয়েছে মনু। নদীটির উপর ২০ মিটার প্রস্থের একটি রেলসেতু রয়েছে। নদীটির অববাহিকার আয়তন ৫০০ বর্গকিলোমিটার। নদীটির জলপ্রবাহ সারাবছরই থাকে। মনু নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা থেকে উৎপত্তি লাভ করে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে জেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুশিয়ারা নদীতে পতিত হয়েছে। মাকুন্দা নদী মাকুন্দা নদী (অন্য নাম মাকুন্দ নদী) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা নদীর একটি শাখা নদী। মাকুন্দ নদী সিলেট জেলার বিশ্বনাথ এবং সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মাকুন্দ নদীর তীরে রাজাগঞ্জ, বৈরাগী বাজার, করপাড়া, সিংঙ্গেরকাছ, লাকেশ্বর, বুরিয়া, জাহিদপুর প্রভৃতি জনপদ গড়ে উঠেছে। সুরমা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করে মাকুন্দা নদী দোলারবাজারের জাহিদপুর গ্রামের নিকটে হাওরে পতিত হয়েছে।