'অপরিচিতা'
প্রশ্ন : 'অপরিচিতা' গল্পের গল্পকথকের নাম কী?
উত্তর : 'অপরিচিতা' গল্পের গল্পকথকের নাম অনুপম।
প্রশ্ন : 'অপরিচিতা' গল্পের গল্পকথকের বয়স কত?
উত্তর : 'অপরিচিতা' গল্পের গল্পকথকের বয়স সাতাশ বছর।
প্রশ্ন : কার সুন্দর চেহারা নিয়ে পন্ডিতমশায় বিদ্রম্নূপ করতেন ?
উত্তর : অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পন্ডিতমশায় বিদ্রম্নূপ করতেন।
প্রশ্ন :পন্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা কীসের সঙ্গে তুলনা করতেন?
উত্তর : পন্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করতেন।
প্রশ্ন : অনুপমের মা কেমন ঘরের মেয়ে ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের মা গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন।
প্রশ্ন : অনুপমের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের পিতা পেশায় উকিল ছিলেন।
প্রশ্ন : অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
উত্তর : অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।
প্রশ্ন : বিয়ে সম্বন্ধে কার একটা বিশেষ মত ছিল?
উত্তর : বিয়ে সম্বন্ধে মামার একটা বিশেষ মত ছিল।
প্রশ্ন : অনুপমের বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ।
প্রশ্ন : হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তর : হরিশ কানপুরে কাজ করে।
প্রশ্ন : ছুটিতে হরিশ কোথায় এসেছে?
উত্তর : ছুটিতে হরিশ কলকাতায় এসেছে।
প্রশ্ন : হরিশ অনুপমকে কী ধরনের মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল?
উত্তর : হরিশ অনুপমকে খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল।
প্রশ্ন : অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম কীসের মরীচিকা দেখছিল?
উত্তর : অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম নারীরূপের মরীচিকা দেখছিল।
প্রশ্ন : মেয়ের বয়স পনেরো শুনে কার মন ভার হলো?
উত্তর : মেয়ের বয়স পনেরো শুনে মামার মন ভার হলো।
প্রশ্ন : মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে কোন দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন?
উত্তর : মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন।
প্রশ্ন : বিশেষ কাজে মামা একবার কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : বিশেষ কাজে মামা একবার কোন্নগর গিয়েছিলেন।
প্রশ্ন : এককালে কাদের বংশে লক্ষ্ণীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল?
উত্তর : এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে লক্ষ্ণীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
প্রশ্ন : কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হলো?
উত্তর : কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য বিনুদাদাকে পাঠানো হলো।
প্রশ্ন : বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে কী হন?
উত্তর : বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে পিস্তুতো ভাই হন।
প্রশ্ন: বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপরে অনুপম কতটুকু নির্ভর করতে পারেন?
উত্তর : বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপর গল্পকথক ষোলো আনা নির্ভর করতে পারেন।
প্রশ্ন : গল্পকথকের মতে কার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বিনুদাদার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট।
প্রশ্ন : বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কোথায় আসতে হলো?
উত্তর : বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কলকাতায় আসতে হলো।
প্রশ্ন : কার চেহারা চোখে পড়বার মতো ?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর চেহারা চোখে পড়বার মতো।
প্রশ্ন: গল্পকথকের মতে বেহাই সম্প্রদায়ের কী থাকাটা দোষের?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বেহাই সম্প্রদায়ের তেজ থাকাটা দোষের।
প্রশ্ন : শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় ছিলেন উকিল।
প্রশ্ন : শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো কোন আমলের ছিল?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো তাঁর পিতামহীদের আমলের ছিল।
প্রশ্ন : মামা অনুপমকে কোথায় গিয়ে বসতে বললেন?
উত্তর : মামা অনুপমকে সভায় গিয়ে বসতে বললেন।
প্রশ্ন : বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু কাকে খেতে বললেন?
উত্তর : বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু অনুপমকে খেতে বললেন।
প্রশ্ন : কার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব?
উত্তর : মামার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব।
৩০. কল্যাণীকে কার ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল?
উত্তর : কল্যাণীকে অনুপমের ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল।
প্রশ্ন : অনুপমের মতে, তার ছবিটি কীসের মধ্যে লুকানো আছে?
উত্তর : অনুপমের মতে, তার ছবিটি একটি বাক্সের মধ্যে লুকানো আছে।
প্রশ্ন : কে বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে?
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে।
প্রশ্ন : মাকে নিয়ে অনুপম কোথায় চলছিল?
উত্তর : মাকে নিয়ে অনুপম তীর্থে চলছিল।
প্রশ্ন : তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার কার উপর ছিল?
উত্তর : তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার ছিল অনুপমের উপর।
৩৫. শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কী?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কল্যাণী।
৩৬. কার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
উত্তর : মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
প্রশ্ন : বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
উত্তর : বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছে।
প্রশ্ন : কে লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না?
উত্তর : মামা লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন : শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন কেন?
উত্তর : দেশে বংশমর্যাদা রেখে চলা সহজ নয় বলে শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন।
এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে লক্ষ্ণীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল। টাকা-পয়সার কোনো অভাব ছিল না তাদের। কিন্তু বর্তমানে তেমন কিছু নেই বললেই চলে। আর সামান্য যা বাকি আছে তা দিয়ে বংশমর্যাদা রেখে চলা সহজ নয় বলে তিনি পশ্চিমে চলে গিয়েছেন।
প্রশ্ন : মামা কেন হরিশকে পেলে ছাড়তে চান না?
উত্তর : হরিশ আসর জমাতে অদ্বিতীয় হওয়ার কারণে মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
হরিশকে সবাই খুব খাতির করে। কেননা তার সরস রসনার গুণ সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। মামাও তাকে খুব খাতির করেন। মূলত তার আসর জমানোর গুণের কারণেই মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
প্রশ্ন : মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না কেন?
উত্তর : বিয়ে বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এবং সমস্ত আয়োজন নিতান্ত মধ্যম রকমের হওয়ায় মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না। শম্ভুনাথ সেনের এককালে প্রচুর ধন-সম্পদ থাকলেও বর্তমানে তাঁর তেমন কিছুই নেই। তাই শম্ভুনাথ সেনের আয়োজনে কোনো আড়ম্বর ছিল না। সমস্ত আয়োজন ছিল মধ্যম রকমের। আর বিয়ে বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গাও সংকুলান হচ্ছিল না। এসব কারণে মামা বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে খুশি হলেন না।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়