শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশের নদ-নদী

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের নদ-নদী

রাজশাহী বিভাগ

ইছামতি নদী

ইছামতি নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।

ইছামতি নদীটি পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে প্রবাহমান পদ্মা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই জেলার বেড়া উপজেলার পৌরসভা এলাকা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। শুকনো মৌসুমে নদীটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। সেসময় নদীর অঙ্গনজুড়ে পাম্প দিয়ে সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করা হয়। তবে বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। নদীটির কোথাও ভাঙনপ্রবণতা পরিলক্ষিত হয় না।

করতোয়া

করতোয়া নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বন্যাপ্রবণ নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। করতোয়া নিম্ন নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নে প্রবহমান দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদী ক্রমান্বয়ে মিঠাপুকুর, নবাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলায় পৌঁছেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বগুড়া জেলার উক্ত উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নদীতে নিপতিত হয়েছে। এই নদীতে ব্যারাজ বা রেগুলেটর এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই।

বড়াল

বড়াল নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী জেলা এবং নাটোর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৮৯ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৩ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এটি পদ্মা নদীর একটি শাখা নদী। বড়াল নদীর উৎপত্তি রাজশাহী জেলার চারঘাট থেকে পদ্মা নদীর শাখা নদী হিসেবে। রাজশাহীর চারঘাট থেকে বাঘা, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে এটি নাকালিয়া নামক স্থানে যমুনা নদীতে পড়েছে। এটি রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ চারটি জেলা ও আটটি উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি পদ্মা-যমুনার সংযোগকারী নদী ছিল। এছাড়া এই নদী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলাভূমি চলনবিলের পানি প্রবাহের প্রধান সংযোগ নদী। নদীটি তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও এটির নাব্যতা ছিল ভালো, খরস্রোতও ছিল। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে এর উৎপত্তিস্থল চারঘাটে, বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে