শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

সপ্তম অধ্যায়

প্রশ্ন : পানিবাহিত দুটি রোগের নাম লেখো। পানিবাহিত রোগ-প্রতিরোধের চারটি উপায় লেখো।

উত্তর :পানিবাহিত দুটি রোগের নাম হলো-

র. ডায়রিয়া রর. আমাশয়

পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের চারটি উপায় নিচে দেওয়া হলো-

র. পানি দূষণ রোধ করা।

রর. নিরাপদ পানি ব্যবহার করা

ররর. হাত জীবাণুমুক্ত রাখা

রা. চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

প্রশ্ন : কোন ভাইরাসের মাধ্যমে এইডস রোগ ছড়ায়? প্রাণী ও পোকা-মাকড়বাহিত দুটি সংক্রামক রোগের নাম লেখো। সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তোমার তিনটি পরামর্শ লেখো।

উত্তর : এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এইডস রোগ ছড়ায়।

প্রাণী ও পোকা-মাকড়বাহিত দুটি সংক্রামক রোগের নাম হলো-

র. জলাতঙ্ক রর. ডেঙ্গু।

সংক্রামক রোগ প্রতিকারে আমার তিনটি পরামর্শ হলো-

র. সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।

রর. নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।

ররর. হাঁচি-কাশির সময় টিসু্য, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা।

প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগের বিস্তারের দুটি কারণ লেখো। সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তিনটি করণীয় লেখো।

উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ।

সংক্রামক রোগের বিস্তারের দুটি কারণ নিচে উলেস্নখ করা হলো-

র. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।

রর. দূষিত পানি পানের মাধ্যমে।

সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তিনটি করণীয় হলো নিম্নরূপ

র. রোগাক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

রর. পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

ররর. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে।

প্রশ্ন : বয়ঃসন্ধিকালের তিনটি শারীরিক পরিবর্তন লেখো। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যত্নে তোমার তিনটি করণীয় লেখো।

উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালের তিনটি শারীরিক পরিবর্তন হলো-

র. দ্রম্নত লম্বা হওয়া। রর. ত্বক তৈলাক্ত হওয়া।

ররর. ছেলেদের গলার স্বরের পরিবর্তন হওয়া।

বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যত্নে আমার তিনটি করণীয় হলো-

র. এই সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকব।

রর. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করব।

ররর. দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে শিক্ষক কিংবা পরিবারের সাথে পরামর্শ করব।

প্রশ্ন: বাড়ির আশপাশে কৌটা, টায়ার, ফুলের টব পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন কেন সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর : বাড়ির আশপাশে কৌটা, টায়ার, ফুলের টব পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে দেওয়া হলো-

র. এসব জিনিসে পানি জমতে পারে।

রর. জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে।

ররর. জমে থাকা পানিতে ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে।

নবম অধ্যায়

প্রশ্ন : কৃষিপ্রযুক্তি কীভাবে আমাদের জীবনমান উন্নত করে?

উত্তর : কৃষিপ্রযুক্তি যেভাবে আমাদের জীবনমান উন্নত করে সেগুলো হলো-

র. আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি মানুষকে স্বল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদনে সাহায্য করেছে।

রর. রাসায়নিক সার উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে এবং অধিক ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে, যেটি মানুষকে স্বল্প সময়ে ফসল উঠিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান করছে।

ররর. রাসায়নিক পদার্থ ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও আগাছা দমন করে অধিক খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে, যা মানুষের খাদ্য ঘাটতি দূর করছে।

রা. জৈবপ্রযুক্তি মানুষকে অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ, পোকামাকড় প্রতিরোধী এবং অধিক ফলনশীল উদ্ভিদ উৎপাদনে সহায়তা করছে।

প্রশ্ন : প্রযুক্তি কীভাবে বিজ্ঞানের জ্ঞানকে ব্যবহার করে?

উত্তর : প্রযুক্তি হলো আমাদের জীবনের বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ। যেমন- বিজ্ঞানীরা বিদু্যৎ নিয়ে গবেষণা করে এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা বা জ্ঞান সৃষ্টি করেছেন। আর এ বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন এবং বৈদু্যতিক বাতির মতো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত জলীয় বাষ্পের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ বাষ্পীয় ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেছে, যা কলকারখানা, রেলগাড়ি ও জাহাজ চালাতে ব্যবহৃত হয়। এভাবে প্রযুক্তি বিভিন্ন পণ্য এবং যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে।

প্রশ্ন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও তারা কীভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : প্রাচীনকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় ভিন্ন দুইটি লক্ষ্যে। বিজ্ঞানের ভিত্তি অনুসন্ধিৎসা, সরাসরি বাস্তব সমস্যার সমাধান ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে ছিল না। বিজ্ঞানের কাজ প্রকৃতির নিয়ম আবিষ্কার করা আর প্রযুক্তি কাজ করে প্রকৃতির বিভিন্ন নিয়ম অনুসারে। তাই সচেতনভাবে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে প্রকৃতির নিয়ম মানতে হয়। বিজ্ঞানী প্রকৃতির নিয়ম আবিষ্কার করেন। আর প্রযুক্তিবিদ ওই নিয়ম প্রয়োগ করে যন্ত্র উদ্ভাবন করেন ও বাস্তব সমস্যার সমাধান করেন। বিজ্ঞানীরা বিদু্যৎ ও আলোর মতো বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে প্রযুক্তিবিদরা ওই জ্ঞানকে কৃষি, শিল্প-কারখানা, পরিবহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন। আবার বিজ্ঞানীরা প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার সময়ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। যেমন- খালি চোখে দেখা যায় না এমন ক্ষুদ্র বস্তু অনুসন্ধানে তারা অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন।

তাই বলা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও তারা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে