বাংলাদেশের নদ-নদী
প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
রাজশাহী বিভাগ
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো রাজশাহী বিভাগেও নদ-নদীর অভাব নেই। রাজশাহী বিভাগের উলেস্নখযোগ্য নদ-নদীসমূহ হচ্ছে পদ্মা, যমুনা, মহানন্দা, আত্রাই, ইছামতি, করতোয়া, বড়াল, তুলসীগঙ্গা, পুনর্ভবা, গুমানি, নাগর, বাঙালি প্রধান। এ ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট নদ-নদী রয়েছে।
পদ্মা
পদ্মা বাংলাদেশের প্রধান নদী। এটি হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশে নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার (নদী রক্ষা কমিশন রিপোর্ট ২০২৩) গড় প্রস্থ ১০ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। রাজা রাজবলস্নভের কীর্তি পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়ে ধ্বংস হয় বলে পদ্মার আরেক নাম কীর্তিনাশা। হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী রাজশাহী জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এখান থেকে নদীটি পদ্মা নাম ধারণ করেছে। উৎপত্তিস্থল হতে ২২০০ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মিলিত প্রবাহ পদ্মা নামে আরও পূর্বদিকে চাঁদপুর জেলায় মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। সবশেষে পদ্মা-মেঘনার মিলিত প্রবাহ মেঘনা নাম ধারণ করে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়। পদ্মা বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘতম নদী, এর দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।[নদী কমিশন রিপোর্ট ২০২৩]
পদ্মার প্রধান উপনদী মহানন্দা এবং পুনর্ভবা। পদ্মার বিভিন্ন শাখানদীর মধ্যে গড়াই, বড়াল, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, মাথাভাঙ্গা, কপোতাক্ষ ইত্যাদি অন্যতম। আবার পদ্মার বিভিন্ন প্রশাখা নদীসমূহ হলো- মধুমতী, পশুর, ভৈরব ইত্যাদি। এই নদীগুলো কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ইত্যাদি জেলার উপর দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
যমুনা
যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর একটি। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের প্রধান শাখা। যমুনা গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীর সাথে মিশেছে। এর পূর্ব নাম জোনাই। ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পে যমুনা নদী সৃষ্টি হয় যা রাজশাহী অঞ্চল ও ঢাকা অঞ্চল আলাদা হয় (সূত্র পাবনা জেলার ইতিহাস)। উৎপত্তিস্থল হতে এর দৈর্ঘ্য ২৪০ কিলোমিটার। যমুনার প্রধান উপনদীগুলো হল তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, সুবর্ণশ্রী। করতোয়া যমুনার দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম উপনদী।